মধ্যবিত্তদের খুশি করার চেষ্টা হলেও গ্রামীণ কর্মসংস্থানের বিষয়টি উপেক্ষিত থাকল

ব্যক্তিগত আয়করের ঊর্ধ্বসীমা বাড়িয়েছে।

February 1, 2023 | < 1 min read
Published by: Drishti Bhongi

২০২৪-এর লোকসভা নির্বাচনের আগে শেষ বাজেট পেশ করলেন অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন। চাকরিজীবী মধ্যবিত্তদের খুশি করতে পারলে যে ভোটের ঝুলি ভরে, তার প্রমান ২০১৯ সালেই পেয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী তথা বিজেপি। এ বার ২০২৪ সালের সাধারণ নির্বাচনের আগে সেই একই পথে হাঁটতে চাইছে কেন্দ্রীয় সরকার। ব্যক্তিগত আয়করের ঊর্ধ্বসীমা বাড়িয়েছে।

কিন্তু লক্ষ্যনীয় বিষয় হল, গ্রামীণ কর্মসংস্থানের মতো গুরুত্বপূর্ণ বিষয়টিকে কম গুরুত্ব দেওয়া হল এবারের বাজেটে। আগস্ট ২০২২ সাল থেকে, মহাত্মা গান্ধী জাতীয় গ্রামীণ কর্মসংস্থান গ্যারান্টি স্কিম (MGNREGS) কর্মীদের অর্থ প্রদানে বিলম্ব, কর্মসংস্থানের সুযোগ সংকুচিত হওয়া, উচ্চ মুদ্রাস্ফীতির মধ্যে কম মজুরি এবং ক্ষতিগ্রস্থদের জন্য সাহায্য বা ক্ষতিপূরণ না দেওয়ার মতো একাধিক সমস্যা বারবার সামনে এসেছে। অথচ সংশোধিত বাজেটের তুলনায় এই খাতে বরাদ্দ কমানো হল।


চলতি অর্থবর্ষের শেষে রেগায় খরচ দাঁড়াবে ৮৯ হাজার ৪০০ কোটি টাকা। অথচ নতুন অর্থ বর্ষের জন্য মাত্র ৬০ হাজার কোটি টাকা বরাদ্দ হলো গ্রামাঞ্চলে একশো দিনের কাজে। সংশোধিত বাজেটের তুলনায় বরাদ্দ কমলো প্রায় ৩৩ শতাংশ।


গতবার বাজেট রেগায় বরাদ্দ ছিল ৭৩,০০০ কোটি টাকা। কিন্তু অনুমানের তুলনায় কাজের জন্য আবেদন বেড়ে গিয়েছে। কেন্দ্রেরই হিসেব, চলতি অর্থবর্ষ, যা মার্চে শেষ হচ্ছে, সেই পর্যন্ত খরচ বাড়বে। তাই সংশোধিত বাজেট বরাদ্দ হয়েছে ৮৯ হাজার ৪০০ কোটি টাকা। কিন্তু এবারের বাজেটে নতুন অর্থবর্ষের জন্য কমিয়ে বরাদ্দ করা হলো ৬০ হাজার কোটি টাকা।

২০১৮ থেকে রেগার বরাদ্দ টেনে ধরা হচ্ছে বারবার। এবার সবচেয়ে কম বরাদ্দ হয়েছে। তার ফলে গ্রামাঞ্চলে একশো দিনের কাজ কমবে, বহু মানুষ মজুরি পাবেন না। কেন্দ্র মজুরি বকেয়া রাখার রাস্তায় যাবে।

TwitterFacebookWhatsAppEmailShare

ভিডিও

আরও পড়ুন

Decorative Ring
Maa Ashchen