SIR: রাজ্যজুড়ে প্রায় ১ কোটি ৮৬ লক্ষ ভোটার শুনানির ডাক পেতে চলেছেন, প্রস্তুতি তুঙ্গে

নিউজ ডেস্ক, দৃষ্টিভঙ্গি, ১০:০০: বৃহস্পতিবার শেষ হয়েছে এনুমারেশন পর্ব। কমিশন সূত্রের খবর, এখনও পর্যন্ত খসড়া পর্বে নাম বাদ গিয়েছে ৫৮ লক্ষের বেশি ভোটারের। একই সঙ্গে মিলেছে একাধিক চমকপ্রদ তথ্যও। যেমন প্রায় ১২ লক্ষ ভোটার বাবা হয়েছেন ১৫ বছরের কম বয়সে।
আর রাজ্যজুড়ে প্রায় ১ কোটি ৮৬ লক্ষ ভোটার শুনানির ডাক পেতে চলেছেন। শুক্রবার কমিশনের তরফে এমনই তথ্য মিলেছে। এই বিপুল সংখ্যক ভোটারের শুনানির জন্যই এখন জেলায় জেলায় প্রস্তুতি তুঙ্গে।
বৃহস্পতিবার ইনিউমারেশন পর্ব শেষ হওয়ার পর রাজ্যজুড়ে ডিজিটাইজ হওয়া ফর্মের চুলচেরা বিশ্লেষণে উঠে এসেছে চাঞ্চল্যকর তথ্য। ২০০২ সালের তালিকায় নাম না থাকলেও ‘আত্মীয়ের’ নাম উল্লেখ করে ফর্ম পূরণ করেছেন, রাজ্যে এমন ভোটারের সংখ্যা ৩ কোটি ৮৩ লক্ষ ৭৬ হাজার ২৩১। আর এর মধ্যে কমিশনের সন্দেহের তালিকায় রয়েছেন মোট ১ কোটি ৬৭ লক্ষ ৪৫ হাজার ৯১১ জন। কমিশনের চোখে এই সমস্ত ‘সন্দেহভাজন’ ভোটারকে শুনানিতে ডাকা হবে বলে খবর।
এছাড়াও নো-ম্যাপড অর্থাৎ ইনিউমারেশন ফর্মের নীচের ডানদিক বা বাঁদিকের কোনও অংশই পূরণ করেননি, এমন ভোটারের সংখ্যা ৩০ লক্ষ ৫৬ হাজার ৬২৮। এমনিতে এই নো-ম্যাপ ভোটারদের শুনানিতে উপস্থিত হয়ে নির্ধারিত ১১টি নথির একটি দেখানো বাধ্যতামূলক ছিল। সেইসঙ্গে শুনানির তালিকায় যুক্ত হল সন্দেহজনক ভোটাররা। অর্থাৎ সব মিলিয়ে এবার ১ কোটি ৮৬ লক্ষ ভোটার শুনানির জন্য ডাক পেতে চলেছেন বলে খবর।
এর আগে ৪ ডিসেম্বরের মধ্যে ইনিউমারেশন পর্ব শেষের নির্দেশিকা জারি করেছিল কমিশন। তারপর সময়সীমা ৭ দিন বৃদ্ধি করা হয়। পশ্চিমবঙ্গে যেহেতু ৪ ডিসেম্বরের লক্ষ্যমাত্রা নিয়ে কাজ শুরু হয়েছিল, তাই কাজ অনেকটাই এগিয়ে গিয়েছিল। আর বাড়তি সাতদিনের যে সময়সীমা পাওয়া গিয়েছিল, সেই সময়ে ডিজিটাইজ হওয়া ফর্ম পুঙ্খানুপুঙ্খ যাচাইয়ের কাজ করেছিল কমিশন। আর যাচাইয়ের পর সন্দেহজনক ভোটারদের একাধিক ভাগে ভাগ করেছে কমিশন। এই ভোটারদের মধ্যে রয়েছেন, ১) বাবার নামে ত্রুটি, ২) বহু ভোটারের বাবা-মায়ের নাম এক, ৩) একই পিতার ছয়ের বেশি সন্তান ভোটার, ৪) ১৫ বছরেরও কম বয়সে বাবা-মা হয়েছেন, ৫) ৪০ বছরের কম বয়সে ঠাকুরদা-ঠাকুমা হয়েছেন। এঁরা প্রত্যেকেই শুনানিতে ডাক পাবেন। সঙ্গে যাঁদের নাম ‘নো-ম্যাপিং’ তালিকায় ঢুকে গিয়েছে, তাঁদেরও ডাকা হবে হিয়ারিংয়ে। দু’মাসের মধ্যে প্রায় ২ কোটি ভোটারের শুনানি সঠিকভাবে হবে কি না, সে নিয়ে ইতিমধ্যেই রাজনৈতিক মহল সংশয় প্রকাশ করছে।
এই বিপুল সংখ্যক ভোটারের শুনানির জন্য শীঘ্রই জায়গা নির্ধারণ করতে প্রতিটি জেলাকে নির্দেশিকা পাঠিয়েছে কমিশন। জানা গিয়েছে, প্রতিটি জেলায় জেলাশাসকের কার্যালয়, মহকুমা শাসকের অফিস, ব্লক বা বিডিও অফিসের পাশাপাশি অন্যান্য সরকারি অফিসেও শুনানির কাজ করা হবে।