ছটে ছাড় অথচ দুর্যোগে কলকাতা-বাগডোগরা রুটে দ্বিগুণ বিমান ভাড়া! কেন্দ্রের বৈষম্যের প্রতিবাদে সরব মুখ্যমন্ত্রী

নিউজ ডেস্ক, দৃষ্টিভঙ্গি, ১৫.১৫: সামনে বিহার বিধানসভা নির্বাচন। সেই উপলক্ষে ছট উৎসবের সময় বিহারগামী বিমানের ভাড়ায় ছাড় দেওয়া হয়েছে। অথচ বন্যা-ধসে বিধ্বস্ত উত্তরবঙ্গের পরিস্থিতিতে কলকাতা-বাগডোগরা রুটে বিমান ভাড়া বেড়েছে কয়েক গুণ। এই বৈষম্য নিয়ে সরব হলেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। তাঁর অভিযোগ, কেন্দ্রের বিমানমন্ত্রক রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে ভাড়ার হেরফের করছে।
বুধবার উত্তরবঙ্গ সফর শেষে কলকাতা বিমানবন্দরে নামতেই কেন্দ্রীয় সরকারের বিরুদ্ধে তীব্র আক্রমণ শানান তৃণমূল (TMC) নেত্রী। তিনি বলেন, “অনেক সরকার দেখেছি, কিন্তু এরকম সরকার আগে কখনও দেখিনি। এরা তো দেশটাকে পুরো শেষ করে দেবে। মনে রাখবেন, কোনও কিছুই স্থায়ী নয়।”
কেন্দ্রীয় নির্বাচন কমিশনের সাম্প্রতিক নির্দেশিকা নিয়েও প্রশ্ন তোলেন মুখ্যমন্ত্রী। কমিশনের নিরপেক্ষতা নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করে তিনি বলেন, “কমিশন বলছে ১৫ দিনের মধ্যে এসআইআর (SIR) করতে হবে! এরা কি বিজেপির (BJP) কথা মতো চলছে? সবটাই চলছে অমিত শাহের (Amit Shah) নির্দেশে। যেন অ্যাক্টিং প্রাইম মিনিস্টার!” এখানেই থেমে না থেকে, অমিত শাহকে ‘বড় মীরজাফর’ বলেও কটাক্ষ করেন তিনি।
ত্রিপুরায় (Tripura) তৃণমূল নেতাদের ‘হেনস্থার’ অভিযোগ ঘিরে মুখ্যমন্ত্রী জানান, “আমি আগেই নির্দেশ দিয়েছি, দরকার হলে ওরা হেঁটে ঘুরবে। প্রতিনিধি দলকে আটকালে আমি নিজে যাব ত্রিপুরায়। আগেও আমাদের ওপর হামলা হয়েছে, ভয় পাই না।”
ডিভিসি-র (DVC) জলছাড়া নিয়েও প্রশ্ন তোলেন মমতা। বলেন, “মানুষের দুর্দশার সময় এই জলছাড়া কেন?” নাগরাকাটায় আহত বিজেপি সাংসদ খগেন মুর্মুর (Khagen Murmu) বিষয়ে সংবেদনশীল মন্তব্য করে তিনি বলেন, “আমি গিয়ে দেখে এসেছি। আরোগ্য কামনা করেছি, আমি আমার কর্তব্য করছি।” তবে সঙ্গে প্রশ্ন তোলেন, “বন্যার সময়ে দুর্গত এলাকায় ৩০-৪০টি গাড়ি নিয়ে যাওয়া কি ঠিক ছিল?”
মুখ্যমন্ত্রী জানান, মিরিকে (Mirik) ত্রাণ পাঠানো হয়েছে এবং প্রায় ১ হাজার পর্যটককে বাসে করে কলকাতায় ফিরিয়ে আনার ব্যবস্থা করা হয়েছে। দুর্যোগ মোকাবিলায় রাজ্য সরকারের সক্রিয় ভূমিকা তুলে ধরেন তিনি।