৬০-এর পরেও এভারগ্রিন থাকতে চান? বাদ দিন ক্ষতিকর ৭ অভ্যাস
নিউজ ডেস্ক, দৃষ্টিভঙ্গি, ১৪:৩০: বয়স বাড়া থামানো যায় না, কিন্তু মন ও শরীরের তারুণ্য অনেকটাই আমাদের নিজের হাতে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন—৬০-এর পরেও যদি জীবনটা প্রাণোচ্ছল রাখতে চান, তবে কিছু অভ্যাস এখনই বাদ দেওয়া জরুরি। কারণ এই অভ্যাসগুলিই সবচেয়ে বেশি ক্ষতি করে মস্তিষ্ক, হরমোন, ঘুম ও মানসিক শক্তির।
চলুন দেখে নেওয়া যাক—৬০-এর পর কোন ৭টি অভ্যাস বাদ দিলে মন থাকবে হালকা, চনমনে আর এভারগ্রিন।
১. রাত জাগা অভ্যাস: রাত ১১টার পর ঘুমোলে মস্তিষ্কের পুনর্গঠন বাধাপ্রাপ্ত হয়। স্মৃতিশক্তি, মনোযোগ, মুড—সবই খারাপ হতে থাকে।
৬০-এর পর নিয়মিত ৭–৮ ঘণ্টার ঘুম আবশ্যক।
২. দিনের পর দিন ব্যায়াম এড়িয়ে যাওয়া:একটুখানি হাঁটাও না করলে রক্তচাপ, ওজন, জয়েন্ট—সবই খারাপের দিকে যায়।
প্রতিদিন ৩০ মিনিট হাঁটলেই মন ভালো থাকে, উদ্বেগ কমে।
৩. অতিরিক্ত লবণ–চিনি খাওয়া: বয়স বাড়লে শরীর এগুলি ঠিকমতো সামলাতে পারে না। ফলে ফোলা, ক্লান্তি, মাথা ভার—সবই বাড়ে। খাবারে লবণ–চিনি কমিয়ে দিন, ফল–সবজি বাড়ান।
৪. সারাদিন ঘরে বসে থাকা:
সূর্যালোকের অভাব থেকে ভিটামিন–ডি কমে যায়, মনও বিষণ্ন হয়। প্রতিদিন কিছুক্ষণ বাইরে বেরোন, মানুষজনের সঙ্গে কথা বলুন।
৫. নিজের সব দুঃখ–চিন্তা চেপে রাখা: ৬০-এর পর মানসিক স্বাস্থ্য বেশি ভঙ্গুর হয়। যাদের ওপর আস্থা আছে, তাঁদের সঙ্গে কথা বলুন, প্রয়োজনে কাউন্সেলিং নিন।
৬. প্রয়োজনের চেয়ে বেশি কাজের দায়িত্ব নেওয়া: এই বয়সে সবাইকে খুশি করার চেষ্টায় নিজেকে ক্লান্ত করে ফেলা সবচেয়ে বড় ভুল।নিজের সীমা জেনে কাজ নিন, ‘না’ বলতে শিখুন।
৭. নিয়মিত স্বাস্থ্য পরীক্ষা এড়িয়ে যাওয়া: রক্তচাপ, সুগার, কোলেস্টেরল—এগুলির সামান্য ওঠানামাই বড় সমস্যার কারণ হতে পারে।
বছরে অন্তত দু’বার হেলথ চেক–আপ করিয়ে রাখুন।
৬০-এর পর জীবন থেমে থাকে না—বরং আরও সচেতন, শান্ত ও আনন্দময় হয়ে ওঠার সময়।
এই ৭টি অভ্যাস ছাড়তে পারলে শরীর যেমন হালকা অনুভব করবে, মনও থাকবে উজ্জ্বল, শক্তিতে ভরপুর।
তারুণ্য বয়সে নয়—অভ্যাসেই লুকিয়ে। তাই আজ থেকেই শুরু করুন নিজেকে এভারগ্রিন রাখার যাত্রা।