বিভাজনের জিগিরে আছে দায়িত্বে নেই! পাহাড়ের জন্য কোথায় কেন্দ্রের আর্থিক প্যাকেজ? উঠছে প্রশ্ন

নিউজ ডেস্ক, দৃষ্টিভঙ্গি, ১২:০৭: রাজ্য সরকারের নিরলস পরিশ্রমে ঘুরে দাঁড়াচ্ছে পাহাড়। পাহাড়, তরাই ও ডুয়ার্সের বিস্তীর্ণ অংশ ক্ষতির মুখে পড়েছে। চা বাগানগুলির অবস্থাও খারাপ। আপাতত মনে করা হচ্ছে, ক্ষয়ক্ষতি হাজার কোটি টাকা ছাড়িয়েছে। কিন্তু, বার বার উত্তরবঙ্গ ভাগের জিগির তোলা বিজেপি কোথায়? কেন কেন্দ্র সরকার এখনও কোনও আর্থিক প্যাকেজ ঘোষণা করল না।
দার্জিলিং লোকসভা কেন্দ্র দীর্ঘদিন ধরে বিজেপির দখলে। উত্তরবঙ্গ বিজেপিকে দুই হাতে ভোরে ভোট দিয়েছে কিন্তু দুর্গতদের পাশে দাঁড়ানো নিয়ে কোনও উদ্যোগ নেই মোদী সরকারের। গেরুয়া জনপ্রতিনিধি, এমপি-এমএলএ-রা বিপর্যস্ত এলাকা পরিদর্শনে আসছেন, কেন্দ্রীয় মন্ত্রীও আছেন। কিন্তু কেন্দ্রের তরফে নেই কোনও সাহায্যের ঘোষণা। বুধবার, সেই প্রশ্ন তুলেছে জিটিএ কর্তৃপক্ষ। পাহাড়ে পদ্ম শিবিরের বিরুদ্ধে ক্ষোভের আগুন জ্বলছে, আম জনতার প্রশ্ন উঁকি দিচ্ছে একই প্রশ্ন।
প্রবল বর্ষণ, ধস, নদীর জলস্ফীতিতে পাহাড়ের বিভিন্ন এলাকা বিপর্যস্ত। রাস্তা, সেতু, বাড়ি, হোম-স্টে, চাষের জমি, স্কুল, জলের লাইন, চা বাগান তছনছ হয়ে গিয়েছে। ধসে চাপা পড়েছে বহু গ্রাম। পুলবাজার, জোড়বাংলো, সুখিয়াপোখরি, রংলিরংলিয়ট, মিরিক মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত। টয়ট্রেনের লাইন, একাধিক পর্যটন কেন্দ্র, কমলা বাগানেও ধ্বংসের চিহ্ন স্পষ্ট।
কেবল দার্জিলিং নয়, জলপাইগুড়ি, আলিপুরদুয়ার ও কোচবিহার জেলাও বিপর্যয়ে বিধ্বস্ত। সেতু ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। রাস্তা, নদীর বাঁধ ও পাড় ভেঙেছে। আলিপুরদুয়ারে জলদাপাড়া ফরেস্টে বন্যপ্রাণীদের বাসস্থান কার্যত ধ্বংস এবং চা বাগানেও ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। দার্জিলিং, জলপাইগুড়ি, কোচবিহার ও আলিপুরদুয়ার জেলায় ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের সংখ্যা প্রায় ৩০ হাজার ৭২টি। এমন পরিবারের সংখ্যা জলপাইগুড়ি জেলায় সর্বাধিক, ২৪, ৭৩১। দার্জিলিং, কালিম্পং, জলপাইগুড়ি ও আলিপুরদুয়ারে ক্ষতিগ্রস্ত বাড়ির সংখ্যা ৪ হাজার ৪৪৬টি।
বিপর্যয়ের ক্ষয়ক্ষতির হিসাব কষা হচ্ছে। মূল্যায়ন টিম নামানো হয়েছে। তারপর পুনর্গঠনের কাজে হাত দেওয়া হবে। ত্রাণ শিবির চালু হয়েছে। জানা যাচ্ছে, গত শনিবার রাতে পাহাড়ে ধসের ঘটনা ঘটেছে ৪৫৯টি। ৫৪২টি বাড়ি, ৬৭টি রাস্তা ক্ষতিগ্রস্ত হয়। মুখ্যমন্ত্রী স্বয়ং উদ্ধারকাজ তদারকি করে গিয়েছেন। ফের যাবেন। রাজ্য সরকার যাবতীয় সংস্কারের কাজ পরিচালনা করছে।