বোলপুরের লাউদহায় দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের বোমা উদ্ধার, আতঙ্কে গ্রামবাসী

নিউজ ডেস্ক, দৃষ্টিভঙ্গি, ১২:১৫: বীরভূমের বোলপুরের কাছে লাউদহা গ্রামে হঠাৎই রহস্যের উদ্ভব। প্রায় ৮০ বছর আগের দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের একটি সক্রিয় বোমা উদ্ধার হয়েছে অজয় নদীর তীরে। স্থানীয় জেলেরা প্রায় এক মাস আগে নদীর ধারে একটি অচেনা ধাতব সিলিন্ডার সদৃশ বস্তু লক্ষ্য করলেও, প্রথমে তাতে তেমন গুরুত্ব দেননি। অবশেষে পুলিশকে খবর দেওয়া হলে এলাকাটি ঘিরে ফেলা হয় এবং সেনাবাহিনীকে খবর দেওয়া হয়।
বুধবার সেনা কর্তৃপক্ষ বিশেষজ্ঞ দলের মাধ্যমে বোমাটি নিরাপদভাবে নিষ্ক্রিয় করে বিস্ফোরণ ঘটান। বিস্ফোরণের শব্দ ও কম্পন আশপাশের গ্রাম পর্যন্ত অনুভূত হয়। বীরভূম জেলা পুলিশের এক সিনিয়র অফিসার বলেন, “বোমাটি নিষ্ক্রিয় হওয়ায় এখন পরিস্থিতি স্বাভাবিক। তবে গ্রামে আতঙ্কের পরিবেশ তৈরি হয়েছিল।”
এই ঘটনার পর থেকেই জোরালো প্রশ্ন উঠেছে— কীভাবে এত বছর ধরে ওই বোমাটি অচেনা অবস্থায় নদীর ধারে পড়ে ছিল? ইতিহাসবিদদের একাংশের মতে, দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় এই অঞ্চলে বিমান চলাচল ও প্রশিক্ষণ কেন্দ্র স্থাপিত হয়েছিল। সম্ভবত কোনও যান্ত্রিক ত্রুটির কারণে বোমাটি সেই সময় নদী বা তার আশেপাশে পড়ে গিয়েছিল।
উল্লেখযোগ্যভাবে, গত বছর ঝাড়গ্রাম জেলার গোপীবল্লভপুরের ভূলানপুর গ্রামেও একটি দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধকালীন বোমা উদ্ধার হয়েছিল। সেখানেও প্রশাসন দ্রুত পদক্ষেপ নিয়ে বোমাটি নিষ্ক্রিয় করেছিল। ইতিহাস জানায়, যুদ্ধকালীন সময়ে ঝাড়গ্রামে একটি বিমানবন্দর তৈরি হয়েছিল এবং ওজন হালকা করার জন্য পাইলটরা অনেক সময় বোমা ফেলে দিতেন।
বোলপুরের এই ঘটনায় ফের একবার অতীতের ছায়া ফিরে এসেছে বর্তমানের গ্রামীণ বাংলায় যা একই সঙ্গে কৌতূহল, আতঙ্ক ও ইতিহাসের এক জীবন্ত সাক্ষ্য বহন করছে।