পেটপুজো বিভাগে ফিরে যান

প্রায় ৪০ বছর ধরে কলকাতার সেরা ঘুগনির ঠিকানা গিরিশ পার্ক

December 31, 2019 | 2 min read

ছবি সৌজন্যেঃ yummyfoodrecipes

ক্রিকেটের কপিলকে তো সারা বিশ্ব চেনে। কিন্তু, এই খোদ কলকাতার বুকে বছর বছর ধরে বাস করছেন আরেক কপিল। ঘটনাচক্রে তাঁর হাতের জাদুতেও বশ মেনেছে কলকাতার কচিকাচা থেকে প্রবীণ অনেকেই। কপিলদা জয় করে নিয়েছেন খাদ্য প্রেমিকদের মন। কপিলদার বিখ্যাত ঘুগনি আর আলুকাবলি। দীর্ঘ চল্লিশ বছর ধরে কলকাতার গিরিশ পার্ক এলাকায় তাঁর হাতে বানানো ঘুগনিতে মজে গিয়েছেন অসংখ্য খাদ্যরসিক।


আমাদের ছোটোবেলায় যেমন টিফিন হলেই স্কুলের বাইরে আমাদের জন্য অপেক্ষা করত ঘুগনি, ফুচকা, আলুকাবলি, আইসক্রিম। স্কুলের পাশে ফুটপাথে এমন দোকান এখনও দেখা যায়। হেকে হেকে তাঁরা খাবার বিক্রি করেন। কিন্তু কপিলদাকে হাঁকতে হয় না। নিজের অগুনতি ফ্যান বানিয়ে ফেলেছেন তিনি। কপিলদার এই ব্যবসা শুরু হয়েছিল তাঁর বাবার সূত্রেই। আগে তাঁর বাবা ঘুগনি বিক্রি করতেন। ঘুগনি বন্ধ করে আলুকাবলিতে এলেন।


বাবার হাত ধরেই একসময় কপিল ব্যবসায় নেমেছিলেন। ঠিক করলেন একসঙ্গে দুটো জিনিসই বিক্রি করবেন। এখানকার ঘুগনি এবং আলুকাবলি পাওয়া যাবে মাত্র পাঁচ টাকা আর দশ টাকায়। প্রত্যেকদিন গিরিশ পার্ক থানার কাছেই রামদুলাল সরকার স্ত্রিটে কপিলদাকে পাওয়া যাবে সন্ধে ৬টা থেকে রাত ৯টা অবধি। চিনতে না পারলে থানার কাছে এসে যদি কাউকে জিজ্ঞাসা করেন কপিলদার দোকানটা ঠিক কোথায়, সঙ্গে সঙ্গেই জেনে যাবেন।

ছবি সৌজন্যেঃ protraveloholic


যাঁরা এখনও কপিলদার হাতের জাদুর পরখ করেননি, চলে আসুন চটপট। কলকাতার যে যে ঐতিহ্যগুলি এখনও জীবিত রয়েছে, তাদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য এই কপিলদার দোকান। কপিলদাদের মতো মানুষদের দৈনন্দিন সংগ্রামে অংশ নিয়ে তাঁদের মুখে হাসি ফোটাবার দায় আমাদেরও। কারণ তাঁরাও শিল্পী। আর কে না চায় শিল্পের স্বাদ পেতে।

TwitterFacebookWhatsAppEmailShare

আরো দেখুন