পেটপুজো বিভাগে ফিরে যান

রসুন কতটা খাওয়া উচিত

January 1, 2020 | 2 min read

রসুনের আছে হরেক গুণ, রয়েছে নানা পুষ্টিগুণ। শরীর ভাল রাখা ছাড়াও বিশেষ কিছু রোগ নিয়ন্ত্রণে রাখার ক্ষেত্রে রসুন প্রায় বিকল্পহীন।

রসুন রক্ত পরিষ্কার রাখার কাজ করে। তাই মুখে বা ত্বকে নানা র‍্যাশ, চুলকানি প্রায়শই যদি ব্লাড ইমপিয়োরিটির কারণে হয়, তা হলে রোজ রসুন খেতেই পারেন। রোজ দু’কোয়া রসুনই এর জন্য যথেষ্ট। সকালে এই কাঁচা রসুনের সঙ্গে খেতে হবে প্রচুর পরিমাণে জল। শরীরের টক্সিন বার করতেও সাহায্য করে রসুন। এক গ্লাস ঈষদুষ্ণ জলে অর্ধেক পাতিলেবুর রস আর দু’কোয়া রসুন কুচি গুলে খেলে শরীর থেকে বেরিয়ে যায় ক্ষতিকর টক্সিন।


যাঁদের ঠান্ডা লাগার ধাত রয়েছে, তাঁদের জন্য রসুন খুবই উপকারী। এর জন্য গার্লিকটি বানিয়ে খেতে পারেন। গরম জলে থেঁতো করা রসুন ফুটিয়ে নিয়ে, তার পরে ছেঁকে পান করতে হবে। আবার প্রথম পাতে গরম ভাতের সঙ্গে ঘিয়ে ভাজা রসুন খেতে পারেন। ঠান্ডা লাগা তো কমবেই, সাইনাসাইটিসের কষ্ট থেকেও রেহাই মিলবে। রোজ রসুন খেলে নাক বন্ধ হওয়ার সমস্যা যেমন নিয়ন্ত্রণে আসে, তেমনই পুরো শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাও বাড়াতে সাহায্য করে।


কাঁচা খাওয়া হোক কিংবা রান্না করা… রোজকার তালিকায় রসুন থাকলে তা কোলেস্টেরল কমায়। ভাল থাকে হার্ট।

রসুনের মধ্যে রয়েছে অ্যান্টি-ব্যাকটিরিয়াল এবং অ্যান্টি প্যারাসাইটিক গুণাগুণ। শরীরে খারাপ ব্যাকটিরিয়া, ফাঙ্গাস আর প্যারাসাইটের মোকাবিলা করতে অ্যান্টিবায়োটিক হিসেবে রসুন খাওয়ার ইতিহাস বেশ পুরনো। এমনকি টেপওয়র্ম জাতীয় কৃমি থেকে রেহাই পেতেও খাওয়া যেতে পারে রসুন।

ইদানীং কালের নানা সমীক্ষা বলছে, রোজ রসুন খেলে বিশেষ কিছু ধরনের ক্যানসারের মোকাবিলা করা যায়। স্টম্যাক ও কোলোরেকটাল ক্যানসারের আশঙ্কাও কমায় রসুন।

ব্রণ বা বড় পিম্পলের মুখে রসুন কেটে খানিকক্ষণ ধরে রাখলে জ্বালা কমে। আবার ত্বকের কোলাজেন রক্ষা করতে সাহায্য করে বলে রসুনকে বলা যেতে পারে অ্যান্টিএজিংয়ের অন্যতম দাওয়াই।

TwitterFacebookWhatsAppEmailShare

#Food, #Life Style, #Fitness, #Garlic, #Health Tips, #Vitamin

আরো দেখুন