মিষ্টি রসগোল্লা লঙ্কার ঝালে চমৎকারী
রসগোল্লা, কিন্তু ঝাল। শুনে আঁতকে ওঠার উপায় নেই। গত দু’বছর ধরে মেদিনীপুরের একটি মিষ্টির দোকানে এমনই ঝাল রসগোল্লা তৈরি হচ্ছে। বিক্রিও হচ্ছে দেদার। দেখতে আর পাঁচটা রসগোল্লার মতোই। কিন্তু রসগোল্লার রসের দিকে তাকালেই বোঝা যায় ফারাকটা। রসে রসগোল্লার সঙ্গে ভাসছে দু’ভাগে চেরা লঙ্কা। আর পাঁচটার মতো ঝাল রসগোল্লা মুখে দিলে মিষ্টির স্বাদ মিলবে বটে। তার চেয়ে ঢের বেশি মিলবে ঝালের স্বাদ। ক্রেতারা পছন্দও করছেন রসগোল্লার এই নতুন স্বাদবাহার।
মেদিনীপুরে বেড়াতে গিয়ে অনেকেই ফেরার সময়ে খুঁজে পেতে কিনে নিচ্ছেন এই ঝাল রসগোল্লা। মেদিনীপুরে নানা ধরনের রসগোল্লা পাওয়া যায়। কেশর রসগোল্লা, গাজর রসগোল্লা, সুগার ফ্রি রসগোল্লা।
কথিত আছে, ১৮৪৫ থেকে ১৮৫৫-র মধ্যে ফুলিয়ার হারাধন ময়রা তাঁর শিশুকন্যার বায়না মেটাতে ফুটন্ত চিনির রসে কাঁচা ছানার গোলা ফেলে এক নতুন ধরনের মিষ্টি তৈরি করেন। তার পরে রসগোল্লা নিয়ে বাঙালি কম পরীক্ষা-নিরীক্ষা করেনি। আম, মধু, নলেন গুড়, কেশর, গাজর-সহ নানা ধরনের রসগোল্লা তৈরি হয়েছে। আবার রসগোল্লা নিয়ে বাংলা ও ওডিশার বিবাদ এখন আর নতুন কাহিনি নয়। শেষ পর্যন্ত বাংলারই যে জয় হয়েছে সেটাও সকলের জানা। কিন্তু বাঙালিই যে রসগোল্লার প্রকৃত কারিগর সেটা যেন ঝাল রসগোল্লা তৈরিতেও নতুন করে প্রমাণ হল।
চিনির রসে ডোবানো রসগোল্লা নিয়ে এখন অনেকেরই নানা আপত্তি। সুগারের সমস্যা তো রয়েছেই। তার সঙ্গে চিকিৎসকেরাও অনেককে চিনি খাওয়া একদম ছেড়ে দিতে বলছেন। ফলে ক্রেতা ধরে রাখতেই রসগোল্লা নিয়ে গোটা রাজ্য জুড়ে নানা ‘গবেষণা’ চলছে।
একটি ঝাল রলগোল্লার দাম দশ টাকা।