কলকাতার বুকে আর এক কলকাতা
কলকাতার বুকেই আর এক কলকাতা। নিউটাউন কথার মাঝেই রয়েছে নতুন শহর। আর সত্যিই সেখানে পৌঁছে মনে হয় যেন আর এক কলকাতা শহরে পৌঁছে গেলাম। নানা আধুনিক ভাবনার ছাপ এই উপনগরীতে
বাস স্টপে জিম
নিউ টাউনের অ্যাকশন এরিয়া ১ এবং ২ এর একটি গুরুত্বপূর্ণ মোড়ে আছে শরীরচর্চার উপযোগী যন্ত্র। সকাল-বিকেল হাঁটতে বেড়িয়ে তো বটেই, বাস না আসা পর্যন্ত যতক্ষণ অপেক্ষা করতে হয়, সেই সময়টুকুও শরীরচর্চার সুযোগ পাচ্ছেন মানুষ। রাজ্যের আর কোনও শহরে এই ব্যবস্থা নেই
ভার্টিকাল গার্ডেন
সিঙ্গাপুর, মেক্সিকোর ধাঁচে রাজ্যে নিউটাউনেই প্রথম গড়ে উঠেছে ভার্টিকাল গার্ডেন। শহরের নজরুলতীর্থ মোড়, রবীন্দ্রতীর্থ মোড়ে গেলে দেখা যাবে, ফ্লাইওভার আর মেট্রোর পিলারের মধ্যে তৈরি করা হয়েছে এই গার্ডেন। দূষণ ঠেকাতেও উল্লেখযোগ্য ভূমিকা নিয়েছে এই আকর্ষণীয় পদক্ষেপ
ইকো পার্ক ও সপ্তম আশ্চর্য
প্রায় ৪৫০ একর জায়গা জুড়ে নিউটাউনে গড়ে উঠেছে ইকো পার্ক – বর্তমানে আমাদের বেড়ানোর সেরা জায়গা। হরেক রকমের পশুপাখি থেকে শুরু করে বোটিং, টয়ট্রেন সবই রয়েছে এই পার্কে। পাশাপাশি, মিশরের পিরামিড, ব্যাবিলনের শূন্যোদ্যান, আগ্রার তাজমহল, চিনের প্রাচীর, পিসার হেলানো মিনার, প্যারিসের আইফেল টাওয়ার ও ব্রাজিলের ক্রাইস্ত দে রিদিমারের রেপ্লিকাও রয়েছে সেখানে
অ্যাপ সাইকেল
বছর দুয়েক আগেই নিউটাউনে চালু হয়েছে অ্যাপ চালিত সাইকেল। এই সাইকেল চালাতে গিয়ে চালকদের যাতে সমস্যা না হয়, সেজন্য নিউটাউনের গুরুত্বপূর্ণ রাস্তায় সাইকেলের জন্য তৈরি হয়েছে আলাদা লেনও। রাজ্যের আর কোনও শহরে সাইকেল চলাচলের জন্য এমন পদক্ষেপের নজির নেই
প্রবীণদের জন্য পৃথক পার্ক
রাজ্যের মধ্যে নিউটাউনই একমাত্র উপনগরী যেখানে শুধুমাত্র প্রবীণদের জন্যই তৈরি করা হয়েছে আস্ত একটি পার্ক। যেখানে শুধুমাত্র ষাটোর্ধ্বরা বিনোদনের জন্য প্রবেশ করতে পারেন। ওই পার্কের মধ্যে প্রবীণদের স্বার্থে তৈরি করা হয়েছে লাফিং ক্লাব থেকে শুরু করে যোগব্যায়াম কেন্দ্র, স্মার্ট লাইব্রেরি সবকিছু
মিষ্টি হাব
কে সি দাশ থেকে বাঞ্ছারাম, বাংলার লাল দই থেকে শক্তিগড়ের ল্যাংচা, বর্ধমানের সীতাভোগ-মিহিদানা, কৃষ্ণনগরের সরভাজা-সরপু্রিয়া, জয়নগরের মোয়ার মতো রাজ্যের নানা প্রান্তের জনপ্রিয় মিষ্টি সবই এক ছাদের তলায় মেলে ইকো পার্কের তিন নম্বর গেট সংলগ্ন মিষ্টি হাবে। রাজ্যের কোথাও একই ছাদের তলায় বাংলার সেরা মিষ্টি বিক্রির জন্য এমন ব্যবস্থা নেই
পকেট পার্ক
পথ চলতে-চলতে ক্লান্ত বা অফিসে টানা কাজ করতে-করতে ঝিমিয়ে পড়ছেন, এই অবস্থা থেকে নাগরিকরা যাতে স্বস্তি পান সেজন্য নিউটাউনের বিভিন্ন প্রান্তে ইতিমধ্যেই গড়ে তোলা হয়েছে পকেট পার্ক। গুরুত্বপূর্ণ মোড় সংলগ্ন আইল্যান্ডের উপরে গড়ে তোলা এই পার্কে রয়েছে ওয়াইফাইয়ের সুবিধাও
ব্যাটারি চালিত বাস
নিউটাউনের বর্তমানে চলাচল করে ৫টি ব্যাটারি চালিত সিটি সার্ভিস বাস। বাতানুকূল এই বাসগুলি যেমন গন্তব্যে পৌঁছনোর জন্য আরামদায়ক, তেমনই দূষণও ছড়ায় না। তাই নয়া উপনগরীর দূষণের মাত্রা তুলনায় কম
অত্যাধুনিক বাস স্টপ
একেবারে অচেনা নিউটাউনে গিয়েছিলেন কাজে? বাড়ি ফিরতে কোন বাস ধরবেন জানেন না, একে-ওকে জিজ্ঞেস করেও উত্তর পাচ্ছেন না? পাবেন, যদি দাঁড়িয়ে থাকেন নিউটাউনের ডিএলএফ মোড়, রবীন্দ্রতীর্থ কিংবা ইকো পার্ক বাস স্টপেজে৷ কারণ স্টপেজে শুধু সেখান দিয়ে যাওয়া বাসের নম্বরই লেখা নেই, এমনকি তা কোথা থেকে কোথায় যাবে, কোন কোন রুটে যাবে, সেটাও লেখা। আপাতত ৮টি স্টপে এমন ব্যবস্থা চালু হয়েছে৷ ভবিষ্যতে আরও ২০টি এমন অত্যাধুনিক বাস স্টপ তৈরির পরিকল্পনা রয়েছে
ঝুলন্ত রেস্তোরাঁ
রাজ্যের প্রথম এমন ঝুলন্ত রেস্তোরাঁ রয়েছে বিশ্ব বাংলা গেটের উপর। প্যারিসের আইফেল টাওয়ারের ভিজিটার্স গ্যালারি এবং মালয়েশিয়ার ঝুলন্ত রেস্তোরাঁ থেকেই এই রেঁস্তোরা তৈরির পরিকল্পনা
ডিজিটাল হোর্ডিং
দৃশ্য দূষণ ঠেকাতে যত্রতত্র হোর্ডিং লাগানোয় প্রথম থেকেই রাশ টেনেছে নিউটাউন উন্নয়ন পর্ষদ। উল্টে, বিজ্ঞাপন থেকে রোজগারের জন্য নিউটাউনের ৪৪ টি গুরুত্বপূর্ণ মোড়ে ডিজিট্যাল হোর্ডিং বসানো হয়েছে। অন্যান্য শহরে দৃশ্যদূষণ ঠেকাতে এমন পরিকল্পনা নেই