কলকাতা বিভাগে ফিরে যান

সব্জি-ফসল বাড়ছে ধাপার মাঠের সারে

February 6, 2020 | < 1 min read

শহরের প্রতিটি ওয়ার্ডে বাড়ি-বাড়ি জঞ্জাল সংগ্রহের জন্য ওয়ার্ডপিছু ৫টি করে ব্যাটারিচালিত গাড়ি নামাতে চলেছে কলকাতা পুরসভা। এর জন্য এই ধরনের ৫০০ গাড়ি কেনার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। বর্তমানে, পুরসভার হাতে এই ধরনের ২০০টি গাড়ি রয়েছে।

একই সঙ্গে ইএম বাইপাস সংলগ্ন ধাপার মাঠের আরও ব্যবহারে জোর দিচ্ছে পুরসভা। যত্রতত্র পড়ে থাকা জঞ্জালের মধ্যে যে জিনিসগুলি তাদের কাজে লাগে, কাগজকুড়ানিরা শুধু সেগুলিই তুলে নিয়ে বাকি ময়লা ওই জায়গাতেই ফেলে দেয়। এই ঘটনায় রাশ টানতে ধাপার মাঠে ১ লক্ষ বর্গফুট জায়গা নির্দিষ্ট করছে কলকাতা পুরসভা। ওই পুরো জায়গাটি টিনের শেড দিয়ে ঘিরে দেওয়া হবে, সেখানে এসেই কাগজ কুড়ানিদের দল শহরের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে সংগ্রহ করা জঞ্জাল জমা করবে ও সেখানেই তা পৃথকীকরণের কাজ করবে।

কিন্তু প্রশ্ন উঠছে, শহরের নানা প্রান্তের কাগজ কুড়ানিদের দল কী ভাবে ধাপার মাঠে পৌঁছবে আসবে? সদুত্তর মেলেনি। তবে পুরসভার জঞ্জাল ও অপসারণ বিভাগের মেয়র পারিষদ দেবব্রত মজুমদার অবশ্য সোমবার দাবি করেন, ‘কাগজ কুড়ানিদের দল এখানে এলে শহরের সব প্রান্তের জঞ্জাল থেকেই গুরুত্বপূর্ণ জিনিস সংগ্রহ করতে পারবে।’ বর্তমানে একটি বেসরকারি সংস্থার সঙ্গে যৌথ উদ্যোগে ধাপার মধ্যেই একটি জৈব সার তৈরির কারখানা চালু রয়েছে। যে কারখানাটি প্রতিদিন ধাপা থেকে ১০০০-১৩০০ মেট্রিক টন জঞ্জাল সংগ্রহ করে। ওই জঞ্জাল থেকে তৈরি হয় প্রায় ২০০-৩০০ মেট্রিক টন জৈব সার। বাজারে এই ৫০ কেজি প্যাকেটের সারের দাম ৪৫০ টাকা।

সংস্থার তরফে সুরেশ লোহিয়া বলছেন, ‘পূর্ব মেদিনীপুর, পশ্চিম মেদিনীপুর, বর্ধমান, হুগলিতে সব্জি চাষের জন্য এবং চা বাগান রয়েছে এমন এলাকাতে এই জৈব সারের চাহিদা বেশ ভালো।’ এই চাহিদার কথা মাথায় রেখে তারা ধাপার মাঠ থেকে জঞ্জাল সংগ্রহের পরিমাণ আরও বাড়ানোর পরিকল্পনা নিয়েছে বলে দাবি সুরেশের। নতুন ইউনিটের জন্য ধাপার মাঠে শুরু হয়েছে বিল্ডিং তৈরির কাজও।

TwitterFacebookWhatsAppEmailShare

#dhapar math, #vegetable, #Cultivation

আরো দেখুন