বসন্ত উৎসবের আস্বাদ পেতে যেতে হবে বাংলার এই জায়গাগুলিতে
দোলের দিনে আবিরে রাঙাতে কার না মন চায়! পলাশ আর কৃষ্ণচূড়ার রঙে প্রকৃতিও রঙিন হয়ে ওঠে এই সময়। বসন্ত এলেই যেন মনটা বলে ওঠে, ‘পিন্দারে পলাশের বন পালাব পালাব মন’। দোল মানেই শিমুল-পলাশ-আবির-রং আর অবশ্যই রঙের উৎসবে মেতে ওঠা মানুষের বাঁধভাঙা আনন্দ। গোটা প্রকৃতিই যেন বলে ওঠে, ‘রাঙিয়ে দিয়ে যাও যাও যাও গো এ বার যাবার আগে’।
বসন্ত উৎসবের আস্বাদ পেতে যেতে হবে বাংলার এই জায়গাগুলিতে:
পুরুলিয়া
শান্তিনিকেতনের ভিড় অনেকেই পছন্দ নাই হতে পারে। তা হলে ঘুরে আসুন অযোধ্যা পাহাড়ের কোলে পুরুলিয়ায়। নীল আকাশ, রাস্তার ধারে ধারে আগুনরাঙা পলাশের সমাহার, পাহাড় ঝরনা, মাদল আর মহুয়ায় মাতোয়ারা হতে বসন্তে রঙের উৎসবে শামিল হতে চলে যান পুরুলিয়া।
মূল আকর্ষণ- লোকগীতি, সাঁওতালি নাচ-গান, ঝুমুর, ছৌ। সেখানে গত কয়েক বছর ধরে শুরু হয়েছে পলাশ উৎসবও। গোটা জেলা জুড়ে চলবে উৎসবের আবহ। দোলের আগের দিন বিকেল থেকে পাহাড়ের কোলে সাঁওতালি নৃত্য আর ঝুমুর গান দিয়ে উৎসবে আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন হয়৷ সঙ্গে প্রথা মেনে হয় ন্যাড়াপোড়াও৷ দোলের দিন সকালে উৎসব শুরু হয়৷ সন্ধ্যা থেকে বাউল গানের আসর৷ তা হলে দেরি কীসের! দোলে এক ছুট্টে চলে যান শাল-পিয়ালের বনে।
অনেকেই সময়ের অভাবে শান্তিনিকেতন বা পুরুলিয়ায় যেতে পারেন না। তাঁরা কাছাকাছি ঘুরে আসতেই পারেন গলফ গ্রিন কিংবা রবীন্দ্রতীর্থে।
গলফ গ্রিন
প্রতিবছর দোল উৎসবের আয়োজন করে গলফ গ্রিন দোল উৎসব কমিটি। এলাকার সকলে অংশও নেন এই উৎসবে। নারী পুরুষ নির্বিশেষে দোলের আনন্দে মেতে ওঠে অগণিত মানুষ। মেয়েদের সাজসজ্জায় ভরপুর পলাশ ফুল, চোখে-মুখে অপার আনন্দ নাচ-গান ও আবির রঙে রাঙিয়ে পালিত হয় বসন্ত উৎসব।
রবীন্দ্রতীর্থ
রঙে মাখা দিন, দোলের কাছে ঋণ। সূর্য ওঠার আগে এদিন উঠে পড়ে নিউটাউনের রবীন্দ্রতীর্থ। ভোর থেকেই শুরু হয় প্রস্তুতি, প্রভাতফেরি, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। সঙ্গে সকাল থেকে চুটিয়ে আবির খেলা। বসন্তের সঙ্গে রঙ মিশে নাচে গানে রঙিন উৎসব। দোলের রঙ উঠে যায় কিন্তু রঙ থেকে যায় মনে। তাই মনের রঙে রাঙাতে হলে আপনাকে যেতেই হবে রবীন্দ্রতীর্থে।