শহরে চারটি কোয়ারান্টিন সেন্টার
রাজারহাটের পর এ বার কলকাতা শহরের বুকে সরকারি কোয়ারান্টিন সেন্টার গড়ে তোলার পরিকল্পনা নিয়েছে রাজ্য স্বাস্থ্য দপ্তর। অন্তত এক হাজার লোকের থাকা-খাওয়ার ব্যবস্থা করা হবে সেখানে। তার জন্য উপযুক্ত জায়গা খুঁজে বের করতে বলা হয়েছে কলকাতা পুরসভাকে।
সরকারি সূত্রের খবর, কোয়ারান্টিন সেন্টার খোলার জন্য প্রাথমিক ভাবে চারটি জায়গাকে চিহ্নিত করেছে কলকাতা পুর কর্তৃপক্ষ। এগুলি হল যাদবপুরের কিশোর ভারতী স্টেডিয়াম, কসবার ইচ্ছাপূরণ, বেহালার জেমস লং সরণির আবাহন এবং পর্ণশ্রীর আগমনী কমিউনিটি হল।
এই নামের তালিকা মেয়র ফিরহাদ হাকিমের কাছে জমা পড়েছে। তিনিই এ বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবেন। মেয়রের সিলমোহর পড়লেই স্বাস্থ্য দপ্তরের কাছে ফাইনাল তালিকা পাঠিয়ে দেওয়া হবে। একই সঙ্গে, সেন্টার খোলা নিয়ে যাতে কোনও ঝামেলা না হয়, তার জন্য বাড়তি সাবধানতা অবলম্বন করছে প্রশাসন।
এখন কলকাতার আশপাশে একমাত্র রাজারহাটে কোয়ারান্টিন সেন্টার রয়েছে। এখানে মোট ২৫০টি শয্যা আছে। বিভিন্ন হাসপাতাল মিলিয়ে সর্বসাকুল্যে আরও ৭০-৮০টি শয্যা রয়েছে। ভবিষ্যতের কথা মাথায় রেখে তাই কলকাতায় আরও কোয়ারান্টিন সেন্টার গড়ে তুলতে চাইছে রাজ্য স্বাস্থ্য দপ্তর।
স্বাস্থ্য ভবন সূত্রে জানা গিয়েছে, রাজ্য জুড়ে এই মুহূর্তে মোট ৫১৬টি সরকারি কোয়ারান্টিন সেন্টার খোলা হয়েছে। মূলত সরকারি স্কুল, কলেজ অথবা কমিউনিটি হলে এই সেন্টার বানানো হয়েছে। সেখানে যারা থাকবেন, তাদের জন্য খাবারেরও ব্যবস্থা করা হয়েছে। এ ছাড়া রাজ্যে হোম কোয়ারান্টিনে আছেন ৫২ হাজার ৮০জন। হোম কোয়ারান্টিন থেকে মুক্তি পেয়েছেন প্রায় ৩ হাজার। সরকারি কোয়ারান্টিন থেকে মুক্তি পেয়েছেন ৩৩৮৬ জন।
অস্থায়ী কোয়ারান্টিন সেন্টার গড়ার জন্য হোটেল ও রেস্টুরেন্ট অ্যাসোসিয়েশন অফ ইস্টার্ন ইন্ডিয়াকে অনুরোধ জানিয়েছিল রাজ্য সরকার। তার বিনিময়ে অবশ্য তাদের ঘর ভাড়া দেওয়া হবে। মূলত বাইরে থেকে যাঁরা ফিরেছেন বা এসেছেন, তাঁরা যাতে ১৪ দিন হোটেলে স্বাচ্ছন্দ্যে আইসোলেশনে থাকতে পারেন তার জন্যই এমন পরিকল্পনা।