প্যাকেজ ঘোষণায় দেরি কেন, কেন্দ্রের সমালোচনায় বিরোধীরা
প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ২০ লক্ষ কোটি টাকার আর্থিক প্যাকেজ ঘোষণা করলেও তা করতে কেন এতদিন লাগল? কেন এই প্যাকেজের বিশদ কিছু প্রধানমন্ত্রী বললেন না? গরিব নিম্নবিত্ত মানুষ, পরিযায়ী শ্রমিকদের কথা কেন এই প্যাকেজে নেই, এমনই প্রশ্ন তুলে মোদীর আর্থিক প্যাকেজ নিয়ে সমালোচনায় সরব হল বিরোধীপক্ষ।
এই আর্থিক প্যাকেজের মাধ্যমে মোদী স্বনির্ভর দেশ গড়ার কথা বললেও সেই ঘোষণাকে খুব বেশি গুরুত্ব দিতে নারাজ বিরোধীরা। এই আর্থিক প্যাকেজ নিয়ে প্রবীণ তৃণমূল সাংসদ সৌগত রায় বলেন, ‘২০ লক্ষ কোটি টাকার আর্থিক প্যাকেজের কথা বলা হলেও সেই প্যাকেজে কী থাকবে স্পষ্ট নয়। আসলে প্রধানমন্ত্রী ও অর্থমন্ত্রী কেউই অর্থনীতিবিদ নয়। যিনি মুখ্য আর্থিক উপদেষ্টা, তিনিও যোগ্য ব্যক্তি নন। এই কারণে এই প্যাকেজ ঘোষণা হতে এত সময় লাগল।’
চড়া সুরে মোদীর এ দিনের ঘোষণার সমালোচনা করেছে কংগ্রেস। প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি সোমেন মিত্র বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী প্রায় ৩০ মিনিটের দীর্ঘ ভাষণে ২০ লক্ষ কোটির কথা বললেও, আর্থিক স্বনির্ভরতার কথা বললেও, অনেক প্রশ্নের উত্তর নেই। গরিব মানুষ থেকে পরিযায়ী শ্রমিকদের আশু রিলিফের কথা নেই। পিএম কেয়ারের টাকা নিয়ে কী হবে? এর উত্তর নেই।’
মোদীর প্যাকেজ নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন বামেরাও। সিপিএম রাজ্য সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্য সুজন চক্রবর্তীর কথায়, ‘মোদীর এই ভাষণে একবারও পরিযায়ী শ্রমিকদের প্রসঙ্গ এল না। চিকিৎসক ও স্বাস্থ্যকর্মীদের সুরক্ষার প্রসঙ্গ এলে না। লকডাউন কী ভাবে চলবে আর অর্থনীতির চাকা কী ভাবে ঘুরবে, তার উত্তর নেই। সব মিলিয়ে অত্যন্ত হতাশাজনক এই ভাষণ।’
সমালোচনার উত্তর দিতে ময়দানে নেমেছেন বিজেপি সভাপতি দিলীপ ঘোষ। তিনি বলেন, ‘মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ১০ লক্ষ কোটি টাকার প্যাকেজের দাবি করেছিলেন। মোদীজি ২০ লক্ষ কোটির প্যাকেজ দিয়ে চমকে দিয়েছেন। এই প্যাকেজের বিষয়গুলো বিস্তারিত ভাবে অর্থমন্ত্রী তুলে ধরবেন। কিছু মানুষ আছেন যারা নিজেরা হতাশার মধ্যে থাকেন, ভগবানের পক্ষেও এদের হতাশা নিরাশা দূর করা সম্ভব নয়।’
দিলীপের বক্তব্য খণ্ডন করে সৌগত বলেছেন, ‘মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ১০ লক্ষ কোটির কথা বলেছিলেন লক-ডাউনের শুরুতে। ৫০ দিন পেরিয়ে যাওয়ার পর তিনি এই কথা বলেননি। ২০ লক্ষ কোটি বলা হচ্ছে কিন্তু কোনও দিশা নেই।’