প্রবাসীদের ফেরাতে রাজ্য অনেক আগে থেকেই প্রস্তুত, কেন্দ্রকে জানাল নবান্ন
বিদেশে আটকে থাকাদের ফেরাতে রাজ্য এখনও উদ্যোগী হয়নি, কেন্দ্রের এই অভিযোগকে নস্যাৎ করল নবান্ন। করোনা আবহে বিদেশে আটকে থাকা এ রাজ্যের বাসিন্দাদের ফেরাতে রাজ্য যে সর্বতো ভাবে প্রস্তুত, সে কথা অনেক আগেই কেন্দ্রকে জানানো হয়েছে বলে এ বার টুইট করে জানাল তারা। স্বরাষ্ট্র দফতরের তরফে টুইট করে বলা হয়, বিদেশে আটকে থাকা এ রাজ্যের বাসিন্দাদের ফেরাতে রাজ্য কী রকম ভাবে প্রস্তুত তার সবটাই কেন্দ্রকে অনেক আগেই চিঠি পাঠিয়ে জানানো হয়েছে। টুইটে জানানো হয়েছে, ওই প্রবাসীদের স্বাগত জানাতে সব রকম ভাবেই তৈরি রাজ্য।
‘বন্দে ভারত মিশন’-এর আওতায় প্রবাসী ভারতীয়দের নিয়ে যে সমস্ত বিমান দেশে ফিরছে, তাতে পশ্চিমবঙ্গের নাম নেই কেন তা নিয়ে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় টুইটারে প্রশ্ন তোলেন রাজ্যের মন্ত্রী তথা তৃণমূলের মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায়। প্রবাসী ভারতীয়দের ফেরানো নিয়েও বাংলার সঙ্গে কেন্দ্র পক্ষপাতিত্ব করছে বলে অভিযোগ তোলেন তিনি। কোন বিমান কোথায় নামছে তার একটি তালিকা তুলে ধরে টুইটারে তিনি লেখেন, ‘‘জর্জিয়া থেকে গুজরাতে ফেরার লোক রয়েছেন, অথচ কেউ কলকাতায় ফিরতে চাইছেন না? কিরগিজস্তান থেকে বিহার ফিরছেন মানুষ, অথচ বাংলায় ফেরার লোক নেই? এটা কি সত্যি বিশ্বাসযোগ্য? এই অবিচার বন্ধ করুন।’’ বিজেপিকে তিনি ‘মিথ্যেবাদী’ বলেও উল্লেখ করেন ওই টুইটে।
ওই রাতেই বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্র অনুরাগ শ্রীবাস্তব একটি টুইট করেন। সেখানে তিনি লেখেন, ‘‘বিদেশ মন্ত্রক রাজ্যগুলোর সঙ্গে পক্ষপাতিত্ব করে না। বাংলা-সহ দেশের বিভিন্ন প্রান্তের যাঁরা বিদেশে আটকে রয়েছেন, তাঁদের সকলকে দেশে ফেরানোই কেন্দ্রের বন্দে ভারত মিশনের লক্ষ্য। বাংলা থেকে বিশ্বের নানা প্রান্তে যাওয়া ৩ হাজার ৭০০ জন ইতিমধ্যেই দেশে ফেরার আবেদন জানিয়েছেন।’’
তিনি আরও লেখেন, ‘‘রাজ্য সরকার সকলকে স্বাগত জানানো এবং কোয়রান্টিনে পাঠানোর ব্যবস্থা করলেই সানন্দে কলকাতায় বিমান পাঠানোর ব্যবস্থা করব আমরা। স্থলসীমান্ত দিয়ে প্রতিবেশী রাষ্ট্রগুলো থেকেও বাংলার মানুষদের ফিরতে সাহায্য করব। আশা করি খুব শীঘ্রই এ ব্যাপারে রাজ্যের জবাব মিলবে।’’
এর পরেই এ দিন সকালে রাজ্য স্বরাষ্ট্র দফতরের তরফে টুইট করা হয়। তাতে লেখা হয়, ‘‘বিভিন্ন দেশে আটকে পড়া মানুষদের স্বাগত জানাতে প্রস্তুত পশ্চিমবঙ্গ সরকার। তাঁদের ফেরানোর ব্যাপারে সম্মতি এবং কোয়রান্টিনের ব্যবস্থা সংক্রান্ত সমস্ত বিষয় অনেক আগেই কেন্দ্রীয় সরকারকে জানানো হয়েছে।’’
একই সঙ্গে চলতি মাসের শুরুতে রাজ্যের মুখ্যসচিব রাজীব সিংহের লেখা দু’টি চিঠিও ওই টুইটে জুড়ে দেওয়া হয়। তার একটি পাঠানো হয়েছিল বিদেশ মন্ত্রকের অতিরিক্ত সচিব অরুণকুমার চট্টোপাধ্যায়কে এবং অন্যটি কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র সচিব অজয় ভাল্লাকে।