লকডাউনের প্রভাব পড়েছে নগদবিহীন লেনদেনে
কাগজের নোট থেকে হতে পারে সংক্রমণ। এই আশঙ্কাতেই নগদবিহীন লেনদেন করার পরামর্শ দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা। একই পরামর্শ রিজার্ভ ব্যাঙ্কেরও। কিন্তু পরিসংখ্যান বলছে, কেন্দ্রীয় সরকার ঘোষিত লকডাউনের শুরু থেকে ডিজিটাল লেনদেনের পরিমাণ অনেকটাই কমেছে।
ডিজিটাল পেমেন্টকে বাস্তবায়িত করতেই গঠিত হয় এনপিসিআই। তাদের তথ্য অনুযায়ী , ইউনিফায়েড পেমেন্টস ইন্টারফেস বা ইউপিআই মারফত মার্চ মাসে এদেশে প্রায় ১২৫ কোটি লেনদেন হয়েছে, যার মোট পরিমাণ প্রায় ২ লক্ষ ৬ হাজার ৫০০ কোটি টাকা। এপ্রিলে এসে সেই লেনদেনের সংখ্যা কমে দাঁড়ায় প্রায় ১০০ কোটিতে। টাকার অঙ্কে তা নেমে আসে প্রায় ১ লক্ষ ৫১ হাজার কোটিতে।
ফেব্রুয়ারিতে লেনদেন হয়েছিল প্রায় ২ লক্ষ ২২ হাজার ৫০০ কোটি টাকার। এদিকে, ইউপিআই মারফত লেনদেনগুলির মধ্যে ভিম অ্যাপের মাধ্যমে লেনদেনের যে হিসেব পেশ করেছে এনপিসিআই, সেখানেও দেখা যাচ্ছে, ফেব্রুয়ারি, মার্চ ও এপ্রিলে লেনদেন হয়েছে যথাক্রমে ১.৮৫ কোটি, ১.৮৪ কোটি এবং ১.৭ কোটি। টাকার অঙ্কে যা যথাক্রমে ৬,৬১১ কোটি, ৬,৫২৪ কোটি এবং ৬,০৪৯ কোটি।
এই সংস্থার দাবী, ভারত বিল পেমেন্ট সিস্টেমের মাধ্যমে গত মাসে লেনদেন হয়েছে ১,৩৭১ কোটি টাকার। মার্চে লেনদেন হয় ১,৯৫৪ কোটি টাকার। ফেব্রুয়ারিতে তা ছিল ১,৯৫৭ কোটি টাকা। জানুয়ারিতে ১,৯৬৭ কোটি টাকা। আধারের মাধ্যমে পেমেন্টের ক্ষেত্রে মার্চ মাসে কম হলেও, তা বেড়েছে এপ্রিলে। গতমাসে আধারের মাধ্যমে পেমেন্ট হয়েছিল ১৪ হাজার ৭০০ কোটি টাকার। মার্চে তা ছিল ১০ হাজার ১৭০ কোটি টাকা। ফেব্রুয়ারিতে তা ছিল ১১ হাজার ৩৯০ কোটি টাকা। এবং জানুয়ারিতে তা ছিল ১১ হাজার ২৮৭ কোটি টাকা।
বিশেষজ্ঞদের মতে, পোস্ট অফিসের মাধ্যমে ব্যাঙ্ক লেনদেনের পরিমাণ বেড়ে যাওয়ায় এপ্রিলে ফলাফল ভালো হয়েছে। ইমিডিয়েট পেমেন্ট সার্ভিস বা আইএমপিএসের মাধ্যমে ফান্ড ট্রান্সফারের ক্ষেত্রে জানুয়ারি, ফেব্রুয়ারি ও মার্চে লেনদেন হয় যথাক্রমে প্রায় ২.১৭ লক্ষ কোটি, ২.১৫ লক্ষ কোটি এবং ২.১ লক্ষ কোটি টাকার, জানিয়েছে এনপিসিআই। এপ্রিলে তা নেমে আসে ১.২ লক্ষ কোটিতে।
ই-কমার্স পেমেন্ট হোক বা রুপে কার্ড ব্যবহারেও পিছিয়ে রয়েছে মার্চ মাস ও এপ্রিল মাস। গত ফেব্রুয়ারি, মার্চ ও এপ্রিলে পিওএস লেনদেন হয় যথাক্রমে ১০,৩০০ কোটি, ৮,১৮০ কোটি এবং ২,১৫২ কোটি টাকার।