আম্পানের ধাক্কায় কাহিল সায়েন্স সিটি, চিড়িয়াখানা, ন্যাশনাল লাইব্রেরি
ঘূর্ণিঝড় আম্পান ভয়াবহ ধ্বংসের চিহ্ন ছড়িয়ে রেখে গিয়েছে তার গতিপথের সর্বত্র। বাদ যায়নি ভারতীয় জাদুঘর, জাতীয় গ্রন্থাগার, আলিপুর চিড়িয়াখানা, সায়েন্স সিটির মতো সারা বছর আকর্ষণের কেন্দ্রে থাকা জায়গাগুলোও।
চিড়িয়াখানার কথাই ধরা যাক। চার দিকে শুধু ধরাশায়ী গাছ। কোনওটার বয়স ৮০ বছর, কোনওটা একশো পার করেছে বহু বছর আগে। এর মধ্যে রয়েছে বট-অশ্বত্থের মতো শক্তিশালী গাছও। ক্যাঙারু, জেব্রা, বিভিন্ন ধরনের হরিণ, জলহস্তী, গন্ডার এবং অবশ্যই অ্যানাকোন্ডার এনক্লোজারের মতো যে এনক্লোজারগুলো বড় বড় গাছ দিয়ে ঘেরা, সেই জায়গাগুলো ঠিক আছে কি না, চলছে তারই খোঁজ।
ভয়াবহ ক্ষতি হয়েছে সায়েন্স সিটিতেও। এখানকার বাগানে ৪২টা গাছ পড়ে যাওয়ার পাশাপাশি স্পেস সেন্টারের বেশ কয়েকটি কাচের জানলাও ভেঙে গিয়েছে। সৌর বিদ্যুতের বাতিস্তম্ভগুলোর অনেকগুলো পড়ে গিয়েছে। স্পেস সেন্টারে যাওয়ার পথের বেশ কয়েকটা জানলা এবং অ্যালুমিনিয়মের একটা ডোরফ্রেম পুরো উপড়ে গিয়েছে।
বিপর্যস্ত ন্যাশনাল লাইব্রেরিও। ৩০ একর জায়গাজুড়ে বিস্তৃত বাগানের সর্বত্র পড়ে উপড়ে যাওয়া গাছ। একাধিক জায়গায় বড় গাছের চাপে ভেঙে পড়েছে মোটা বাউন্ডারি ওয়ালও। গাছের তলায় চাপা পড়ে ভয়াবহ ক্ষতি হয়েছে জাতীয় গ্রন্থাগারের রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্বে থাকা সেন্ট্রাল পাবলিক ওয়ার্কস ডিপার্টমেন্টের (সিপিডব্লিউডি) দপ্তরেরও। ভাষা ভবন ও বেলভিডিয়ার হাউসের বেশ কয়েকটি কাচের জানলাও ভেঙে চুরমার হয়ে গিয়েছে।
তুলনামূলক ভাবে ভারতীয় জাদুঘরে ক্ষতির পরিমাণ অনেকটাই কম বলে দাবি করেছেন ভারপ্রাপ্ত অধিকর্তা অরিজিৎ দত্তচৌধুরী। বলছেন, ‘জাদুঘরে একটা গাছ পড়েছে। ভবনটির কোনও ক্ষতি হয়নি। ২০০ বছরের পুরোনো হলেও স্থাপত্যশৈলির বৈশিষ্ট্যর জন্যই জাদুঘর ভবন অত্যন্ত মজবুত। তাই রক্ষা পেয়েছে।’
অন্যদিকে, ভিক্টোরিয়ার মূল ভবনেরও ক্ষতি হয়নি তেমন। তবে ভিক্টোরিয়ার বিখ্যাত বাগানটির ভয়াবহ ক্ষতি হয়েছে। অক্ষত আছে ভিক্টোরিয়ার পরীও।