কলকাতা বিভাগে ফিরে যান

আম্পান টলাতে পারেনি টালা ট্যাঙ্ককে

May 27, 2020 | < 1 min read

ঘূর্ণিঝড় আম্পানের প্রবল দাপটেও অবিকৃত রয়েছে শতাব্দী প্রাচীন টালা ট্যাঙ্ক। ১৩০ কিলোমিটার বেগে বয়ে যাওয়া ঝড়ের ধাক্কা এটি কতটা সামলাতে পারবে, তা নিয়ে সন্দেহ ছিল কলকাতা পুরসভার। কিন্তু, ঝড়-পরবর্তী সময়ে ইঞ্জিনিয়াররা পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে স্বস্তি পেলেন, একচুলও ক্ষতি হয়নি ট্যাঙ্কের।

গত বুধবার বেলা গড়াতেই দুশ্চিন্তার কালো মেঘ ঘনিয়েছিল পুর আধিকারিকদের কপালে। সময় নষ্ট না করে পুরসভার প্রশাসক ববি হাকিমের সঙ্গে কথা বলে সাবধানতা অবলম্বন করেন ট্যাঙ্কের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্তারা। ১১০ ফুট উচ্চতার এই ট্যাঙ্কের জলধারণ ক্ষমতা ৯০ লক্ষ গ্যালন। দিনে ২৪ ঘণ্টা হাইড্রোলিক পদ্ধতিতে শহর কলকাতার বিভিন্ন অংশে জল সরবরাহ করা হয়।

অন্যদিকে, পলতা থেকে পরিশুদ্ধ পানীয় জল ২২ কিলোমিটার পথ পেরিয়ে এসে প্রথমে ছটি পাইপের মাধ্যমে ট্যাঙ্কের নীচে পৌঁছয়। এক আধিকারিক জানান, মাটির নীচ থেকে জল ওঠানামা করানো হয়। স্বাভাবিক সময়ে ট্যাঙ্কে রাত এগারোটা নাগাদ ৩ ফুট জল রাখা হয়। কিন্তু ওইদিন বিকেল থেকে রাত পর্যন্ত জল নামতে দেওয়া হয়নি। ৮ ফুটের বেশি জল রাখা হয়েছিল। ঝড়ের ঝাপটায় কোনও সমস্যা না-হয়, তাই আগে থেকেই প্রায় ৮০ লক্ষ গ্যালন জল ভর্তি করে রাখা হয়েছিল। জল সহ ট্যাঙ্কের ওজন ছিল সেই মুহূর্তে ৮৫ হাজার মেট্রিক টন।

ফিরহাদ হাকিম জানিয়েছেন, ঝড়ের আগে থেকেই নানা সতর্কতা নিয়েছিল পুরসভা। ট্যাঙ্কের উপরে সংস্কারের জন্য থাকা ক্রেন আলগা করে দেওয়া হয়েছিল যাতে হাওয়ার অভিমুখে সেটা ঘুরতে পারে। আর জল ভর্তি করে ট্যাঙ্কের ওজন বাড়িয়েই প্রবল গতি সামলানো গিয়েছে। যে কারণে স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলছেন আধিকারিকেরা।

TwitterFacebookWhatsAppEmailShare

#amphan, #Amphan Super Cyclone, #water supply, #Tala Tank, #Tallah, #Kolkata

আরো দেখুন