রাজ্য বিভাগে ফিরে যান

মোদির কাছে আবেদনের প্রতিদান মাত্র ৪১৭ কোটি! ক্ষুব্ধ মমতা

August 13, 2020 | 2 min read

করোনা-যুদ্ধের রসদ ও সরঞ্জাম সংগ্রহ অব্যাহত রাখতে প্রয়োজন অর্থ। আর তার জন্যই মঙ্গলবার ভিডিও বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির কাছে দরবার করেছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। অনুরোধ করেছিলেন, রাজ্যের নায্য পাওনা ৫৩ হাজার কোটি টাকা অন্তত দ্রুত বরাদ্দ করা হোক। প্রাপ্য হাতে এলে করোনা বিরোধী লড়াই কীভাবে গতি পাবে, প্রধানমন্ত্রীর সামনে তার স্পষ্ট ব্যাখ্যাও দিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। কিন্তু আসমুদ্র প্রয়োজনে এক ঘটি জল ধরিয়ে দিল কেন্দ্রীয় সরকার। ওই বৈঠকের পর মাত্র ৪১৭ কোটি টাকা বাংলার জন্য বরাদ্দ করল অর্থমন্ত্রক। পাশাপাশি দাবি করল, বিপর্যয় পর্বে এই অর্থ করোনা-বিরোধী লড়াইকে আরও তরান্বিত করবে।

করোনার প্রার্দুভাব আর ঘূর্ণিঝড় আম্পান’এর জোড়া ফলায় বিধ্বস্ত বাংলার কোষাগারকে চাঙ্গা করার লক্ষ্যে এই বরাদ্দ—এমন দাবি অবশ্য কেন্দ্র করতে পারেনি। পঞ্চদশ অর্থ কমিশনের সুপারিশ অনুযায়ী এই ৪১৭ কোটি টাকা বাংলার রুটিন প্রাপ্য। ডিভল্যুশন রেভিনিউ গ্রান্টের (কর বাবদ রাজ্য থেকে সংগৃহীত অর্থের যে অংশ ফেরত দেয় কেন্দ্র) ঘাটতি বাবদ ওই অর্থ দেশের আরও ১৩টি রাজ্যের মতোই প্রতি মাসে মেলার কথা বাংলার। কমিশনের সুপারিশ অনুযায়ী এই টাকা দেয় অর্থমন্ত্রক। তাই হয়েছে। আর অধিকারের দাবিতে বারবার সরব হয়ে মাত্র ৪১৭ কোটি টাকা মেলায় ব্যাপক ক্ষুদ্ধ হয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ঘনিষ্ঠ মহলে তাঁর বক্তব্য, বাংলার প্রতি কেন্দ্রীয় বঞ্চনার তালিকা ক্রমেই দীর্ঘতর হচ্ছে। তার নবতম সংযোজন এই ছিঁটেফোঁটা বরাদ্দ। প্রসঙ্গত, করোনা বিরোধী লড়াইয়ে ইতিমধ্যে ২৫০০ কোটি টাকারও বেশি নিজের কোষাগার থেকে খরচ করেছে বাংলা। কেন্দ্র থেকে মিলেছে মাত্র ১২৫ কোটি টাকা। বঞ্চনার এহেন আবর্তের মধ্যেও করোনা বিরোধী লড়াই, ঘূর্ণিঝড় বিধ্বস্ত এলাকা পুনর্গঠন, নানা সামাজিক প্রকল্প আর কর্মীদের বেতন বিরামহীনভাবে চালিয়ে যাচ্ছেন মুখ্যমন্ত্রী।

অর্থদপ্তর সূত্রে জানা গিয়েছে, পোস্ট ডিভল্যুশন ডেফিসিট গ্রান্ট বাবদ অর্থ কমিশনের সুপারিশও পুরোপুরি মানা হয়নি। শত বঞ্চনার মধ্যেও এবাবদ যেটুকু অর্থ চলতি আর্থিক বছরে (২০২০-২১) রাজ্যের মেলার কথা, তার মোট পরিমাণ ৫ হাজার ১৩ কোটি টাকা। সেই রুটিন প্রাপ্যকে বিপর্যয় পর্বে ১ হাজার ৬৭১ কোটি টাকার তিনটি মাসিক কিস্তিতে দেওয়ার জন্য গত ৬ এপ্রিল কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামনকে চিঠি লিখেছিলেন রাজ্যের অর্থমন্ত্রী অমিত মিত্র। অর্থদপ্তরের ওই সূত্রটি আরও জানিয়েছে, সেই চিঠির জবাব মেলেনি। আর এখন মাসিক কিস্তি বাবদ মাত্র ৪১৭ কোটি টাকা বরাদ্দ করে প্রচার চলছে।

TwitterFacebookWhatsAppEmailShare

#Coronavirus, #amphan, #Mamata Banerjee, #Narendra Modi

আরো দেখুন