রাজ্য বিভাগে ফিরে যান

বিমানবন্দরের ধাঁচে মেট্রোয় চালু হতে পারে ই-বোর্ডিং পাস

September 4, 2020 | 2 min read

শুধু স্মার্টকার্ডে সামাল দেওয়া মুশকিল হতে পারে। তাই মেট্রোয় ভিড়ের মোকাবিলায় বিমানবন্দরের ধাঁচেই চালু হতে পারে ই-বোর্ডিং পাস। বৃহস্পতিবার নবান্নে রাজ্য প্রশাসন এবং মেট্রো-কর্তাদের বৈঠকে এই বিষয়ে এক দফা আলোচনা হয়েছে।

আজ, শুক্রবার মেট্রো ভবনে ডিজিটাল প্রযুক্তি নিয়ে রাজ্য প্রশাসনের প্রতিনিধিদের সঙ্গে মেট্রো-কর্তাদের দ্বিতীয় দফার বৈঠক রয়েছে। পরিবহণ দফতরের ‘পথদিশা অ্যাপ’ নির্মাণের সঙ্গে যুক্ত আধিকারিকেরা মেট্রোর প্রযুক্তি-বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে ই-বোর্ডিং পাস নিয়ে আলোচনা করবেন। তার পরেই পরিষেবা শুরু করার ব্যাপারে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবে মেট্রো।

মেট্রো-কর্তারা এ দিনের বৈঠকে রাজ্যকে জানান, সাধারণ ভাবে রোজ অন্তত সাড়ে তিন লক্ষ যাত্রী স্মার্টকার্ড ব্যবহার করেন। করোনা-কালে দূরত্ব বিধি মেনে মেট্রো চালাতে হলে দিনে বড়জোর ৪৫-৫০ হাজার যাত্রী যাতায়াত করতে পারবেন। সে ক্ষেত্রে স্মার্টকার্ডই মেট্রোয় প্রবেশের একমাত্র ছাড়পত্র হলে ভিড় ঠেকানো যাবে না। স্টেশনগুলিতে ভিড় নিয়ন্ত্রণের জন্য রাজ্যের কাছে পুলিশি সহযোগিতা চেয়েছিল মেট্রো। কিন্তু রাজ্যের যুক্তি, ইচ্ছুক যাত্রীকে পুলিশ কোনও ভাবেই আটকাতে পারে না। জোর করে সেটা করতে গেলে জটিলতার সৃষ্টি হবে।

রাজ্যের প্রস্তাব, অ্যাপের মাধ্যমে ই-বোর্ডিং পাস দেওয়ার ব্যবস্থা করলে পাতালেও ভিড় নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব। ধরা যাক, কেউ কবি নজরুল স্টেশন থেকে এসপ্লানেড যেতে চান। তিনি অ্যাপের মাধ্যমে মেট্রোয় নির্দিষ্ট সময়ের বোর্ডিং পাস চাইবেন। সেই সময়ের মেট্রোয় আসন ফাঁকা থাকলে মেট্রো কর্তৃপক্ষ তাঁকে বোর্ডিং পাস দেবেন। সংশ্লিষ্ট যাত্রী বোর্ডিং পাস এবং স্মার্টকার্ড দেখিয়ে নির্দিষ্ট ট্রেনে চড়তে পারবেন। সেই সময়ে আসন ফাঁকা না-থাকলে পরের কোনও ট্রেনের বোর্ডিং পাস দেওয়া হবে। 

পাতালপথেও যে কঠোর ভাবে কোভিড-প্রোটোকল বা স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলা দরকার, সেই বিষয়ে রাজ্য সরকার ও মেট্রো কর্তৃপক্ষ পুরোপুরি সহমত পোষণ করেছেন। যাত্রীদের প্রবেশাধিকারের বিষয়টি চূড়ান্ত হলে দু’পক্ষই নিয়মবিধি সংক্রান্ত বিষয়গুলি সুস্পষ্ট ভাবে জানিয়ে দেবে।

TwitterFacebookWhatsAppEmailShare

#metro, #E Boarding Pass

আরো দেখুন