আজ ৫ সেপ্টেম্বর ‘ধিক্কার দিবস’ পালনের ডাক শিক্ষক সংগঠনের
করোনা (Coronavirus) কেড়ে নিল শিক্ষক দিবস উদযাপন। শনিবার রাজ্যের স্কুল শিক্ষা দপ্তর সল্টলেকের বিকাশ ভবনে শিক্ষক দিবসের অনুষ্ঠান হবে। থাকবেন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়। কোভিড সতর্কতা মেনে জমায়েত না করে এই অনুষ্ঠান হবে ভারচুয়াল। জেলাশাসকদের দপ্তর থেকে এবার প্রথম শিক্ষারত্ন পুরস্কার প্রদান করা হবে। স্কুল-কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ। ছাত্র-শিক্ষকের মেলবন্ধনও হবে ভারচুয়াল মাধ্যমে। অন্যদিকে এই দিনটিকেই রাজ্য এবং কেন্দ্রের শিক্ষানীতির বিরুদ্ধে প্রতিবাদের দিন হিসেবে বেছে নিচ্ছে কয়েকটি শিক্ষক সংগঠন।
সর্বভারতীয় বেতন কাঠামোর দাবিতে বহুদিন ধরে আন্দোলন করছেন রাজ্যের স্নাতক (গ্র্যাজুয়েট) শিক্ষকরা। কলকাতা হাই কোর্টে এ নিয়ে মামলাও হয়েছে। বৃহত্তর গ্র্যাজুয়েট টিচার্স অ্যাসোসিয়েশন (বিজিটিএ)-এর সাধারণ সম্পাদক সৌরেন ভট্টাচার্য্য জানিয়েছেন, “স্নাতকোত্তর শিক্ষকদের সঙ্গে সর্বভারতীয় বেতন কাঠামোর তফাৎ নেই। অথচ স্নাতক শিক্ষকদের ক্ষেত্রে আমাদের রাজ্যে বৈষম্য চলছে। আমরা কলকাতা হাই কোর্টে মামলা করেছিলাম। আদালত এই বৈষম্য দূর করার নির্দেশ দিলেও স্কুলশিক্ষা দপ্তর বিষয়টিতে নীরব। শিক্ষক দিবসে লক্ষ লক্ষ স্নাতক শিক্ষক সামাজিক মাধ্যমে নিন্দায় সরব হবেন।” স্নাতক শিক্ষক আন্দোলনের অন্যতম শিক্ষক নেতা রত্নদ্বীপ সামন্ত দিনটিকে রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে ‘ধিক্কার দিবস’ হিসেবে পালনের আহ্বান জানিয়েছেন।Advertisement
অধ্যাপকদের সংগঠন কুটাব শিক্ষক দিবসের দিন কেন্দ্রীয় সরকারের বিরুদ্ধে ‘প্রতিবাদ দিবস’ কর্মসূচি পালন করবে। এই কর্মসূচিতে শিক্ষামন্ত্রীকে বক্তব্য রাখার জন্য আমন্ত্রণ করেছে এই অধ্যাপক সংগঠন। সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক গৌরাঙ্গ দেবনাথ জানিয়েছেন, “কেন্দ্রীয় সরকার যে জনস্বার্থ বিরোধী শিক্ষানীতি ঘোষণা করেছে তার প্রতিবাদ করা হবে। জাতীয় শিক্ষানীতিতে সারা দেশের লক্ষ লক্ষ আংশিক সময়ের ও অতিথি অধ্যাপকদের সমস্যা সমাধানের কোনও দিশা নেই। উলটে শিক্ষকদের কাজের ভবিষ্যৎ আরও অনিশ্চিত হয়ে পড়বে। কেন্দ্রের শিক্ষানীতি ছাত্র, শিক্ষক, শিক্ষাকর্মী তথা সামগ্রিক শিক্ষা স্বার্থের পরিপন্থী। এই কারণে আমরা দিনটিকে প্রতিবাদ দিবস হিসাবে পালন করব।” কেন্দ্রীয় শিক্ষানীতি বেসরকারিকরণের মধ্য দিয়ে সাধারণ গরিব ছাত্রদের শিক্ষার সুযোগ কেড়ে নেবে বলে দাবি করেছে কুটাব। অন্যদিকে পার্শ্ব শিক্ষকদের ঐক্য মঞ্চ শিক্ষক দিবসে ভারচুয়াল প্রতিবাদ জানানোর আহ্বান করেছে। পার্শ্ব শিক্ষক ঐক্য মঞ্চের তরফে ভগীরথ ঘোষ জানিয়েছেন, “শিক্ষক দিবসে পার্শ্বশিক্ষকরা সোশ্যাল মিডিয়ায় সরব হবেন। তাঁরা রাজ্য সরকারের উদ্দেশে লিখবেন, প্রতিশ্রুতি পালন করুন, পার্শ্বশিক্ষকদের মৃত্যু-মিছিল বন্ধ করুন।”