একদিনে আক্রান্ত ৯৫ হাজার, চিন্তা বাড়াচ্ছে সংক্রমণের হার
উদ্বেগজনকভাবে বাড়ছে করোনায় সংক্রমণের সংখ্যা। একদিনে আক্রান্ত ৯৫ হাজারেরও অধিক। মৃত্যুও হয়েছে ১ হাজার ১৭২ জনের। এদিকে আনলক পর্বে ক্রমশ স্বাভাবিক ছন্দে ফিরছে দেশ। এই পরিস্থিতিতে ব্যাপক সংক্রমণ নিয়ে চিন্তায় পড়েছে কেন্দ্র।
বিশেষত, উপসর্গ থাকার পরও র্যাপিড অ্যান্টিজেন টেস্টে রিপোর্ট নেগেটিভ আসা নাগরিকদের নিয়েই ধন্দে পড়েছে সরকার। তাই নতুন করে করোনা পরীক্ষার ক্ষেত্রে বাধ্যতামূলক কিছু নির্দেশ দিল আইসিএমআর। রাজ্যগুলিকে বলা হয়েছে, কোনও পজিটিভ কেস যেন অজানা না থাকে। করোনা ভাইরাসের উপসর্গ থাকার পরেও যাদেরই র্যাপিড অ্যান্টিজেন টেস্টে রেজাল্ট নেগেটিভ আসবে, তাদের বাধ্যতামূলক আরটি-পিসিআর টেস্ট করাতেই হবে।
শুধু তাই নয়। উপসর্গহীন র্যাপিড অ্যান্টিজেন টেস্টে নেগেটিভ ফল আসা নাগরিকদের উপরও নজরদারি বাড়ানোর পরামর্শ দিয়েছে স্বাস্থ্যমন্ত্রক। এ ব্যাপারে প্রত্যেক রাজ্যকে বিশেষ উদ্যোগ নিতে বলা হয়েছে। নিয়োগ করতে বলা হয়েছে অফিসারদের বিশেষ টিমকে। এই টিম প্রতিদিন র্যাপিড অ্যান্টিজেন টেস্টের ফল বিশ্লেষণ করবে। নেগেটিভ আসার দু’তিনদিনের মধ্যে করোনার উপসর্গ দেখা গেলে সঙ্গে সঙ্গে তার আরটি-পিসিআর টেস্ট করাতেই হবে।
করোনায় এদিন নতুন করে একদিনে আক্রান্ত হয়েছে ৯৫ হাজার ৭৩৫ জন। যার জেরে সব মিলিয়ে গোটা দেশে এখনও পর্যন্ত আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াল ৪৪ লক্ষ ৬৫ হাজার ৮৬৩। করোনায় সার্বিক মৃত্যুর সংখ্যা ৭৫ হাজার ৬২ জন। স্বাস্থ্যমন্ত্রকের বক্তব্য অনুযায়ী, ৭০ শতাংশেরই মৃত্যুর কারণ কোভিডের পাশাপাশি শরীরে বাসা বেঁধে থাকা অন্য রোগ। সুস্থ হয়েও অবশ্য বাড়ি ফিরছে অনেকেই। স্বাস্থ্যমন্ত্রকের তথ্য মোতাবেক বৃহস্পতিবার পর্যন্ত সুস্থ হয়েছেন ৩৪ লক্ষ ৭১ হাজার ৭৮৩ জন। শতাংশের হারে যা ৭৭.৭৪।
তবে সংক্রমণের হার দ্রুত বাড়ছে বলেই কেন্দ্রের কপালে পড়ছে চিন্তার ভাঁজ। গত ৭ আগস্ট যেখানে গোটা দেশে আক্রান্তের সংখ্যা পেরিয়েছিল ২০ লক্ষ, মাত্র ১৬ দিনের তফাতে তা বেড়ে দাঁড়ায় ৩০ লক্ষ। আর ৫ সেপ্টেম্বর পেরিয়ে গিয়েছে ৪০ লক্ষ।