শিখ ধর্মালম্বী ব্যক্তির পাগড়ি খুলে দিল পুলিশ? জানুন আসল সত্য

বিজেপির নবান্ন অভিযানের দিন শিখ ধর্মাবলম্বী বলবিন্দর সিংয়ের পাগড়ি পুলিশকর্মীরা খুলে দেননি। বলবিন্দরের কাছে আগ্নেয়াস্ত্র ছিল। তাই তাঁকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। গ্রেপ্তারির আগে ধস্তাধস্তির সময় ওই বিজেপি কর্মীর পাগড়ি খুলে যায়। শুক্রবার এক টুইটে এমনটাই দাবি করেছে পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য পুলিশ। দাবির স্বপক্ষে একটি ভিডিও-ও প্রকাশ করা হয়েছে পুলিশের তরফে। রাজ্য পুলিশ এদিন স্পষ্ট করে দিয়েছে, কারও ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত হানা তাঁদের লক্ষ্য নয়। সব ধর্মকেই সম্মান করে তারা।
ক্রিকেটার হরভজন সিংয়ের একটি টুইটের পর কলকাতার রাস্তায় শিখ ধর্মাবলম্বী বিজেপি কর্মীর পাগড়ি খোলা নিয়ে হঠাতই বিতর্ক শুরু হয়ে গিয়েছে। ক্রিকেটারের অভিযোগ, পুলিশকর্মীরা জোর করে শিখ সম্প্রদায়ের ওই বিজেপি সমর্থকের পাগড়ি খুলে দিয়েছে। বৃহস্পতিবার বিজেপির নবান্ন অভিযানের দিন যে ব্যক্তির কাছ থেকে আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধার হয়, সেই বলবিন্দর সিংকে মারধরের একটি ভিডিও ভাইরাল হয়েছে নেটদুনিয়ায়। এক সংবাদমাধ্যমের ওই ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে, বলবিন্দর সিংকে পাকড়াও করতে গিয়ে তাঁকে মারধর করছে পুলিশ। দুর্ভাগ্যবশত মারধর এবং ধস্তাধস্তির মধ্যে কোনওভাবে বলবিন্দরের পাগড়িটি খুলে যায়। যা নিয়ে অসন্তোষ প্রকাশ করেছে শিখ সম্প্রদায়ের একাংশ। খোদ হরভজন সিং এ বিষয়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের হস্তক্ষেপ চেয়েছেন। প্রশ্ন তুলেছেন পুলিশের ভূমিকা নিয়ে।

যদিও রাজ্য পুলিশ পালটা এক টুইটে নিজেদের অবস্থান স্পষ্ট করে দিয়েছে। তাঁদের দাবি,”বিজেপির বিক্ষোভে ওই ব্যক্তির কাছ থেকে আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধার হয়েছে। ওঁর পাগড়ি ধস্তাধস্তির সময় এমনিই খুলে পড়েছে। আমাদের আধিকারিক কখনওই পাগড়ি খুলে দেওয়ার চেষ্টা করেননি। কোনও সম্প্রদায়ের অনুভূতিতে আঘাত করাটা আমাদের অভিপ্রায় নয়। পশ্চিমবঙ্গ পুলিশ সব ধর্মকে সম্মান করে। আমাদের আধিকারিক গ্রেপ্তারির আগে বারবার ওই ব্যক্তিকে পাগড়িটি ঠিক করে নিতে অনুরোধও করেছিলেন। আমরা রাজ্যের আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় বদ্ধপরিকর।” নিজেদের টুইটে গ্রেপ্তারির ঠিক আগের মুহূর্তে তোলা বলবিন্দরের একটি ছবিও পোস্ট করেছে রাজ্য পুলিশ। যাতে তাঁকে একেবারে সঠিকভাবে পাগড়িটি পরে থাকতে দেখা যাচ্ছে।
কি ঘটেছিল সেদিন দেখে নিন
ছবি সৌজন্যেঃ TamalSaha









