বিমল গুরুং কোনও ইস্যু নয়, নবান্নে বললেন বিনয় তামাং
পাহাড়ের রাজনৈতিক সমীকরণ কেমন হবে? বিমল গুরুংকে মেনে নিয়ে এগোতে হবে? নাকি পৃথকভাবেই এগিয়ে যাবে বিনয়? এইসব নিয়ে নানা প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। মঙ্গলবার নবান্নে পাহাড়–বৈঠক শুরুর আগে এই প্রশ্নই এখন ঘোরাফেরা করছে প্রশাসনের অন্দরে। তার মধ্যেই গোর্খা ভবনে সাংবাদিক বৈঠক করে বিনয় তামাং বলেন, ‘বিমল গুরুং কোনও উদ্দেশ্যও নয়, বিধেয়ও নয়। মুখ্যমন্ত্রী আমাদের ডেকেছেন তাই বৈঠক করতে এসেছি। এখানে বিমল–রোশন কোনও বিষয় নয়।’
এদিকে সোমবার বাগডোগরা থেকেই বিমল গুরুংকে কড়া বার্তা দেন বিনয় তামাং। তিনি বলেন, ‘পাহাড়ের রাজনীতিতে আর বিমলের কোনও জায়গা নেই। তাঁর সঙ্গে রাজনৈতিক বা প্রশাসনিক মঞ্চ ভাগাভাগিরও প্রশ্ন নেই।’ বিনয়ের এই মন্তব্যের পর দেখার বিষয় হল, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee) বিমল–বিনয় মিশিয়ে দিয়ে পাহাড়বাসীকে কেমন করে আঁটি হিসেবে গড়াগড়ি খাওয়ায়।
আজ, মঙ্গলবার নবান্নের (Nabanna) বৈঠকে এই দুই পক্ষকে বুঝিয়ে কীভাবে মেলাবেন শাসক শিবিরের শীর্ষ নেতৃত্ব, সেটাই এখন দেখতে আগ্রহী সকলে। ইতিমধ্যেই মঙ্গলবার বিনয় তামাং বলেন, ‘তৃণমূল কংগ্রেসের সঙ্গে আমাদের একটা জোট রয়েছে। আমরা একসঙ্গে কাজ করছি। পাহাড়ের উন্নয়ন এবং শান্তিই আমাদের একমাত্র লক্ষ্য। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় একজন দক্ষ রাজনীতিবিদ। তাঁর উপর আমাদের আস্থা, ভরসা আছে। এটুকু বলতে পারি।’
বিনয়ের ঘনিষ্ঠ মহল সূত্রে বলা হয়েছে, তিন বছর আগের সেপ্টেম্বরে যখন পাহাড়কে ঠান্ডা করতে বিনয় তামাং এবং অনীত থাপা রাজ্য সরকারের সঙ্গে আলোচনায় বসেছিলেন, তখন এই বিমলই তাঁদের বিরুদ্ধে তোপ দেগেছিলেন। আজ সে কথা ভুলে গেলে চলবে কী করে? মঙ্গলবারও পাহাড় জুড়ে বিমল বিরোধী বিশাল মিছিল হয়েছে। মঙ্গলবার বিনয় নিজেও বলেন, ‘দার্জিলিং পাহাড়ের জন্য বিমল গুরুং (Bimal Gurung) এখন অপ্রসাঙ্গিক। উনি এখন ১৫০ টিরও বেশি মামলায় অভিযুক্ত পলাতক এক ব্যক্তি। পাহাড়ের রাজনীতিতে বিমলের আর জায়গা নেই।’
সূত্রের খবর, রবিবার তৃণমূলের এক প্রথমসারির নেতার সঙ্গে বৈঠক করেন বিমল। প্রশান্ত কিশোরের দলের সঙ্গেও তাঁর যোগাযোগ রয়েছে। তবে বিমল বিজেপির(BJP) সঙ্গ ছেড়ে আপাতত পৃথক রাজ্যের দাবি শিকেয় তুলে তৃণমূলের সঙ্গে হাত মেলানোয় তাঁর বহু অনুগামী হতাশ। তাঁদের কেউ কেউ জিএনএলএফ (GNLF) বা বিনয় তামাংদের (Binoy Tamang) সঙ্গে যোগাযোগ করছেন।