মমতার নির্দেশে গুপ্তমণি, কনকদুর্গা ও রামেশ্বর মন্দির সংস্কারে তৎপর প্রশাসন
মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee) নির্দেশের পর ঝাড়গ্রামের গুপ্তমণি, চিল্কিগড়ের কনকদুর্গা, নয়াগ্রামের রামেশ্বর মন্দির (Rameswar Temple) সংস্কারে তৎপর হল জেলা প্রশাসন। বুধবার গুপ্তমণি মন্দির পরিদর্শন করেন ঝাড়গ্রামের জেলাশাসক আয়েষা রানি এ। সঙ্গে ছিলেন ভূমিদপ্তরের আধিকারিক ও লোধা সেলের সদস্য খগেন্দ্রনাথ মাণ্ডি। এমনকী চিল্কিগড়ের কনকদুর্গা মন্দিরে সংস্কারের কাজ শুরু হয়ে গিয়েছে।
জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, গুপ্তমণি মান্দিরের পাশেই গেস্ট হাউস, পার্কিং ব্যবস্থা ও একটি বাগান তৈরি করা হবে। একটি রাস্তাও জেলা পরিষদ থেকে পিচের করা হবে। একশো দিনের কাজে বাগান তৈরি করা হবে। সেজন্য এদিন জমি চিহ্নিতকরণ করেন জেলাশাসক। আবার চিল্কিগড়ের কনকদুর্গা মন্দিরে রঙের কাজ শুরু হয়েছে। গুপ্তমণি মন্দিরে ১ কোটি, রামেশ্বর মন্দিরে ৭৫ লক্ষ, কনকদুর্গা মন্দিরে ২ কোটি টাকা বরাদ্দ করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মুখ্যমন্ত্রীর ঘোষণার পরই মন্দির সংস্কারে তৎপর হয়েছে জেলা প্রশাসন। জানা গিয়েছে, মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশের পরে কনকদুর্গা মন্দির সংলগ্ন এলাকাটিকে ঢেলে সাজানো হবে।
জানা গিয়েছে, বর্তমানে কনকদুর্গা মন্দিরের (Kanakdurga Temple) পাশে ভগ্ন অবস্থায় থাকা বিষ্ণু মন্দিরটি সংস্কার করা হবে। এজন্য প্রত্নতত্ত্ব বিভাগের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়েছে। সোমবার তাঁরা এসে পরিদর্শন করে গিয়েছেন। বিষ্ণু মন্দিরটির স্থাপত্য ও ভাস্কর্য একই রেখে সংস্কার করার উদ্যোগী হয়েছে প্রশাসন। মন্দির সংস্কারের পাশাপাশি পানীয় জল, মন্দির চত্বর এলাকায় হাইমাস্ট আলো বসানো হবে। এছাড়াও মন্দিরকে ঘিরে থাকা ঘন জঙ্গলে ফেন্সিংটিকে সুন্দরভাবে সাজিয়ে তোলা হবে। রাজ্যে তৃণমূল সরকার ক্ষমতায় আসার পরে একাধিক উন্নয়ন হয়েছে চিল্কিগড়ের কনকদুর্গা মন্দিরে। রাজ্য সরকারের অর্থ বরাদ্দে নির্মাণ করা হয়েছে রাস্তা, ফেনসিং সহ একাধিক জিনিস। চিল্কিগড়ের পুরো এলাকাটি প্লাস্টিক ফ্রি জোন হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছে। ২০১৮ সালের এপ্রিল মাসে রাজ্যের জীববৈচিত্র্য পর্ষদের তকমা পায় চিল্কিগড়। খরস্রোতা ডুলুং নদীর তীরে ৬১ একর জায়গাজুড়ে রয়েছে চিল্কিগড় মন্দির সংলগ্ন ভেষজ গাছের সম্ভার। এই কনক অরণ্যে তিনশোর বেশি প্রজাতির উদ্ভিদ রয়েছে, যা ইতিমধ্যে বিদ্যাসাগর বিশ্ববিদ্যালয়ের উদ্ভিদবিদ্যার অধ্যাপক-গবেষকরা চিহ্নিত করেছেন। রামেশ্বর মন্দির সংস্কারের জন্য প্রত্নতত্ত্ব বিভাগের লোকজন এসে পরিদর্শন করবেন। জেলাশাসক বলেন, এদিন গুপ্তমণিতে জায়গা চিহ্নিত করা হয়েছে। কনকদুর্গা ও রামেশ্বর মন্দির দু’টি সংস্কারের জন্য বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ নেওয়া হচ্ছে।