রাজ্য বিভাগে ফিরে যান

১৫ দিনে রাজ্যে কন্টেইনমেন্ট জোনের সংখ্যা কমল এক হাজার

November 17, 2020 | 2 min read

আশঙ্কা সত্যি হল না। পুজোর পরেও আক্রান্তের সংখ্যা আটকে রইল তিন হাজারের গণ্ডিতে। সোমবার রাজ্যে নতুন করোনা (Covid 19) আক্রান্তের সংখ্যা ছিল তিন মাসে সর্বনিম্ন। ৩ হাজার ১২। উৎসবের রেশ এখনও কাটেনি। লোকাল ট্রেন চালু হয়েছে। সামনে ছট এবং জগদ্ধাত্রী পুজো। তার আগে বড়সড় স্বস্তির ছবি ধরা পড়ল কন্টেইনমেন্ট জোনের (Containment Zone) তালিকায়। গত ১৫-১৮ দিনে সংক্রামক এলাকার সংখ্যা কমেছে প্রায় এক হাজার। যা স্পষ্ট ইঙ্গিত দিচ্ছে সংক্রমণ কমার। গত ২৯ অক্টোবর রাজ্যে মোট ৩,৩১২টি কনটেইনমেন্ট জোন ছিল। শুক্রবার তা দাঁড়িয়েছে ২,৩২৫টিতে। কলকাতায় ডেঙ্গু আক্রান্ত কমে গেল ৬৫%।

করোনা আবহে দুর্গাপুজো নিয়ে উদ্বেগ ছিল সব মহলেই। কিন্তু হাইকোর্টের (Calcutta High Court) নির্দেশ, সরকারি পদক্ষেপ এবং সর্বোপরি আমজনতার সচেতনতা আশঙ্কার মেঘ কেটে গিয়েছে, অনুমান সরকারি শীর্ষ কর্তাদের। কমেছে আতঙ্কও। এবার ছট এবং জগদ্ধাত্রী পুজোতেও যদি সর্তকতা অবলম্বন করা যায়, তাহলে সংক্রমণ নিয়ে চিন্তা কমবে বলে বিশেষজ্ঞদের মত। দীপাবলির পর কন্টেইনমেন্ট জোনের সংখ্যা কমায় সেই আশা আরও স্পষ্ট হচ্ছে।

এদিন স্বাস্থ্যদপ্তরের পক্ষ থেকে প্রকাশিত তালিকা বলছে, কলকাতা, উত্তর ২৪ পরগনা (North 24 Parganas district) সহ বেশ কিছু জেলায় কন্টেইনমেন্ট জোন প্রায় নেই বললেই চলে। পশ্চিম বর্ধমানে তো এই মুহূর্তে সংখ্যাটা শূন্য। নিয়ম অনুযায়ী, যে এলাকায় করোনা রোগীর সন্ধান মিলছে, সেটিকে কন্টেইনমেন্ট জোন বলে চিহ্নিত করা হয়। কয়েকমাস আগে এব্যাপারে অনেক কড়াকড়ি করেছিল সরকার। বাঁশ দিয়ে ঘিরে ফেলা হতো গোটা এলাকা। তার মধ্যেও রেড ও গ্রিন জোন আলাদা করে চিহ্নিত করা হয়। কিন্তু এত নিয়মের বেড়াজালে বাড়তে শুরু করে আরেকটি সমস্যা—আতঙ্ক। তাই প্রথমেই বাঁশ দিয়ে এলাকা আটকানো সিদ্ধান্ত বদল করা হয়। পরিযায়ী শ্রমিকরা বাড়ি ফেরার পর সংক্রমণ কিছুটা বেড়েছিল। কিন্তু সময়ের সঙ্গে সঙ্গে সেই সমস্যাও মিটেছে। এখন হাতে গোনা কয়েকটি জেলা ছাড়া অধিকাংশ জেলাতেই কন্টেইনমেন্ট জোনের সংখ্যা বেশ কম। কিছুদিনের মধ্যে আরও কমবে বলে আশা নবান্নের শীর্ষ কর্তাদের।

তালিকায় শীর্ষে রয়েছে পূর্ব বর্ধমান, পশ্চিম মেদিনীপুর, কোচবিহার, পুরুলিয়া, উত্তর দিনাজপুর। ওই পাঁচটি জেলায় কন্টেইনমেন্ট জোনের সংখ্যা যথাক্রমে ৫৬৩, ৩৫১, ৩৩৫, ২৭৮ এবং ২৭৯টি। এর পরেই বীরভূম, সংক্রামক এলাকা ১২৭টি। তালিকার একদম তলায় ঝাড়গ্রাম। কন্টেইনমেন্ট জোনের সংখ্যা মাত্র এক। তারপরেই রয়েছে কলকাতা, দু’টি। এছাড়া মালদা (৪), দার্জিলিং (৭), এবং উত্তর ২৪ পরগনায় (৮) সংক্রামক এলাকা অত্যন্ত কম। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে মুর্শিদাবাদ (৪৭), বাঁকুড়া (৪৬), দক্ষিণ ২৪ পরগনা (৩৩), পূর্ব মেদিনীপুর (২৭), কালিম্পং (২১),জলপাইগুড়ি (১৪), দক্ষিণ দিনাজপুর (১১) জেলাতেও।

কেন্দ্রীয় সরকারের গাইডলাইন অনুযায়ী, আগামী ৩০ নভেম্বর পর্যন্ত সব কন্টেইনমেন্ট জোনে লকডাউন (Lockdown) জারি থাকবে। তবে আগের মতো কড়াকড়ি নেই। রাজ্যে সংক্রামক এলাকাগুলিকে পৃথকভাবে চিহ্নিত করা থাকলেও দোকানপাট খোলা। জনজীবনও স্বাভাবিক। ধীরে ধীরে সব কিছু স্বাভাবিক হয়ে গেলে রাজ্যের বেহাল অর্থনীতির ছবিটাতেও বদল আসবে, আশা নবান্নের।

TwitterFacebookWhatsAppEmailShare

#covid-19, #lock down, #Containment Zone

আরো দেখুন