অর্থাভাবে চিকিত্সা করতে না পেরে চলে গেলেন অভিনেতা আশিষ রায়
চলে গেলেন অভিনেতা আশিষ রায় (Ashiesh Roy)। মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছিল মাত্র ৫৫বছর। লকডাউন চলাকালীন সোশ্যাল মিডিয়া নিজের অসুস্থতার কথা জানিয়ে আর্থিক সাহায্যের আর্জি জানিয়েছিলেন সসুরাল সিমর কা সিরিয়াল খ্যাত আশিষ রায়। কিজনির সমস্যার জন্য মুম্বইয়ের একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন তিনি। পরে হাসপাতাল থেকে ছেড়ে দেওয়া হয়। বাড়িতেই চলছিল ডায়ালিসিস। মঙ্গলবার, সিনেটার যুগ্ম সেক্রেটারি অমিত বেহল জানিয়েছেন, বেশ কয়েকমাস ধরে কিডনির সমস্যায় ভুগছিলেন তিনি। বাড়িতেই তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেছেন।
মুম্বইয়ের জোগেশ্বরীতে পাটলীপুত্র বিল্ডিংয়ে পরিবার নিয়ে থাকতেন অভিনেতা আশিষ রায়। সেই বিল্ডিংয়ের এক নিরাপত্তারক্ষী জানিয়েছেন, ‘আশিষ সাহাব ভোর ৩.৪৫মিনিটে মারা যান। তাঁর এক পরিচারিকা নীচে এসে চিত্কার জুড়ে দেন। তাঁর শারীরিক অবস্থা ভালো ছিল না। কিন্তু ওই কর্মী জানিয়েছিলেন যে গতকাল তাঁর অবস্থা ধীরে ধীরে উন্নতি ঘটছিল। এমনকি আজও তাঁর ডায়ালিসিস হওয়ার কথা ছিল।’
দাদার মৃত্যুর খবর শোনার পরই কলকাতা থেকে মুম্বই রওনা দিয়েছেন আশিষের বোন। শোনা যাচ্ছে বুধবার বিকেলেই তাঁর শেষকৃত্য সম্পন্ন হবে।
কয়েকমাস আগেই মুম্বইয়ের জুহু হাসপাতালে আইসিইউতে ভর্তি হয়েছিলেন অভিনেতা। সেখানেই কিডনির সমস্যা নিয়ে চিকিত্সা চলছিল। লকডাউনের মধ্যে বন্ধ সিনেমা, সিরিয়ালের শ্যুটিংয়ের কাজ। হাসপাতালের বিল মেটাতে না পেরে সোশ্যাল মিডিয়ায় নিজের অসুস্থতার কথা শেয়ার করেছিলেন তিনি। পরে আর্থির সাহায্যের আর্জিও জানিয়েছিলেন তিনি। করোনা লকডাউনের কারণে আচমকাই সব শ্যুটিং বন্ধ হয়ে যাওয়ায় এবং প্রাপ্য টাকা হাতে না পাওয়ায় বহু টেলি অভিনেতাই আর্থিক সংকটের মধ্যে দিয়ে যাচ্ছিলেন। সঞ্চয়ের সবটাকা দিয়ে হাসপাতালের ২ লক্ষ টাকা বিল মিটিয়ে বাড়ি ফিরে আসতে বাধ্য হন তিনি। হাসপাতালে চিকিত্সার খরচ মেটানোর জন্য এমনকি তিনি সলমন খানে কাছেও দারস্থ হয়েছিলেন।
তিনি এক সাক্ষাত্কারে জানিয়েছিলেন, ‘আমি সত্যিই আর্থির সমস্যার মুখে পড়েছি। লকডাউন পরিস্থিতিতে সব কাজ বন্ধ হয়ে যায়। আমি ২ লক্ষ টাকা সঞ্চয় করতে পেরেছিলাম। সেই অর্থই হাসপাতালের প্রথম দুদিন চিকিত্সা করার পর খরচ হয়ে যায়। যদি কাল আমি মরেও যাই, তা হলেও আমি এখানে একমুহূর্তের জন্য থাকতে পারব না। ‘