রাজ্য বিভাগে ফিরে যান

একদিকে মিথ্যাচার, অন্যদিকে নির্বাচন কমিশনের এফিডেবিটে তথ্য গোপন করে বিজেপির সাংসদ: তৃণমূল

November 28, 2020 | 2 min read

গত সপ্তাহ থেকেই প্রতিদিন চলছে তৃণমূল ভবনে সাংবাদিক সম্মেলন। আজ সাংবাদিক সম্মেলন করেন রাজ্যের নারী ও শিশু কল্যাণ মন্ত্রী ডঃ শশী পাঁজা। যে বিজেপির নেত্রী মহিলা মুখ্যমন্ত্রীর বদনাম করতে গিয়ে নারীজাতিকে অপমান করে, সেই বিজেপির নেতা যে নিজের স্ত্রীকে সরকারিভাবে স্ত্রী হিসেবে স্বীকৃতি দেবেন না, সেটাই স্বাভাবিক। বলেন শশী। বিজেপি যে মানুষকে অন্ধকারে রাখবে, এটাই বিজেপির থেকে প্রত্যাশিত বলেন তিনি।
তিনি বলেন, জুন ২০২০র পর রাজ্য সরকার দু দফায় মোট চার হাজার কোটি টাকা ব্যয় করেছে করোনা খাতে। কেন্দ্র অন্যান্য রাজ্যের জন্য করোনা খাতে টাকা দিলেও এই রাজ্যের জন্য করোনা মোকাবিলায় কোনও টাকা দেয় নি। এরপর উম্পুন ঘূর্ণিঝড়ে বাংলার ক্ষতি হয় ১.০২ লক্ষ কোটি টাকা। সেখানেও কেন্দ্রের থেকে কানাকড়ি সাহায্য মেলেনি। সেই খাতেও রাজ্য সরকার নিজের তহবিল থেকে সাড়ে ছ হাজার কোটি টাকা ব্যয় করেছে। মানুষের হৃদয়ে লেখা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নাম।
বাংলাকে প্রাপ্য থেকে বঞ্চনার কথা তুলে ধরেন তিনি। তিনি বলেন, কেন্দ্রের সাহায্যপ্রাপ্ত প্রকল্প বাবদ ৩৬ হাজার কোটি, কর বাবদ ১১ হাজার কোটি এবং খাদ্যের ভর্তুকি বাবদ ৩ হাজার কোটি বকেয়া। এছাড়া গত সেপ্টেম্বর পর্যন্ত জিএসটি ক্ষতিপূরণ বাবদ রাজ্যের পাওনা ৭,৭৫০ কোটি টাকা। সেন্ট্রাল বরোইং স্কিম বাবদ বকেয়া ৬,৭৮৭ কোটি টাকা। কোনও টাকাই দিচ্ছে না কেন্দ্র।
বিজেপির মিথ্যাচারের বিষয়ে তিনি বলেন, বিজেপি কুৎসা রটাতে প্রবীণদেরও বাদ দেয় না। সাংসদ সৌগত রায়ের বিষয়ে রটিয়ে দেয় তিনি তৃণমূল ছেড়ে দিয়ে বিজেপি যাচ্ছেন। এজন্য এই বর্ষীয়ান নেতাকে বিবৃতি দিয়ে বলতে হয়, মরে গেলেও বিজেপিতে যাব না।
যেখানে মহিলাদের স্বনির্ভর করার লক্ষ্যে প্রথম দিন থেকে নিরলস পরিশ্রম করছে বিজেপি, সেখানে বিজেপি সাংসদ নিজের স্ত্রীকে পুত্রকে স্ত্রীর স্বীকৃতি পর্যন্ত দিতে নারাজ। গত লোকসভা নির্বাচন নির্বাচন কমিশনের কাছে দায়ের করা নথিতে বারাকপুর লোকসভার সাংসদ অর্জুন সিং নিজের স্ত্রী শ্রাবন্তী সিনহা রায়কে স্ত্রী বলে উল্লেখ পর্যন্ত করেনি। ছেলের নামও নেই সেই হলফনামায়। মানুষকে প্রতারিত করেছে বিজেপি। তিনি বলেন।
নিয়ম অনুসারে নির্বাচন কমিশনে জমা করা হলফনামায় সমস্ত তথ্য সঠিক দিতে হয়। কোনও অসম্পূর্ণ বা, অসত্য তথ্য দেওয়া যায় না। অথচ, স্ত্রী পুত্রকে সরকারিভাবে স্বীকৃতি দেওয়ার পাশাপাশি নিজের সম্পত্তি সম্বন্ধেও জনগণ এবং সরকারকে অন্ধকারে রেখেছেন সাংসদ অর্জুন সিং। ব্যাঙ্গালোর ফোর্ট ফার্মস লিমিটেডে সাংসদ অর্জুন সিংয়ের নিজের ২ লক্ষ এবং স্ত্রী শ্রাবন্তী সিনহা রায়ের ২.৫৩ লক্ষ শেয়ারের কথা তিনি গোপন করেছেন। এছাড়া, দুবাইতে রেজিস্টার্ড কোম্পানি কেপিএস ফুড স্টাফ দুবাইর নাম নেই সেই হলফ নামায়। যেখানে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী নির্বাচনী হলফনামায় নিজের বিষয়ে সকল তথ্য সঠিক দিয়েছেন, সেখানে একই দলের নেতা হয়ে কীকরে অর্জুন সিং অসত্য এবং অসম্পূর্ণ তথ্য দেন? প্রশ্ন তোলেন ডঃ শশী পাঁজা।

TwitterFacebookWhatsAppEmailShare

#Press Conference

আরো দেখুন