নেতাজি স্মরণে বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা, নাম না করে বিজেপিকে কটাক্ষও করলেন মমতা
নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসুর ১২৫তম জন্মজয়ন্তী উপলক্ষে আজ শ্যামবাজার থেকে রেড রোড পর্যন্ত একটি শোভাযাত্রার আয়োজন করে রাজ্য সরকার। পদযাত্রার নেতৃত্ব দেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এর আগে তিনি নেতাজি ভবনেও গেছিলেন।
পদযাত্রার সূচনার মুহূর্তে শঙ্খ ও উলুধ্বনির মাধ্যমে নেতাজির জন্ম মুহূর্ত উদযাপন করা হয়। মুখ্যমন্ত্রী বলেন, নেতাজি ছিলেন প্রকৃত নেতা, যিনি ঐক্যবদ্ধতায় বিশ্বাস করতেন। নেতাজি এই দেশের কৃতি সন্তান। এটা খুবই বেদনার যে আমরা ওঁর জন্মদিন জানলেও মৃত্যুদিন আজও জানিনা। নেতাজি একটা দর্শন, নেতাজি একটি আবেগ। ওঁর মতো দেশপ্রেমিক কম ছিলেন। নেতাজি মানে একটা আবেগ।
আজকের দিনটি দেশনায়ক দিবস হিসেবে পালন করছে পশ্চিমবঙ্গ সরকার। কেন এই ভাবনা? মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, রবীন্দ্রনাথ প্রথম নেতাজিকে দেশনায়ক বলেছিলেন। তাই আমরা দেশনায়ক দিবস পালন করছি।
আজাদ হিন্দ বাহিনীর কথা মনে করিয়ে তিনি বলেন, নেতাজি ছিলেন যথার্থ একজন নেতা যিনি একতায় বিশ্বাসী ছিলেন। আজাদ হিন্দ বাহিনীতে জাতি, ধর্ম, বর্ণ নির্বিশেষে মানুষ যোগ দেন। তাঁর জয় হিন্দ স্লোগান আজও আমাদের উদ্বুদ্ধ করে।
যদিও, বিজেপিকে কটাক্ষ করে মমতা বলেন, আমরা প্রত্যেক বছর নেতাজির জন্মজয়ন্তী পালন করি। শুধু নির্বাচনী বছরে নয়। তাঁর আরও প্রশ্ন, প্ল্যানিং কমিশন নেতাজির মস্তিস্কপ্রসূত। কেন সেই প্ল্যানিং কমিশন ভেঙে ফেলা হল? নেতাজির নামাঙ্কিত কলকাতা বন্দরের নাম কেন পাল্টানো হল, আমরা জানতে চাই।
প্রসঙ্গত, বছরভর নেতাজির ১২৫তম জন্মবার্ষিকী উদযাপনের জন্য একটি কমিটি গঠন করেছে রাজ্য সরকার। নেতাজিকে শ্রদ্ধা জানিয়ে রাজারহাটে আজাদ হিন্দ ফৌজের নামে তৈরি হবে স্মৃতিসৌধ। নেতাজির নামে তৈরি হচ্ছে বিশ্ববিদ্যালয়, যার সম্পূর্ণ ব্যয়ভার রাজ্য সরকার বহন করছে। বিদেশি বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে গাঁটছড়া বাঁধতে চলেছে রাজ্য সরকার।
পাশাপাশি, ট্যুইটে মুখ্যমন্ত্রী জানান, এবার ২৬ জানুয়ারির কুচকাওয়াজেও স্মরণ করা হবে নেতাজিকে। নেতাজির জন্মদিবসে জাতীয় ছুটি ঘোষণা করুক কেন্দ্র। এদিন ট্যুইটে ফের দাবি করেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।