বিজেপিতে যোগ দেননি বলেই গ্রেপ্তার ছত্রধর?
বিজেপি-তে যোগ দিতে হবে। তাহলেই ছাড় পাবেন, জাতীয় তদন্তকারী সংস্থা (এনআইএ)-র তদন্তে। অভিযোগ, এমনই হুমকি দেওয়া হছিল তৃণমূলের রাজ্য সম্পাদক ছত্রধর মাহাতোকে। এই অভিযোগ ছত্রধরের স্ত্রী নিয়তি মাহাতোর। নিয়তির বক্তব্য, মধ্যরাতে গ্রেফতারির সময় নিগ্রহ করা হয়েছে ছত্রধরকে। ছেলের সঙ্গে ধস্তাধস্তি হয়েছে এনআইএর প্রতিনিধিদের। নিঃশব্দে লালগড়ের বাড়িতে পৌঁছে, কোনও কারণ না দেখিয়ে, রাতের অন্ধকারে বল প্রয়োগ করে তুলে নিয়ে যাওয়া হয়েছে তৃণমূল নেতাকে।
নিয়তি বলেছেন, ‘‘গভীর রাতে প্রায় ১৫-২০ জন আমাদের বাড়িতে এসে প্রায় দরজা ভেঙে ঢুকে পড়ে। কোনও কথা শুনতে চাননি এনআইএ-এর সদস্যরা। তাঁরা বেশ কয়েকজন বাড়ির ছাদের উপরে উঠে পড়েন। ছত্রধরের নিরাপত্তাকর্মীদের থেকে মোবাইল কেড়ে নেন তাঁরা। তারপর টানা-হ্যাঁচড়া করে ছত্রধরকে কার্যত তুলে নিয়ে যাওয়া হয়। মারধর করা হয় আমার ছেলেকেও।’’
একাধিক মামলায় পুলিশি সন্ত্রাস বিরোধী জনসাধারণের কমিটির প্রাক্তন নেতা ছত্রধর মাহাতোকে বারবার তলব করেছিল এনআইএ। তখন দাঁতে ব্যথার কারণ দেখিয়ে তিনি হাজিরা দিতে জাননি। নিয়তি নিয়েছেন, ইতিমধ্যে ১০ বছর জেল খেটেছেন ছত্রধর। তারপরও নতুন কোন অপরাধে ফের গ্রেফতার করা হল তাঁকে? জানেন না বাড়ির লোক থেকে আইনজীবী, কেউই। পাশাপাশি নিয়তির অভিযোগ, আগেও বারবার এনআইএ সরাসরি ছত্রধরকে বিজেপি-তে যোগদানের কথা বলেছিল। তা হলেই তাঁকে ছাড় দেওয়া হবে, এমন শর্তও দেওয়া হয়েছিল। তিনি সেই প্রস্তাব গ্রহণ না করাতেই এমন ঘটনা ঘটল।
শনিবার প্রথম দফার নির্বাচনে সস্ত্রীক ভোটকেন্দ্রে গিয়ে ভোট দিয়েছিলেন ছত্রধর। সঙ্গে ছেলেও ছিলেন। তৃণমূল নেতা হিসাবে ছত্রধর জানিয়েছিলেন, জঙ্গলমহলে ভাল ফল করতে চলেছে তৃণমূল। ভোটদানের কয়েক ঘণ্টা কাটতে না কাটতেই ফের গ্রেফতার করা হল তাঁকে।