কলকাতা বিভাগে ফিরে যান

সর্বপ্রথম ন্যাচারাল অক্সিজেন সম্বলিত সেফ হোম তৈরি হল কলকাতায়

June 6, 2021 | 2 min read

সেফ হোমে (safe home) রাখা হচ্ছে অক্সিজেন কনসেনট্রেটর (oxyzen concentrator)। কিন্তু এগুলি তো যান্ত্রিক। প্রকৃতিতেও (natural) রয়েছে অক্সিজেন কনসেনট্রেটর। সেগুলিকেই কাজে লাগানো হচ্ছে এই সেফ হোমে। অনেকটা পুরনো আয়ুর্বেদ চিকিৎসার (Ayurveda treatment) মতো। ঠিক তেমন ব্যবস্থা করা হয়েছে উত্তর কলকাতার তৈরি নতুন সেফ হোমে।

সর্বপ্রথম ন্যাচারাল অক্সিজেন সম্বলিত সেফ হোম তৈরি হল কলকাতায়। কলকাতা কর্পোরেশনের জায়গায় চালু হচ্ছে এই সেফ হোম। হোমের প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকলেন অতীন ঘোষ। প্রধান উদ্যোক্তা রাজ্যের বিধায়ক ও মন্ত্রী শশী পাঁজা। ২৪ ঘণ্টায় বেশি অক্সিজেন দেয় এমন ১০ রকম গাছ রাখা থাকছে এই সেফ হোমে। বেডের এক পাশে রাখা অক্সিজেন কনসেনট্রেটর, অন্যপাশে রাখা রয়েছে গাছগুলি। কোন কোন গাছ রয়েছে এই তালিকায়? অ্যালোভেরা, পিপুল গাছ, স্নেক ট্রি, আরেকা পাম, নিম, অর্কিড, গের্বেরা (কমলা), ক্রিসমাস ক্যাকটাস, তুলসী, মানি প্ল্যান্ট।

পরিবেশ দিবসে বিধায়ক শশী পাঁজা এই উদ্যোগ প্রসঙ্গে বলেন, ‘যে গাছগুলো বেশি অক্সিজেন দেয় তাদেরকে রেখেছি। একটু অন্যরকম ভাবে ভাবতে চাইছি। এটা লং টার্ম প্রসেস। কারও যদি হঠাৎ দরকার পরে অক্সিজেন সেটাতে এই পদ্ধতি কাজ করবে না, তাই অক্সিজেন কোনসেনট্রেটর রাখা হয়েছে কিন্তু এটা বড় ভাবে দেখতে গেলে এর সুদুরপ্রসারী ফল ভালো। সেটা করতে চেয়েছি’।

এই প্রসঙ্গে অতিন ঘোষ বলেন, ‘আপাতত সেফ হোমে খুব একটা লোক থাকছে না। কারণ সংক্রমণ কম। তবে আগামী দিনে আবার যদি কোনও ঢেউ আসে তখন কাজে লাগতে পারে মানুষের। তাই কাজ আজকে কাজে নাও লাগতে পারে। পরে লাগতেই পারে। ভাবনা আগামীর। তেমনই শশী পাঁজার ভাবনাও আগামী দিনকে সামনে রেখে। উনি নিজেই এমন সব গাছ এনেছেন যেগুলি বেশি অক্সিজেন দেয়। এই কাজ আমাদের আয়ুর্বেদ চিকিৎসার মতো। এই পদ্ধতি আয়ুর্বেদে রয়েছে। সেখান থেকে দেখেই এই কাজ করা। প্রাকৃতিক অক্সিজেন কোনসেনট্রেটর বসানো হল। আবার যান্ত্রিক অক্সিজেন কোনসেনট্রেটর তো রইলই’।

এই সেফ হোমে। কুড়ি বেডের অক্সিজেন কুড়িটি কনসেনট্রেটর ও অক্সিজেন সিলিন্ডার সহ ছয় জন ডাক্তার ও আয়া ও তিনজন নার্স নিয়ে কাজ করছে। হোমের স্থান শোভাবাজার দর্জিপাড়ার মাতৃ সদন।

TwitterFacebookWhatsAppEmailShare

#Kolkata, #oxyzen, #oxyzen concentrator

আরো দেখুন