রাজ্য বিভাগে ফিরে যান

দলে ‘এক ব্যক্তি এক পদ নীতি’ চালু করলেন মমতা, কারা খোয়াতে পারেন পদ?

June 6, 2021 | 2 min read

শনিবার তৃণমূলের গুরুত্বপূর্ণ জাতীয় কর্মসমিতির বৈঠকে দলের সাংগঠনিক কাঠামোয় একাধিক গুরুত্বপূর্ণ পরিবর্তন করেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। শনিবার দলীয় নেতাকর্মীদের জন্য ‘এক ব্যক্তি, এক পদ’ নীতি ঘোষণা করেছেন তৃণমূলনেত্রী। এই নীতি কার্যকর হলে একের বেশি পদ খোয়াতে পারেন বেশ কিছু নেতা।

এবার প্রশ্ন উঠছে বেশ কিছু নেতাকে নিয়ে, যারা একধারে বর্তমান সরকারের মন্ত্রী এবং অন্যধারে দলের সাংগঠনিক পদে আছেন। এই হিসাবে কোনও একটি পদ ছাড়তে হতে পারে রাজ্যের প্রাণিসম্পদ বিকাশ দফতরের মন্ত্রী ও পূর্ব বর্ধমান জেলার সভাপতি স্বপন দেবনাথকে।

রাজ্যের বন দপ্তর ও অচিরাচরিত শক্তি উৎস দপ্তরের মন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক উত্তর ২৪ পরগণার জেলা সভাপতিও। এক ব্যক্তি এক পদ নীতি হলে জায়গা ছেড়ে দিতে হতে পারে তাঁকেও।

কলকাতার প্রাক্তন মেয়র ও বর্তমান পুর প্রশাসক ফিরহাদ হাকিম এখন রাজ্যের পরিবহন মন্ত্রী। তাঁকে নিয়ে কি ভাবনা মমতা বন্দোপাধ্যায়ের, তা জানা যাবে আগামীদিনে।

তৃণমূলের (Trinamool) মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায় বর্তমানে রাজ্যের শিল্পমন্ত্রী। তাঁকেও কি ছাড়তে হবে কোনও একটি পদ, আসছে প্রশ্ন।

তালিকায় আছে বর্ষীয়ান সাংসদ সুদীপ বন্দোপাধ্যায়ও। লোকসভায় তৃণমূল কংগ্রেস দলের নেতা সুদীপ বন্দোপাধ্যায় উত্তর কলকাতা তৃণমূল কংগ্রেসের চেয়ারম্যান এবং সভাপতি। তাঁকেও ছাড়তে হতে পারে কোনও একটি পদ।

তালিকায় আছে রাজ্যের আইন, বিচার এবং পূর্ত দপ্তরের মন্ত্রী মলয় ঘটক, যিনি পশ্চিম বর্ধমান জেলা তৃণমূলের চেয়ারম্যান। আছেন সেচ ও জলপথ দপ্তরের মন্ত্রী এবং পূর্ব মেদিনীপুর জেলা তৃণমূলের সভাপতি সৌমেন কুমার মহাপাত্র। আছেন রাজ্যের মৎস্যমন্ত্রী অখিল গিরিও, যিনি দীঘা শংকরপুর উন্নয়ন পর্ষদের চেয়ারম্যান।

উল্লেখ্য, শনিবারের বৈঠকে দলের জাতীয় সাধারণ সম্পাদক হয়েছেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় (Abhishek Banerjee)। তিনি দলের যুব সভাপতির পদ থেকে পদত্যাগ করেন। প্রাক্তন সভাপতি ও বর্তমানে রাজ্যসভার সদস্য সুব্রত বক্সীও আজ তাঁর পদ ছেড়ে দিয়ে অভিষেককে জায়গা করে দেন। মন্ত্রী হয়েছে চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য। তাই তৃণমূল মহিলা কংগ্রেসের দায়িত্ব পেলেন সাংসদ কাকলি ঘোষদস্তিদার।

TwitterFacebookWhatsAppEmailShare

#West Bengal, #Trinamool Congress

আরো দেখুন