রাজ্য বিভাগে ফিরে যান

বজ্রাঘাতে মৃত্যু এড়াতে প্রচারে নামছে রাজ্য

June 9, 2021 | 2 min read

দক্ষিণবঙ্গে এখনও বর্ষা ঢোকেনি। কিন্তু, আকাশে বেড়েছে বজ্রগর্ভ মেঘের আনাগোনা। তা থেকেই ঘটছে বজ্রপাত (lightning)। বাড়ছে মানুষের মৃত্যুও। সোমবার একদিনে গোটা রাজ্যে কমবেশি ৩০ জন বজ্রপাতে মারা গিয়েছেন! বজ্রপাতে মৃত্যুর সংখ্যা বাড়তে থাকায় এবার রাজ্যের প্রতি ব্লকে নিরাপত্তামূলক প্রচারের উদ্যোগ নিল সরকার। রাজ্য সরকারের বিপর্যয় ব্যবস্থাপন এবং অসামরিক প্রতিরক্ষা দপ্তর থেকে সমস্ত জেলাকে নির্দেশও পাঠানো হয়েছে। বজ্রপাতের সময় বাইরে থাকলে কিংবা ঘরের মধ্যে থাকলে কী কী করতে হবে, সেই ব্যাপারেই মানুষকে সচেতন করা হবে।

বিপর্যয় ব্যবস্থাপন দপ্তর সূত্রে জানা গিয়েছে, বজ্রপাতে বাড়ির বাইরে থাকা বিপজ্জনক। জলে থাকাও বিপজ্জনক। ২০১৫ সালে এপ্রিল মাসে বেলুড়-দক্ষিণেশ্বর রুটে গঙ্গার উপর একটি যাত্রীবাহী নৌকোয় বাজ পড়েছিল। তিনজন মারা গিয়েছিলেন। জখম হয়েছিলেন ১৩ জন। ঘরের বারান্দায় থাকাও উচিত নয়। ২০১৪ সালের জুলাই মাসে হাওড়ার শ্যামপুরের কোলিয়া ঘোষপুর এলাকায় বাজ পড়ে একসঙ্গে ন’জনের মৃত্যু হয়েছিল। তাঁরা বজ্রপাত ও বৃষ্টির কারণে একটি মন্দিরের বারান্দায় আশ্রয় নিয়েছিলেন। সাধারণত দুপুরে এবং বিকেলের দিকেই বেশি বজ্রপাত হয়। সেই সময় প্রচুর মানুষ বাইরে থাকেন। অনেকে মাঠে কাজ করেন। তাই কয়েকদিন আগেই প্রতি ব্লকে বজ্রপাত নিয়ে নিরাপত্তামূলক প্রচার করার জন্য জেলাগুলিকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। যাতে সাধারণ মানুষ সচেতন হন। মাইকে প্রচার, লিফলেট বিলি, নিরাপত্তামূলক হোডিং, ব্যানার, পোস্টার লাগানো প্রভৃতি প্রচার করতে বলা হয়েছে। সোমবারের একসঙ্গে অনেকের মৃত্যুর পর আরও তৎপরতা শুরু হয়েছে। প্রসঙ্গত, ওইদিন সন্ধ্যার পর থেকে বিভিন্ন জেলায় প্রশাসন ও পুলিসের সোশ্যাল মিডিয়ার পেজে ডিজিট্যাল পোস্টার ও ভিডিও দিয়েও প্রচার শুরু হয়েছে।

বজ্রপাত থেকে রেহাই পেতে হলে কী করতে হবে? বিপর্যয় ব্যবস্থাপন দপ্তরের দাবি, বাইরে থেকে ঘরের ভিতরে আশ্রয় নিতে হবে। পাকা বাড়ি হলে ভালো হয়। আশ্রয় নেওয়ার জায়গা না থাকলে নিচু হয়ে গুটিসুটি মেরে বসতে হবে। শুয়ে পড়া চলবে না। খোলা জায়গায় গাছের নীচে আশ্রয় নেওয়া যাবে না। জলাশয়, বিদ্যুতের খুঁটি, ওভারহেড তার থেকে দূরে থাকতে হবে। যানবাহনের মধ্যে থাকলে কাঁচ বন্ধ করতে হবে। জলে মাছ ধরা বন্ধ রাখতে হবে। এছাড়া, ঘরের ভিতরে থাকলে ছাদ, বারান্দা, জানালা থেকে দূরে থাকতে হবে। বৈদ্যুতিক যন্ত্রপাতির প্লাগগুলি সুইচবোর্ড থেকে খুলে রাখতে হবে। বৈদ্যুতিক ও ইলেকট্রিক যন্ত্রপাতিও সেই সময় ব্যবহার করা চলবে না। উত্তর ২৪ পরগনার অতিরিক্ত জেলাশাসক (সাধারণ) সুধীর কোন্থাম বলেন, বজ্রপাত নিয়ে প্রতি ব্লকে নিরাপত্তামূলক প্রচারের নির্দেশ পেয়েছি। শীঘ্রই শুরু হবে। সোমবার বারাকপুর, বসিরহাট, বারাসত মিলিয়ে আমাদের জেলাতেও বজ্রপাতে তিনজনের মৃত্যু হয়েছে। এই সংখ্যাটা বাড়তেও পারে।

TwitterFacebookWhatsAppEmailShare

#Death, #Lightning

আরো দেখুন