ইমনের ছবিতে ধর্ষণের ইঙ্গিত এক ব্যক্তির, কড়া পদক্ষেপ গায়িকার
বেশ কয়েক মাস ধরে যোগাসন চর্চায় মগ্ন ইমন চক্রবর্তী। চর্চার বিভিন্ন মাইলফলক পেরনোর পরে নিজের কয়েকটি ছবি পোস্ট করেন গায়িকা। শুক্রবারও সেটাই করেছেন ইমন। যোগাসন করার একটি ছবি দিয়েছিলেন ফেসবুকে। কিন্তু সেখানে এক নেটাগরিক তাঁকে পরোক্ষ ভাবে ধর্ষণের হুমকি দেন। সেই মন্তব্য চোখে পড়েছে অসংখ্য নেটাগরিকের। সেই মন্তব্যে ইতিমধ্যে আড়াই হাজারের বেশি মানুষ নিজেদের রাগ প্রকাশ করেছেন ইমোটিকন দিয়ে। আর সেই ব্যক্তির মন্তব্যের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করেছেন তাঁরাই। ইমনের হয়ে তাঁর অনুরাগীরাই মুখ খুলেছেন।
ইমন বললেন, ‘‘পৃথিবীতে ভাল মানুষও আছেন। তাই এত মানুষ সেখানে প্রতিবাদ জানিয়েছেন। ও রকম অশ্লীল মন্তব্য করার পরে কেউ তাঁকে ছেড়ে দেননি। এতে আমি খুশি।’’ কিন্তু আইনি পদক্ষেপ কি করবেন না গায়িকা? ইতিমধ্যেই সেই অশ্লীল মন্তব্যের দিকে পুলিশের নজর ঘোরাতে কলকাতা পুলিশকে সেখানে ট্যাগ করেছেন। তবে তাতে কতটা কাজ হবে, তা নিয়ে ধোঁয়াশায় ইমন। কারণ ছেলেটির প্রোফাইল ঘুরে এসেছেন তিনি। প্রোফাইলটি এই দেশের নয়। বাংলাদেশের। মন্তব্য বাক্সেই কেউ কেউ লিখেছেন, এই ব্যক্তি সিলেটের। তাই সেখানকার পুলিশের কাছে অভিযোগ জানানোর পরিকল্পনা করেছেন বাংলাদেশবাসী নেটাগরিকরা।
কিন্তু এই সব কিছু নিয়ে অনেকটা নির্লিপ্ত হয়ে গিয়েছেন ইমন। এই ধরনের মানসিকতা কতটা বদলাবে, সেই নিয়ে চিন্তিত তিনি। তাঁর মতে, একজনকে শাস্তি দিলে আরও ১০ জন আসবে মহিলাদের আক্রমণ করতে। বললেন, ‘‘আমি যোগাসন করছি। মনে শান্তি আনার জন্য। ইতিবাচক আলোর জন্য দিকে নিজেকে নিয়ে যাওয়ার জন্য। এগুলোকে পাত্তা না দিলেই বোধ হয় শান্তি পাব।’’ তার উপরে তিনি প্রায় প্রতি দিনই ত্রাণ বিলি করতে ব্যস্ত। আগামী কালও সুন্দরবন যাওয়ার কথা তাঁর। মানুষকে সাহায্য করে তিনি আনন্দে আছেন। ফলে এই মানসিকতার মানুষের জন্য থানা-পুলিশ করারও ইচ্ছা নেই ইমনের। কিন্তু ইমন বললেন, ‘‘তাও ভেবে ভয় লাগে, এ তো শুধু আমাকে নিয়ে বলা হচ্ছে তা নয়, সমস্ত নারীজাতির প্রতি এই ধরনের মন্তব্য বা হুমকি আসতে পারে।’’ তাই তাঁর আশা, সংবাদমাধ্যমের সাহায্যেও যদি কিছু মানুষ জানতে পারেন এই সমস্ত ঘটনার সম্পর্কে। তাতেও হয়তো কিছুটা সাহায্য হতে পারে।