দ্বিতীয় ঢেউয়ে রাজ্যে করোনাজয়ী ৯৯.৯৯% শিশু-কিশোর
দ্বিতীয় ঢেউয়ে (covid second wave) করোনা জয় করল রাজ্যের ৯৯.৯৯ শতাংশ শিশু-কিশোরই। তাদের বয়স ০ থেকে ১২ বছর। রাজ্য স্বাস্থ্যদপ্তর সূত্রে এই খবর জানা গিয়েছে। এবছর ১ জানুয়ারি থেকে ৩১ মে পর্যন্ত রাজ্যে করোনা আক্রান্ত হয়েছে ২১ হাজার শিশু-কিশোর। তাদের মধ্যে মৃত্যু হয়েছে ১৯ জনের। বাকি ২০ হাজার ৯৯১ জনই সুস্থ হয়ে উঠেছে। তৃতীয় ঢেউ আসার আশঙ্কায় যখন ভয়ে কাঁটা বহু অভিভাবক, রাজ্য সরকারও মোকাবিলার জন্য জোরদার প্রস্তুতি নিয়েছে। সেই পরিপ্রেক্ষিতে কিছুটা হলেও স্বাস্থ্যদপ্তর সূত্রে এই আশার খবর জানা গেল।
স্বাস্থ্যদপ্তর সূত্রের খবর, সদ্যোজাত থেকে ১২ বছর বয়সি শিশু-কিশোরদের বয়সসীমার দিক থেকে দু’টি ভাগ করেন চিকিৎসকরা। একটি হল ‘নিওনেট এজ গ্রুপ’ বা ০-২৮ দিন বয়সি দুধের শিশু। দ্বিতীয়টি হল একমাস থেকে ১২ বছর বয়স পর্যন্ত ‘পেডিয়াট্রিক এজ গ্রুপ’। ১ জানুয়ারি থেকে ৩১ মে পর্যন্ত দু’টি বয়সসীমার মিলিয়ে আক্রান্ত হয়েছে রাজ্যের ২১ হাজার শিশু-কিশোর। তার মধ্যে দুধের শিশু বা ‘নেওনেট এজ গ্রুপ’ (০-২৮ দিন)-এর শিশু ছিল ৬৩০টি। দু’টি বয়সসীমা মিলিয়ে ভর্তির প্রয়োজন হয় ৫০৬ শিশু-কিশোরের। ভর্তি হওয়া শিশু-কিশোরদের মধ্যে মারা যায় ১৯ জন। শতাংশের বিচারে ৩.২।
চিকিৎসকরা জানান, যে-কোনও মৃত্যুই অত্যন্ত দুর্ভাগ্যজনক। শিশু-কিশোরের মৃত্যু আরও। পরিবারকে মানসিকভাবে নিঃস্ব করে দেয়। তাও সামগ্রিকতার বিচারে ২১ হাজার পজিটিভ শিশু-কিশোরের মধ্যে ১৯টি শিশু-কিশোরের মৃত্যু শতাংশের দিক থেকে মাত্র .০০০৯ শতাংশ। ফলে আশার কথা, ৯৯.৯৯ শতাংশ শিশু-কিশোরই সম্পূর্ণ সুস্থ হয়ে গিয়েছে। করোনা জয় করেছে। সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য হল তার মধ্যে মাত্র .০২৪ শতাংশ বা ৫০৬টি শিশু-কিশোরকে হাসপাতালে ভর্তির প্রয়োজন পড়েছে।
এ বিষয়ে বুধবার বি সি রায় শিশু হাসপাতালের সুপার ডাঃ সন্দীপ সামন্ত বলেন, দ্বিতীয় ঢেউয়ের সময়ই বহু শিশু-কিশোর কোভিডে আক্রান্ত হয়েছে। অনেকে সম্পূর্ণ উপসর্গহীন সাব ক্লিনিক্যাল সংক্রমণেও আক্রান্ত হয়েছে। রোগের তেমন কোনও জটিলতাই দেখা যায়নি। ফলে তৃতীয় ঢেউয়ের সময় তাদের সংক্রমণের আশঙ্কা কম। শিশুর অভিভাবক ও আত্মীয়স্বজন টিকা নিয়ে থাকলে এবং আদর্শ স্বাস্থ্যবিধি মেনে চললে বাড়ির শিশু ও কিশোর-কিশোরদের সংক্রামিত হওয়ার আশঙ্কা কম। সার্বিকভাবে তৃতীয় ঢেউ নিয়ে সাবধান থাকুন, কিন্তু অহেতুক আতঙ্কিত হবেন না।