রাজ্য বিভাগে ফিরে যান

কেন্দ্রের কাছে ৬০,০০০ কোটি টাকা পাওনা বাংলার: বাজেটের পর মন্তব্য মমতার

July 7, 2021 | 2 min read

শুরু হলে তৃতীয় তৃণমূল সরকারের প্রথম বাজেট অধিবেশন। আজকের বাজেট অধিবেশনে অনুপস্থিত অসুস্থ পশ্চিমবঙ্গের অর্থমন্ত্রী অমিত মিত্র। তিনি বর্তমানে চিকিৎসাধীন আছেন। তাঁর অনুপস্থিতিতে পরিষদীয় মন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় ২০২১-২২ সালের বাজেট বিবৃতি পড়ে শুক্রবার ভোট-অন-অ্যাকাউন্ট উপস্থাপন করেন।

বিধানসভায় সাংবাদিক বৈঠকে বিবৃতি দেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায়।

লাইভ আপডেট

২:৫১: রঘুনাথপুরে ৭২ হাজার কোটি টাকার বিনিয়োগ আসছে। আড়াই লক্ষ কর্মসংস্থান হবে।

২.৫০: ১০০ দিনের কাজে বাংলা এক নম্বরে। সামাজিক প্রকল্পে ৫৮% খরচ করেছি আমরা।

২:৪৭: আমরা কৃষক বন্ধুর জন্য ২হাজার কোটি টাকা অতিরিক্ত বরাদ্দ রেখেছি। দুয়ারে রেশনের জন্য ১,৫০০ কোটি টাকা, স্টুডেন্ট ক্রেডিট কার্ডের জন্য ২৫০ কোটি টাকা এবং লক্ষ্মীর ভান্ডার এর জন্য অতিরিক্ত ১০ হাজার কোটি টাকা বরাদ্দ করেছে।

২:৪৫: কেন্দ্র অর্থনীতি ধ্বংস করেছে। কিন্তু, বঞ্চনা সত্বেও বাংলার অর্থনীতি অনেক এগিয়ে।

২:৪৪: পশ্চিমবঙ্গের সাথে সারা ভারতের তুলনা করলে দেখা যাবে, ভারতের GDP গ্রোথ ৭.৭%, বাংলার GSDP গ্রোথ ১.২%। আর্থিক ঘাটতি ভারতের ৯%, বাংলার ২%, রাজস্ব ঘাটতি ভারতের ৭.৫%, বাংলার ২%।

২:৪২: কেন্দ্রের কাছে ৬০ হাজার কোটি টাকা বঞ্চিত বাংলা। এটা দুর্ভাগ্যজনক। এরমধ্যে দু-দুটো সাইক্লোন হয়েছে। রাজ্য যা দাবি করেছিল, তার তুলনায় অনেক কম টাকা দেওয়া হয়েছে।

২.৪০ঃ কেন্দ্রীয় বাজেট অনুযায়ী রাজ্যের প্রাপ্য টাকা থেকে ১৪ হাজার কোটি টাকা কমিয়ে দেওয়া হয়েছে। ২০১৯-২০ অর্থবর্ষে ১১ হাজার কোটি টাকা কম দেওয়া হয়েছিল। এছাড়া বিভিন্ন প্রকল্পের বরাদ্দ ৩৩ হাজার কোটি টাকা বকেয়া রয়েছে।

সপ্তাহে চার বার করে পেট্রোল-ডিজেলের দাম বাড়ছে। ৩ লক্ষ ৭১ হাজার কোটি টাকা বাংলা থেকেই রোজগার হয়েছে কেন্দ্রের। নরেন্দ্র মোদী সরকার মানুষের পকেট কাটছে। নিজেদের পকেট ভরছে। বাসে-ট্রেনে চড়বেন কী ভাবে মানুষ? কৃষক চাষ করবেন কী ভাবে? প্রশ্ন মমতার।

দ্বিতীয় ঢেউয়ের আগে হাতে সময় ছিল। ৩৫ হাজার কোটি টাকা বাজেটে দেখিয়েছিল। পিএম কেয়ার্সেও টাকা ছিল। কিন্তু কোনও পদক্ষেপ করেনি কেন্দ্র। বাংলায় এখনও টিকার সমস্যা রয়েছে। অত টাকা কোথায় গেল। তৃতীয় ঢেউ আসছে, এখনও টিকা পাননি বহু মানুষ।বাংলাদেশকেও টিকা দেয়নি। ব্রাজিলে তো ভারতের বিরুদ্ধে তদন্ত হচ্ছে।

এলপিজির দাম এক বছরের মধ্যে ২৭৬ টাকা বেড়েছে। ৮৭৬ টাকায় সিলিন্ডার বিক্রি হচ্ছে। ১৪ মাসে ৪৭ শতাংশ দাম বেড়েছে। নির্বাচনের আগে উজ্জ্বলা যোজনা নিয়ে নাটক করতেন। গরিব মানুষকে বিনা পয়সায় এলপিজি দেওয়া উচিত। পেট্রোল-ডিজেল থেকে এত রোজগার, তাও এ সব নিয়ে চিন্তাভাবনা নেই।

TwitterFacebookWhatsAppEmailShare

#West Bengal Budget 2021, #WB Legislative Assembly

আরো দেখুন