টিকা অপচয় রুখে কেন্দ্রের থেকে প্রাপ্ত ডোজের চেয়ে ১৩ লক্ষ বেশি প্রদান বাংলার
দেশ করোনার দ্বিতীয় ঢেউ রুখতে ব্যস্ত। গ্রাফ এই মূহুর্তে নিম্নমুখী হলেও বিপদ এখনও কাটেনি। দেশে টিকার ঘাটতির খবর কয়েকদিন আগেই সংবাদ মাধ্যমগুলি শিরোনামে উঠে এসেছিল। কিন্তু এর পাশাপাশিই দেশের একাধিক রাজ্যে টিকা নষ্ট হয়েছে। তবে এক্ষেত্রে ভীষণ ভাল কাজ করেছে পশ্চিমবঙ্গ। বাংলায় টিকা অপচয় ঋণাত্মক, অর্থাৎ অপচয় তো হয়নি বরং সাশ্রয় করেছে রাজ্য। মে মাসের শুরুতে অপচয় ছিল মাইনাস ৪ শতাংশ, তা বেড়ে হয়েছে মাইনাস ৭ শতাংশ। অর্থাৎ আরও বেশি টিকা সাশ্রয় করেছে বাংলা।
টিকার ঘাটতির জন্য যেখানে রাজ্যগুলিকে টিকা প্রদানের গতি মন্থর করতে বলা হয়েছে, সেখানে বাংলা কেন্দ্র থেকে যা টিকা এসেছিল তার থেকে ১৩ লক্ষ বেশি টিকাকরণ করেছে। একটি ভ্যাকসিনের শিশিতে ১০ জনকে দেওয়ার মতো ভ্যাকসিন মজুত থাকে। কিন্তু অপচয়ের কথা মাথায় রেখে প্রস্তুতকারী সংস্থাগুলি আরও একজনকে দেওয়ার মতো টিকা অতিরিক্ত দিয়ে থাকে। ওই অল্প পরিমাণ টিকা বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই সিরিঞ্জে নেওয়ার সময় নষ্ট হয়। কিন্তু দক্ষ টিকা প্রদানকারীর পক্ষে ওই অল্প পরিমাণ থেকে আরও একজনকে টিকা দেওয়া সম্ভব।
আর এই ভাবেই ১৩ লক্ষ অতিরিক্ত টিকা দিতে সক্ষম হয়েছে বাংলা। পরিবার কল্যাণ দপ্তরের এক অধিকর্তা বলেন, এখন অপচয় -৭%। কিন্তু এটি আরও কম করা সম্ভব। প্রতি ১ লক্ষ ডোজে রাজ্য ৭০০০ ডোজ বাঁচাতে সক্ষম হচ্ছে। ১ টি শিশির মুখ খোলার ৪ ঘন্টার মধ্যে তাকে ব্যবহার করে ফেলতে হয়। কিন্তু বিভিন্ন জায়গায় মানুষের অভাবে টিকা অপচয়ের খবর সামনে এসেছে।
এখন অবধি বাংলায় মোট ২,৫২,৭৩,৭৬৮ মানুষকে টিকা দেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে ২৮ লক্ষ প্রাইভেট হাসপাতাল থেকে নিয়েছেন। কেন্দ্রের কাছ থেকে মে মাস থেকে এই অবধি রাজ্য ১.৯৩ কোটি কোভিশিল্ড ডোজ, ৩২ লক্ষ কোভ্যাকসিনের ডোজ পেয়েছে। প্রাইভেট হাসপাতালগুলি ২৫ লক্ষ ডোজ পেয়েছে। জুন মাসের তৃতীয় সপ্তাহ অবধি প্রতিদিন তিন লক্ষ করে টিকা দেওয়া হয়েছে রাজ্যে। এখন তা দিনে ২ লক্ষ।
কেন্দ্রের রিপোর্ট অনুযায়ী ঝাড়খন্ড, ছত্রিশগড়ে যথাক্রমে ৩৩% এবং ১৫% টিকা নষ্ট করেছে। মধ্যপ্রদেশ, পাঞ্জাবে ৭% টিকার অপচয় হয়েছে। ইউপি, গুজরাট, রাজস্থানের মতো রাজ্যগুলিতে ৩% টিকার অপচয় হয়েছে।