রাজ্য বিভাগে ফিরে যান

সুতোর দামে জুড়েছে GST, সমস্যায় বাংলার শাড়ি, হোসিয়ারি বিক্রেতারা

July 16, 2021 | 2 min read

অতিমারীর কোপে চাহিদায় ভাটা পড়েছে আগেই। বাড়তি GST-র বোঝায় কাঁচামাল, উৎপাদনের খরচ বেড়ে গিয়েছে অনেকটাই। ৭০০-৭৫০ টাকার সুতো বাড়তি GST জুড়ে এখন ১,৩০০-১,৪০০ টাকায় কিনতে হচ্ছে।

আর মাসখানেক বাদেই পুজো। এক মাস পর থেকেই পুজোর বাজারের তোড়জোড় শুরু হয়েছে যাবে। ইতিমধ্যেই বিভিন্ন জায়গায় খুঁটিপুজো শুরু হয়ে গিয়েছে। এ দিকে চিন্তায় রাতের ঘুম উড়েছে বাংলার শাড়ি, হোসিয়ারির পাইকারি বিক্রেতাদের!

অতিমারীর কোপে চাহিদায় ভাটা পড়েছে আগেই। তার উপর বাড়তি GST-র বোঝায় কাঁচামাল, উৎপাদনের খরচ বেড়ে গিয়েছে অনেকটাই। কিন্তু বাড়তি দাম জুড়ে শাড়ি, হোসিয়ারির খোদ্দের পাওয়াই মুসকিল হয়ে দাঁড়িয়েছে পাইকারি ও খুচরো বিক্রেতাদের পক্ষে!

চাহিদা কমেছে, বিক্রিও নেই বললেই চলে! ফলে খুঁটিপুজো শুরু হয়ে গেলেও খুঁটিতে বাঁধা সুতোয় তেমন টান পড়ছে না। বিগত দুই বছরে সুতোর দাম বেড়েছে অনেকটাই। ৭০০-৭৫০ টাকার সুতো বাড়তি GST জুড়ে এখন ১,৩০০-১,৪০০ টাকায় কিনতে হচ্ছে। অর্থাৎ, দাম প্রায় দ্বিগুণ বেড়ে গিয়েছে!

এ দিকে অধিকাংশ তাঁতের শাড়ি বা হোসিয়ারির পাইকারি ও খুচরো বিক্রেতাদের GST রেজিস্ট্রেশন নেই। ফলে তাঁতের শাড়ি বা হোসিয়ারির পন্যের পাইকারি বিক্রির ক্ষেত্রে তাঁদের লোকসান হচ্ছে অনেকটাই। ধনেখালি, শান্তিপুরের তাঁত কারবারী থেকে বারাসত, বেলঘরিয়ায় হোসিয়ারি ব্যবসার সঙ্গে যুক্ত সকলেরই এক অবস্থা।

দিনে ৩০০-৪০০ টাকার মজুরি, তার উপর চড়া দামের কাঁচামাল। সব মিলিয়ে ক্রেতার দাম জুগিয়ে ঘরে দু পয়সার মুনাফা তুলতে রীতিমতো হিমশিম খেতে হচ্ছে বাংলার এই কুটিরশিল্পের সঙ্গে যুক্ত কয়েক হাজার মানুষকে।

শাড়ি থেকে হোসিয়ারি— সর্বত্রই ব্যবসায়ীদের হাঁড়ির হাল মোটামুটি এক রকম। মহাজনের থেকে বাকিতে আনা সুতো, রং ও অন্যান্য কাঁচামালের দাম শোধ করে, কারিগরদের মজুরি দিয়ে কোন উপায় ‘লাভের গুঁড়’ মুখে তুলবেন, তা ভেবে কোনও কুল পাচ্ছেন না তাঁরা। তাই পুজোর আগে নতুন মাল বানানোন তোড়জোড় তো দূরের কথা, আগের বানানো শাড়ি বা হোসিয়ারির মালই এখন বিক্রি করতে মরিয়া চেষ্টা চালাতে হচ্ছে।

TwitterFacebookWhatsAppEmailShare

#Sarees, #GST, #hosiery

আরো দেখুন