দেশ বিভাগে ফিরে যান

ধর্ষণের নতুন যুগান্তকারী সংজ্ঞা বম্বে হাইকোর্টের

July 18, 2021 | < 1 min read

শুধুমাত্র জোরপূর্বক শারীরিক সম্পর্ক স্থাপনের মধ্যে আর ‘ধর্ষণ’-এর সংজ্ঞা সীমাবদ্ধ থাকছে না। শনিবার ধর্ষণে অভিযুক্ত এক ব্যক্তির কঠোর সাজার আদেশ বহাল রেখে বম্বে হাইকোর্ট জানিয়ে দিল, দৈহিক সম্পর্ক ছাড়াও যৌন নির্যাতন ধর্ষণের পর্যায়ে পড়ে। সে ক্ষেত্রে ভারতীয় দণ্ডবিধির ৩৭৬ ধারা মোতাবেক অভিযুক্তের শাস্তি হওয়া বাঞ্ছনীয়।

 
মুম্বই শহরের বাসিন্দা ৩৩ বছরের ওই ব্যক্তির বিরুদ্ধে এক মুকবধির মহিলার সঙ্গে জোর করে শারীরিক সম্পর্ক স্থাপনের অভিযোগ ওঠে। পুলিস তার বিরুদ্ধে ধর্ষণের মামলা রুজু করে গ্রেপ্তার করে। ২০১৯ সালে ট্রায়াল কোর্ট ওই ব্যক্তিকে ১০ বছরের সশ্রম কারাদণ্ডের নির্দেশ দেয়। সেই রায়কে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে ওই ব্যক্তি সেশন দায়রা আদালতে গিয়েছিলেন। গত মাসে তার আবেদন খারিজ করে দেন বিচারক। পরে বম্বে হাইকোর্টে নিজেকে নির্দোষ প্রমাণ করে সাজা মুকুবের আবেদন জানায় সে। তাতে কোনও লাভ হয়নি। এদিন বিচারপতি রেবতী মোহিত ডেয়ারও জানিয়ে দেন, নিম্ন আদালতের আদেশই বহাল থাকবে। 


এদিন ওই ব্যক্তির আবেদনের শুনানিতে মূলত দৈহিক সম্পর্ক স্থাপনের বিষয়টিতে জোর দেন তার আইনজীবী। অভিযুক্ত এবং অভিযোগকারিণীর মধ্যে কোনওপ্রকার শারীরিক-সংযোগ ঘটেনি বলে তিনি দাবি করেন। কিন্তু আদালতের পর্যবেক্ষণ, ওই মহিলার উপর যৌন নির্যাতন চালানোর প্রমাণ মিলেছে ফরেন্সিক রিপোর্টে। সে ক্ষেত্রে একে-অপরের মধ্যে দৈহিক সম্পর্ক স্থাপিত হতে হবে, এমন কোনও বাধ্যবাধকতা নেই। অভিযুক্ত ও অভিযোগকারিণীর জামা-কাপড় থেকে দাগ লেগে থাকার যে নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছিল, তার সঙ্গে ঘটনাস্থলের ধুলো-মাটির মিল রয়েছে। ফলে এটা স্পষ্ট, ওই মহিলা অভিযুক্তর হাতে যৌন নির্যাতনের শিকার হয়েছিলেন। তা ছাড়া, জোর করে গোপনাঙ্গ স্পর্শ করাও ধর্ষণের শামিল বলে আদালত জানিয়েছে। 

TwitterFacebookWhatsAppEmailShare

#Rape Case, #Bombay High Court

আরো দেখুন