রাজ্য বিভাগে ফিরে যান

বিজেপির একুশে কর্মসূচি ফ্লপ, অভ্যন্তরীণ ফাটল আরও প্রকট

July 22, 2021 | 2 min read

শহিদ শ্রদ্ধাঞ্জলি দিবসে বিজেপির অন্দরের ফাটল আরও স্পষ্ট হল। বুধবার দিল্লির রাজঘাট লাগোয়া কিষান ঘাটে দলের ধর্না মঞ্চে (dharna mancha) এলেনই না বিজেপির শীর্ষ নেতা কৈলাস বিজয়বর্গীয়, শিবপ্রকাশ, অরবিন্দ মেননরা। একেবারে শেষবেলায় দলীয় ধর্না মঞ্চে এসে হাজির হলেন বিজেপির আর এক শীর্ষ নেতা অমিত মালব্য। দলের সংসদ সদস্য সৌমিত্র খাঁ পুরো সময় ধর্না-অবস্থান কর্মসূচিতে উপস্থিতই থাকলেন না। বিজেপি এমপি দেবশ্রী চৌধুরী হাজির থাকলেও এদিনের ধর্না মঞ্চে উল্লেখযোগ্য অনুপস্থিতি ছিল সদ্য প্রাক্তন অপর কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর। এমনকী বুধবারের কর্মসূচিতে হাজির ছিলেন না মোদি মন্ত্রিসভায় স্থান পাওয়া বঙ্গ বিজেপির চার এমপিও।

মঙ্গলবারই রাজ্য বিজেপির পক্ষ থেকে ঘোষণা করা হয়েছিল যে, বাংলায় ‘রাজনৈতিক হিংসা’র প্রতিবাদে বুধবার রাজ্য জুড়ে শহিদ শ্রদ্ধাঞ্জলি দিবস পালন করবে দল। পাশাপাশি দিল্লিতেও বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষের নেতৃত্বে এই ইস্যুতে বঙ্গ বিজেপির এমপিদের আলাদা কর্মসূচি নেওয়ার কথা জানানো হয়। সেইমতো এদিন দিল্লির কিষান ঘাটে ধর্না-অবস্থান কর্মসূচিতে শামিল হয়েছিল বিজেপি (BJP)। আর তাতেই স্পষ্ট হল ফাটল। যদিও উল্লিখিত কর্মসূচিতে মাত্র মিনিট তিরিশের উপস্থিতি নিয়ে পরে সৌমিত্র খাঁ বলেন, ‘আমি বুধবার করোনার টিকা নিয়েছি। তাই পার্টি নেতৃত্বকে বলেই আগেভাগে মঞ্চ থেকে বেরিয়ে যাই।’ আর শুধুমাত্র কিষান ঘাটের ধর্না মঞ্চেই নয়, দিল্লি থেকে দিলীপবাবু যখন কলকাতায় রাজ্য বিজেপির এই সংক্রান্ত কর্মসূচিতে ভার্চুয়ালি ভাষণ দিচ্ছেন, তখনও উপস্থিত ছিলেন না কৈলাস বিজয়বর্গীয়, শিবপ্রকাশ, অরবিন্দ মেননরা।

যদিও দলের এক এমপি বলেন, ‘বুধবারের অনুষ্ঠানে শুধুমাত্র বঙ্গ বিজেপির এমপিদেরই থাকার কথা ছিল। আর কিছু আক্রান্ত দলীয় কর্মীদের দল হাজির করেছিল ধর্না মঞ্চে। ফলে কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের উপস্থিত না থাকার মধ্যে কোনও বিতর্ক নেই। বরং এটাই স্বাভাবিক।’ সদ্য প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রীও দিল্লিতে না থাকার কারণেই বিজেপির কর্মসূচিতে হাজির হতে পারেননি বলে দলীয় সূত্রে জানানো হয়েছে। অন্যদিকে, বুধবার দলের নির্বাচনী কার্যালয় হেস্টিংস অফিসে এই কর্মসূচি পালন করে বিজেপি। রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে শহিদ পরিবারের সদস্যদের সেখানে হাজির করানো হয়। দলের নেতারা প্রত্যেকের পাশে দাঁড়ানোর আশ্বাস দেন। দেওয়া হয় আর্থিক ক্ষতিপূরণের প্রতিশ্রুতিও।

রাজ্য বিজেপির এক নেতার দাবি, ইতিমধ্যেই অধিকাংশ শহিদ পরিবারের হাতে সাধ্যমতো আর্থিক ক্ষতিপূরণ তুলে দেওয়া হয়েছে। একইসঙ্গে হাসপাতালে চিকিৎসারতদের খরচও মেটানো হচ্ছে। ঘরছাড়া দলীয় কর্মীদের থাকা-খাওয়ারও বন্দোবস্ত করা হচ্ছে বলে রাজ্য বিজেপির দাবি। গেরুয়া শিবিরের এদিনের কর্মসূচিকে রাজ্যের শাসক দলের পাল্টা হিসেবেই দেখছে রাজনৈতিক মহল। যদিও এদিন দিল্লির ‘ঘটনা’ নিয়ে দিলীপবাবু বলেন, ‘রাজ্যে গত মে এবং জুন মাসে ১১ হাজার ৭৮২টি হিংসার ঘটনা ঘটেছে। প্রচুর মিথ্যে মামলায় ফাঁসানো হয়েছে বিজেপি কর্মীদের। তারই প্রতিবাদে এই অবস্থান-ধর্না। এর মধ্যে কোনও পাল্টা কর্মসূচির ব্যাপার নেই।’

TwitterFacebookWhatsAppEmailShare

#bjp, #Dharna Mancha

আরো দেখুন