দেশ বিভাগে ফিরে যান

কোভিডের সৌজন্যে দেশজুড়ে ক্লিনিক্যাল ট্রায়ালের বাড়বাড়ন্ত!

September 9, 2021 | 2 min read

বের করতে হবে কোভিডের অব্যর্থ ওষুধ, ইঞ্জেকশন, স্প্রে, টিকা। যার জাদুস্পর্শে মানবসভ্যতা স্বস্তির শ্বাস ফেলবে। ব্যস, কোটি কোটি মানুষকে ব্যতিব্যস্ত করে তোলা সর্বনাশা ভাইরাসকে আটকতে হু হু বাড়তে শুরু করেছে দেশজুড়ে নানা গবেষণা—ক্লিনিক্যাল ট্রায়াল। শুধু কোভিড নিয়েই নয়, কোভিডের নানান বাড়াবাড়ি রকমের উপসর্গ  কমানোর ওষুধ থেকে অন্যান্য রোগভোগ নিয়ে একেবারে ধুম পড়েছে ক্লিনিক্যাল ট্রায়ালের।

ক্লিনিক্যাল ট্রায়ালস রেজিস্ট্রি, ইন্ডিয়া-র (সিটিআরআই) হিসেব অনুযায়ী, ২০১৮ সালে সারা দেশে ৫৭৬৬টি ট্রায়াল নথিভুক্ত হয়েছিল। ২০১৯ সালে নথিভুক্ত ট্রায়ালের সংখ্যা ছিল ৫৭৬৯টি। ঠিক পরের বছর অর্থাৎ ২০২০ সালের ২৭ জানুয়ারি কেরলে প্রথম কোভিড আক্রান্তের সন্ধান মেলে। হু হু করে দেশজুড়ে করোনার কেস বাড়তে শুরু করে। লাফিয়ে বাড়তে শুরু করে ক্লিনিক্যাল ট্রায়ালও। ২০১৯ সালের তুলনায় ২০২০ সালে ট্রায়াল ১৮০৭টি বেড়ে হয় ৭৫৭৬টি। বাড়ল প্রায় ২৪ শতাংশ। এই বছর শুধু আগস্ট পর্যন্ত নথিভুক্ত ক্লিনিক্যাল ট্রায়ালের সংখ্যা ৬০৭৪। যা ২০১৮ এবং ২০১৯ সালের পরিসংখ্যানকে এখনই টপকে গিয়েছে। 

কোভিড সংক্রান্ত ক্লিনিক্যাল ট্রায়ালের মধ্যে সবচেয়ে বেশি আগ্রহ দেখা গিয়েছে কনভালেসেন্ট প্লাজমা বা প্লাজমা থেরাপি বা করোনা-জয়ীদের প্লাজমা নিয়ে গবেষণায়। ২০২০ সালে কোভিড সংক্রান্ত ৬৪টি গবেষণার মধ্যে নথিভুক্ত ১০টি ক্লিনিক্যাল ট্রায়ালই হয়েছে ও হচ্ছে এই প্লাজমা থেরাপি নিয়ে। হাইড্রক্সিক্লোরোকুইন নিয়ে আলাদাভাবে এবং হাইড্রক্সিক্লোরোকুইন ও অন্যান্য ওষুধের সঙ্গে নথিভুক্ত গবেষণার সংখ্যা আটটি। আইভারমেকটিন নিয়ে ছ’টি এবং বিসিজি ভ্যাকসিন নিয়ে গবেষেণার সংখ্যা চারটি। ক্লোরোকুইন নিয়ে ট্রায়াল হয়েছে তিনটি। 
এবার দেখা যাক, ওষুধ হোক বা ইঞ্জেকশন—কোন রাজ্যে বেশি ক্লিনিক্যাল ট্রায়াল হচ্ছে? ২০১৮-২০২১—এই চার বছরের সিটিআরআই-এর হিসেব বলছে কর্ণাটক, মহারাষ্ট্র এবং দিল্লি এই তিন রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে সবচেয়ে বেশি ক্লিনিক্যাল ট্রায়াল হচ্ছে। একদা চিকিৎসা গবেষণায় স্বর্ণভূমি বলে পরিচিত বাংলা কিছুটা হলেও হৃতসম্মান পুনরুদ্ধারের চেষ্টা করছে। ’১৮-’২১—এই চার বছরেই প্রথম দশে জায়গা রয়েছে বাংলার। কখনও সপ্তম তো কখনও অষ্টম স্থানে। 

রাজ্যে ক্লিনিক্যাল ট্রায়াল ফেসিলিটেটর স্নেহেন্দু  কোনার বলেন, আমাদের রাজ্যে সব আছে। দক্ষ উচ্চশিক্ষিত চিকিৎসক গবেষক, গবেষণার পরিকাঠামো, বেসরকারি হাসপাতালগুলির সঙ্গে পাল্লা দিয়ে এগিয়ে চলা সরকারি মেডিক্যাল কলেজ, নিত্যনতুন চিন্তা করতে পারার ক্ষমতা। সরকারি দীর্ঘসূত্রিতা কমালে গবেষণা আরও এগবে।    

TwitterFacebookWhatsAppEmailShare

#India, #clinical trial, #Covid 19 India

আরো দেখুন