দেশ বিভাগে ফিরে যান

ত্রিপুরায় মহিলা সংগঠনকে সামনে রেখেই শুরু হচ্ছে তৃণমূলের প্রচার

September 11, 2021 | 2 min read

ত্রিপুরায় প্রচারে নয়া কৌশল তৃণমূলের (Tripura TMC)।তৃণমূলের টার্গেট ৪৯% মহিলা ভোট। আজ মহিলা সংগঠন নিয়ে হয় কর্মীসভা। মহিলা সংগঠনকে সামনে রেখেই শুরু হচ্ছে প্রচার।প্রতি বিধানসভার (Tripura Assembly Election 2023) জন্যে খোলা হচ্ছে হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপ।সংগঠনের মহিলা সদস্যদের টার্গেট ১০০০ বাড়ি।ত্রিপুরার ৬০ বিধানসভা আসন ভাগ করে হবে এই প্রচার।দুর্গাপুজোর সময় চলবে বিশেষ প্রচার।পাড়ায় পাড়ায় চালাতে হবে মহিষাসুরমর্দিনী।বাংলার স্বাস্থ্য সাথী, লক্ষ্মী ভান্ডার ও কন্যাশ্রী নিয়ে করতে হবে প্রচার।


২০২১ এর বিধানসভা ভোটে বাংলায় তৃণমূলের ভালো ফলের জন্যে এখানকার মহিলা ভোটারদের আস্থা অন্যতম কারণ বলে মনে করছেন রাজনীতিবিদরা। তাঁদের মতে এ রাজ্যে মহিলা ভোট মমতা বন্দোপাধ্যায়ের (Mamata Banerjee) দিকে থাকাতেই এই নজিরবিহীন জয় পেয়েছে তৃণমূল কংগ্রেস । কারণ, বাংলার ভোটের ৪৯% মহিলা ভোটের গরিষ্ঠ অংশ এখন মমতারই দিকে। মহিলা ভোটারদের কাছে টানার সেই কৌশল এবার ত্রিপুরাতেও প্রয়োগ করতে চায় তৃণমূল কংগ্রেস । আর সে কারণেই আজ মহিলা তৃণমূল কংগ্রেস কর্মীদের নিয়েই বৈঠক করলেন তৃণমূল সাংসদ কাকলি ঘোষদস্তিদার।


এদিন আগরতলার একটি হোটেলে ডাকা হয়েছিল বিশেষ বৈঠক। সেখানেই আলোচনা হয় মহিলা সংগঠনে জোর দেওয়ার প্রসঙ্গে। যে পথে এগোতে চাইছে তৃণমূল কংগ্রেস। তৃণমূল নেতৃত্বের পরিকল্পনা, পরিবার পিছু এগোতে হবে সংগঠন বিস্তার করার ক্ষেত্রে। তাই পরিবারের মহিলাদের সমস্যা বুঝতে হবে। তাদের সংগঠনে ধীরে ধীরে কাছে টানতে হবে। পরিবারের মহিলারা, বাকি সদস্যদের বোঝাবেন। ফলে জনসমর্থন বাড়ানোর জন্যে এভাবেই ত্রিপুরায় এগোবে তৃণমূল কংগ্রেস।


অন্য দিকে, বাংলায় ছাত্রী ও নারীদের জন্য মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের একাধিক স্কিম আছে। সেই স্কিমের সুফল ত্রিপুরার মানুষও পেতে পারেন৷ এই সব স্কিমের সুফল ত্রিপুরার মহিলাদের ঘরে ঘরে গিয়ে বোঝানোর কাজ শুরু করবে তৃণমূল কংগ্রেস। এর মধ্যে ছাত্রীদের জন্যে কন্যাশ্রী। মেয়েদের বিয়ের সময়ে রুপশ্রী। এছাড়া ছাত্রীদের সাইকেল দেওয়া হয়। এর পাশাপাশি মমতা বন্দোপাধ্যায় মহিলাদের অ্যাকাউন্টে টাকা পাঠাচ্ছেন। এছাড়া মহিলাদের স্বাবলম্বী করে তোলার জন্যে বাংলায় একাধিক প্রকল্প চালু হয়েছে। সেই সব প্রকল্পের সুবিধা এবার ত্রিপুরার মানুষের কাছে পৌছে দেওয়ার জন্যে মহিলাদের নিয়ে বৈঠক করলেন কাকলি ঘোষ দস্তিদার, সুস্মিতা দেব, কুণাল ঘোষরা৷ এদিন মহিলাদের জমায়েত দেখে খুশি তৃণমূল নেতৃত্ব। বিশেষ করে পাহাড় অঞ্চল থেকে যে ভাবে মহিলারা এসেছেন তা দেখে খুশি তারা।


সাংসদ কাকলিদেবী জানিয়েছেন, “আপনাদের ছাড়া সংগঠন অচল। বাম আমলের কারণে শিল্প এখানে এল না।১০ হাজার শিক্ষক পরিবার এখানে কাঁদছে।মহিলাদের গায়ে হাত দেওয়া মানে জেনে নিন রাজত্ব ধ্বংস। মহিলাদের ওপর অত্যাচার হচ্ছে, এর প্রতিবাদ করুন।ঘরে ঘরে গিয়ে প্রচার শুরু করুন।শুধু সভা শুনে, মিছিল করে বাড়ি ফিরে গেলে চলবে না।বাংলায় স্বাস্থ্য সাথী, লক্ষ্মী ভান্ডার চলছে, তা জানান।পাশের রাজ্যের এত প্রকল্প। আর এখানের মহিলারা কিছুই পাচ্ছেন না।দিনে অন্তত দলের জন্যে ১ ঘন্টা করে সময় ব্যয় করুন।মহিলারাই পৌছতে পারবে বাড়ির অন্দরমহলে। এক এক জন মহিলা ১০০০ বাড়িতে যান। ৬০ বিধানসভা আসন ভাগ করে নিন। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কর্মসূচী এভাবেই পৌছে দিতে হবে। দুর্গাপুজোয় বিশেষ প্রচার করতে হবে। পাড়ায় পাড়ায় চালান মহিষাসুরমর্দিনী। প্রত্যেক বিধানসভার জন্যে খোলা হবে বিশেষ হোয়ায়টসঅ্যাপ গ্রুপ।”।


তৃণমূল নেত্রী, সুস্মিতা দেব জানিয়েছেন, “বাংলায় মহিলাদের কী ভাবে উন্নয়ন হয়েছে সেই প্রচার ত্রিপুরাতেও। মহিলাদের জন্যে রাজনীতিতে লড়াই উনিই করছেন।আগামী ১মাসে এই রাজ্যেও মহিলাদের জন্যে আলাদা বুথ কমিটি হবে। যে মুখ্যমন্ত্রীকে এখানে বসানো হয়েছে, তার নাম শুনে দেশের মানুষ হেসে ফেলেছেন।একজন ব্যর্থ মুখ্যমন্ত্রীর বিরুদ্ধে লড়াই করতে হবে।এই রাজ্যে বেরোজগার সবচেয়ে বড় সমস্যা।এই সমস্যার সমাধান করতে হলে মহিলাদের দিকে নজর দিতে হবে।ত্রিপুরায় ৪৯% মহিলা ভোটার আছেন।মহিলাদের চাকরি দিতে হবে।বাংলার মডেলেই মহিলাদের জন্যে কাজ হবে।মুখ্যমন্ত্রী যে হেল্পলাইন করলেন তা জনসাধারণকে বাঁচাতে নয়। ১০৯৫ হেল্পলাইন আসলে নিজেকে বাঁচাতে করা হয়েছে। বেটি বাঁচাও, বেটি পড়াওয়ের টাকা মোদীর পোস্টারে খরচ হচ্ছে। সংগঠন আসল, তৃণমূল স্তরের নেতারাই নেতা-মন্ত্রী গঠন করেন।”

TwitterFacebookWhatsAppEmailShare

#AITC, #TMC Tripura, #Female Workers

আরো দেখুন