রাজ্য বিভাগে ফিরে যান

রাজ্যে ১৮ হাজার কর্মতীর্থ স্টল খালি, তুলে দেওয়া হবে স্বনির্ভর গোষ্ঠীর মহিলাদের হাতে

September 21, 2021 | 2 min read

স্বনির্ভর গোষ্ঠী, ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী, সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের মানুষের ব্যবসার জন্য জনবহুল এলাকায় ‘কর্মতীর্থ’ তৈরির উদ্যোগ নিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। রাজ্যে বর্তমানে ৫২৮টি কর্মতীর্থ অর্থাৎ বাজার তৈরি হয়েছে। যা তৈরি করেছে ক্ষুদ্র কুটির শিল্প দপ্তর, সংখ্যালঘু দপ্তর, পঞ্চায়েত দপ্তর প্রভৃতি। সেই সব কর্মতীর্থে ১৮ হাজার স্টল খালি পড়ে রয়েছে। অবিলম্বে তা পূরণ করার জন্য নবান্নের পক্ষ থেকে জেলায় জেলায় নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। স্বনির্ভর গোষ্ঠীর মহিলাদের এক্ষেত্রে অগ্রাধিকার দেওয়া হবে। তাদের আর্থিকভাবে স্বনির্ভর করার উদ্যোগ নিয়েছে রাজ্য সরকার। তাদের ঋণ পাইয়ে দেওয়ার পাশাপাশি তাদের উৎপাদিত পণ্য বিক্রির জন্য কর্মতীর্থে স্টলের ব্যবস্থা করে দেওয়া হচ্ছে। অর্থাৎ এবার রাজ্যের প্রতিটি জেলার কর্মতীর্থে দোকান পাবেন স্বনির্ভর গোষ্ঠীর মহিলারা।

শনিবার মুখ্যসচিব হরিকৃষ্ণ দ্বিবেদী সংশ্লিষ্ট দপ্তরের প্রধান সচিব এবং প্রতিটি জেলার জেলাশাসকদের নির্দেশ দিয়েছেন, তাঁদের জেলার কর্মতীর্থে যেসব দোকান এখনও খালি রয়েছে, তার তালিকা তৈরি করতে হবে। তারপর সেখানে স্বনির্ভর গোষ্ঠীর মহিলাদের উৎপাদিত পণ্য বিক্রয়ের ব্যবস্থা করতে হবে। কর্মতীর্থের জন্য নোডাল অফিসার রয়েছেন পি বি সেলিম। তিনি নিয়মিত জেলাশাসকদের সঙ্গে যোগাযোগ রাখবেন। নবান্ন সূত্রের খবর, রাজ্যের কর্মতীর্থগুলিতে এখনও প্রায় ১৮ হাজার দোকান খালি রয়েছে। সেইসব দোকান স্বনির্ভর গোষ্ঠীর মহিলাসহ যারা নিজস্ব উৎপাদিত সামগ্রী বিক্রি করে, তাদের হাতে তুলে দিতে হবে। মুখ্য সচিবের নির্দেশ, নিজ নিজ জেলায় সম্ভাবনাময় স্বনির্ভর গোষ্ঠীর তালিকা তৈরি করতে হবে। পুজোর আগেই যাতে স্বনির্ভর গোষ্ঠীর মহিলারা দোকান পেয়ে যায়, সেটা নিশ্চিত করার কথা বলেছেন মুখ্যসচিব।

প্রসঙ্গত, রাজ্যের স্বনির্ভর গোষ্ঠীর মহিলাদের আর্থিকভাবে স্বচ্ছল করতে ইতিমধ্যেই বেশকিছু পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে সরকার। রাজ্যের পুর এলাকায় ‘স্বয়ংসিদ্ধা’ ও গ্রামাঞ্চলে ‘আনন্দধারা’ নামে দুটো প্রকল্প চালু করা হয়েছে। স্বনির্ভর গোষ্ঠীতে যাতে মহিলার সংখ্যা বাড়ানো যায়, তার নির্দেশ দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেই মতো পুর-নগরোন্নয়ন দপ্তর এবং পঞ্চায়েত দপ্তর উদ্যোগ নিয়েছে। এই দুই প্রকল্পের মাধ্যমে স্বনির্ভর গোষ্ঠীর মহিলারা তাদের উৎপাদিত পণ্য বিক্রি করার সুযোগ পায়। এবার কর্মতীর্থগুলোতেও স্বনির্ভর গোষ্ঠীর মহিলারা আরও বেশি সংখ্যক দোকান পেলে, সেখান থেকেও তারা নিজেদের পণ্য বিক্রয়ের সুবিধা পাবে। ফলে আর্থিকভাবে স্বাচ্ছল্যের মুখ দেখতে পাবে তারা। গ্রামীণ অর্থনীতি চাঙা হবে। এই কারণেই মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশে কর্মতীর্থে খালি থাকা দোকান স্বনির্ভর গোষ্ঠীর মহিলাদের হাতে তুলে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিল রাজ্য সরকার।

TwitterFacebookWhatsAppEmailShare

#West Bengal, #self help groups, #Karmatirtha

আরো দেখুন