মোদী সরকারের কর্মসংস্থানের দাবিতে ধাক্কা, কমেছে ইপিএফে নতুন গ্রাহকের অন্তর্ভুক্তি
মোদী সরকারের কর্মসংস্থানের দাবিতে ফের ধাক্কা। ২০১৮-১৯ থেকে ২০২০-২১ এই তিনটি আর্থিক বছরে ক্রমশ কমেছে ইপিএফে নতুন গ্রাহকের অন্তর্ভুক্তি। শুক্রবার পরিসংখ্যান মন্ত্রকের প্রকাশিত রিপোর্টেই স্পষ্ট হয়েছে এই ছবি। ২০১৭ সালের সেপ্টেম্বর মাস থেকে ২০২১ সালের জুলাই মাস পর্যন্ত প্রাপ্ত তথ্যের ভিত্তিতে এদিনের রিপোর্ট প্রকাশ করেছে উল্লিখিত মন্ত্রক। আর তাতেই দেখা যাচ্ছে, ২০১৮ সালের এপ্রিল থেকে ২০১৯ সালের মার্চ মাস পর্যন্ত কর্মচারী প্রভিডেন্ট ফান্ডে (ইপিএফ) মোট ১ কোটি ৩৯ লক্ষ ৪৪ হাজার ৩৪৯ জন নতুন গ্রাহকের অন্তর্ভুক্তি হয়েছে। পরের বছর, অর্থাৎ, ২০১৯-২০ অর্থবর্ষে (এপ্রিল ২০১৯-মার্চ ২০২০) তা কমে দাঁড়িয়েছে ১ কোটি ১০ লক্ষ ৪০ হাজার ৬৮৩ জন। আর ২০২০-২১ আর্থিক বছরে ইপিএফে নতুন গ্রাহকের এই অন্তর্ভুক্তি আরও কমে হয়েছে ৮৫ লক্ষ ৪৮ হাজার ৮৯৮।
তথ্যাভিজ্ঞ মহলের মতে, ২০২০ সালের মার্চ মাসের পর থেকে করোনা পরিস্থিতির মোকাবিলার জন্য লকডাউনের প্রভাব সার্বিকভাবেই কর্মক্ষেত্রের উপর পড়েছিল। ফলে ২০২০-২১ আর্থিক বছরের ব্যাখ্যা পাওয়া সম্ভব। কিন্তু তার আগের দু’বছরে একই পরিস্থিতি তৈরি হয়েছিল কেন, সেই প্রশ্নেরই উত্তর খুঁজছে সংশ্লিষ্ট মহল। উল্লিখিত রিপোর্ট থেকে দেখা যাচ্ছে, ২০২১ সালের এপ্রিল মাসে ইপিএফে ৭ লক্ষ ৭৫ হাজার ৭৯৫ জন নতুন গ্রাহকের অন্তর্ভুক্তি হয়েছে। তা কমে গিয়েছে পরের মাসেই। ২০২১ সালের মে মাসে এই অন্তর্ভুক্তির সংখ্যা ৬ লক্ষ ২৮ হাজার ৮০৬ জন। যদিও জুন এবং জুলাই মাসে এই নতুন সদস্য অন্তর্ভুক্তির হার কিছুটা বৃদ্ধি পেয়েছে বলেই পরিসংখ্যান মন্ত্রকের রিপোর্টে উল্লেখ করা হয়েছে।
রিপোর্টে অবশ্যই পরিসংখ্যান মন্ত্রক উল্লেখ করেছে যে, ২০১৭ সালের সেপ্টেম্বর মাস থেকে ২০২১ সালের জুলাই মাস পর্যন্ত কর্মচারী প্রভিডেন্ট ফান্ডে ৪ কোটি ৫১ লক্ষ ৪৯ হাজার ৬০৪ জন নতুন গ্রাহক অন্তর্ভুক্ত হয়েছেন। একইভাবে আগে ইপিএফ স্কিম ছেড়ে বেরিয়ে গিয়ে পরে ফের যোগ দিয়েছেন, এমন গ্রাহকও রয়েছেন। শুধুমাত্র জুলাই, ২০২১ সালেই এমন গ্রাহকের সংখ্যা ৯ লক্ষের কিছু বেশি। উল্লেখ্য, কোনও প্রতিষ্ঠানে যদি ন্যূনতম ২০ জন কর্মী থাকেন, তাহলে সেইসব সংস্থা কর্মচারী ভবিষ্যনিধি সংগঠনের (ইপিএফও) অধীনস্ত হয়। এবং তার কর্মচারীরা শর্তসাপেক্ষে এই সামাজিক সুরক্ষা পরিষেবা পান। সম্প্রতি সেপ্টেম্বর মাসের পে-রোল ডেটা প্রকাশ করে ইপিএফও জানিয়েছে, চলতি বছরের জুলাই মাসে সবমিলিয়ে ইপিএফে ১৪ লক্ষ ৬৪ হাজার ৭৮২ জন গ্রাহক নাম লিখিয়েছেন।