যাদবপুরকে বিশিষ্ট প্রতিষ্ঠানের তালিকা বাদ দেওয়ার সিদ্ধান্ত ইউজিসির, পুনর্বিবেচনার অনুরোধ রাজ্যের
যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়কে (Jadavpur University) বিশিষ্ট প্রতিষ্ঠানের তালিকা থেকে বাদ দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে ইউনিভার্সিটি গ্রান্ট কমিশন বা ইউজিসি। সেই সিদ্ধান্ত আবার ভেবে দেখার অনুরোধ জানাল রাজ্য সরকার।
২০১৮ সালে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়কে দেশের বিশিষ্ট প্রতিষ্ঠানের তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করেছিল ইউজিসি। গত জুলাই মাসে তা সরিয়ে নেওয়ার কথা হয়। ইউজিসির এমপাওয়ার্ড এক্সপার্ট কমিটি বা ইইসির কথায় এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। ইনস্টিটিউট অফ এমিনেন্স একটি বিশেষ সম্মান। পশ্চিমবঙ্গের অন্যতম স্বনামধন্য বিশ্ববিদ্যালয় হিসেবে যাদবপুর এই সম্মান লাভ করেছিল।
ইইসি-র সেই প্রস্তাব এখন কেন্দ্রীয় শিক্ষা মন্ত্রকের কাছে পাঠানো হয়েছে। সেখান থেকে সবুজ সংকেত মিললেই পাকাপাকিভাবে সরে যাবে যাদবপুরের ‘বিশিষ্ট’ খেতাব।
কেন যাদবপুরের এই খেতাব তুলে নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিল ইউজিসি? রাজ্য শিক্ষা দফতর সূত্রের খবর, এমিনেন্স তালিকায় যাদবপুরের খরচ বহন করছে কেন্দ্র সরকার। তা ভাগ করে নিতে অস্বীকার করে রাজ্য। আর সেই আক্রোশেই এমনটা করছে ইউজিসি।
এদিন বাংলার উচ্চশিক্ষা দফতরের সেক্রেটারি মনীশ জৈন ইউজিসিকে অনুরোধ করেছেন দেশের বিশিষ্ট প্রতিষ্ঠানের তালিকা থেকে যে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়কে না সরিয়ে ফেলা হয়। গত বছর ইউজিসির কাছে খরচের যে তালিকা পাঠিয়েছিল যাদবপুর কর্তৃপক্ষ, তাতে ৬০৬ কোটি টাকার কথা ছিল। তার মধ্যে কেন্দ্রের কাছ থেকে চাওয়া হয়েছিল মাত্র ৪৫৪ কোটি। বাকি ১৫২ কোটি টাকা জোগাড় করে নেওয়ার কথা জানিয়েছিল যাদবপুর।
সাধারণত বিশিষ্ট তালিকায় থাকা বিশ্ববিদ্যালয়গুলি পাঁচ বছরে হাজার কোটি টাকা পেয়ে থাকে। এ ব্যাপারে যাদবপুরের উপাচার্য সুরঞ্জন দাস বলেছেন, যাদবপুরের বিশিষ্ট তকমা কেড়ে নেওয়া ঠিক হবে না একেবারেই, এটা অনুচিত। কেন্দ্রের শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী সুভাষ সরকারকে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করা হয়, কিন্তু তিনি ফোন তোলেননি।