দেশ বিভাগে ফিরে যান

লখিমপুরে হিন্দু বনাম শিখ লড়াই বাঁধানোর চেষ্টা করা হচ্ছে, বিস্ফোরক দাবি বরুণ গান্ধীর

October 10, 2021 | 2 min read

লাগাতার দলের বিরুদ্ধে সরব হওয়ার পর ন্যাশনাল এক্সিকিউটিভ কমিটি বা জাতীয় কর্মসমিতি থেকে বাদ পড়েছিলেন বরুণ গান্ধী (Varun Ghandhi)। কিন্তু তারপরও রবিবার ফের টুইটারে ক্ষোভ উগরে দিতে দেখা গেল উত্তরপ্রদেশের পিলভিটের সাংসদকে। রবিবার সকালে তিনি অভিযোগ করলেন, লখিমপুরে (Lakhimpur Kheri) হিন্দু বনাম শিখ লড়াই বাঁধানোর চেষ্টা করা হচ্ছে।

দিনকয়েক আগেই বরুণ দাবি করেছিলেন, লখিমপুরে যে গাড়ি দিয়ে কৃষকদের পিষে দেওয়া হয়েছে, সেই গাড়ির মালিককে গ্রেপ্তার করা হোক। লখিমপুর কাণ্ড নিয়ে যোগী সরকারকে একাধিক চিঠিও লিখেছেন বরুণ। যাতে সরকার তথা পুলিশ প্রশাসনকে রীতিমতো তুলোধোনা করা হয়েছে। সেই সুর রয়েছে আজকের টুইটেও। বরুণ লেখেন, ”লখিমপুর খেরিকে হিন্দু বনাম শিখ যুদ্ধক্ষেত্রে পরিণত করার চেষ্টা করা হচ্ছে। এটা কেবল অনৈতিক ও মিথ্যা কাহিনিই নয়। এই ধরনের মিথ্যার ধাক্কায় ফের সেই ক্ষতকে জাগিয়ে তোলাটা বিপজ্জনক কাজ, যে ক্ষত সারিয়ে তুলতে প্রজন্মের পর প্রজন্ম লেগেছে। আমরা জাতীয় ঐক্যের থেকেও রাজনৈতিক ফায়দাকে কখনওই বেশি গুরুত্ব দিতে পারি না।”

লখিমপুর খেরির অশান্তির মূল অভিযুক্ত আশিস মিশ্রকে ১৪ দিনের বিচারবিভাগীয় হেফাজতে পাঠাল আদালত। যদিও তাকে নিজেদের হেফাজতে চেয়েছে পুলিশ। সোমবার সেই সংক্রান্ত শুনানি হওয়ার কথা। এদিকে কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধীর নেতৃত্বে সাত সদস্যের এক প্রতিনিধি দল রাষ্ট্রপতির সঙ্গে দেখা করতে চায়। কংগ্রেসের তরফে রাষ্ট্রপতির সঙ্গে দেখা করার আবেদন করা হয়েছে। রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দের কাছে হলফনামা জমা দিতে চান কংগ্রেস প্রতিনিধিরা।

প্রসঙ্গত, রবিবার কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর ছেলের গাড়ির চাকায় পিষ্ট হয়ে লখিমপুর (Lakhimpur) খেরিতে ৪ জন কৃষকের মৃত্যু হয়। এমন মর্মান্তিক ঘটনার পর থেকেই অগ্নিগর্ভ পরিস্থিতি হয়ে ওঠে সেখানে। অশান্তির মাঝে পড়ে আরও ৪ জন প্রাণ হারান। লখিমপুরের ওই ঘটনার ভিভিও টুইট করে বরুণ গান্ধী লেখেন, ”লখিমপুর খেরিতে যেভাবে কৃষকদের ইচ্ছাকৃতভাবে পিষে দেওয়া হল, সেটা যে কোনও ব্যক্তির আত্মায় আঘাত করতে বাধ্য। পুলিশের উচিত এই ভিডিওটি দেখে গাড়ির মালিকদের সনাক্ত করে গ্রেপ্তার করা।”

TwitterFacebookWhatsAppEmailShare

#Varun Gandhi, #Lakhimpur Kheri Violence

আরো দেখুন