লখিমপুর খেরিতে কৃষক খুনের ঘটনায় গ্রেপ্তার বিজেপি নেতা-সহ ৪
উত্তরপ্রদেশের লখিমপুর খেরিতে কৃষক খুনের ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে আজ আরও চার জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। এর মধ্যে রয়েছে সুমিত জয়সওয়াল নামে স্থানীয় এক বিজেপি নেতাও, যাকে ঘটনার সময়ে একটি গাড়িতে পালিয়ে যেতে দেখা গিয়েছিল।
কৃষকদের পিষে দিয়ে যে তিনটি গাড়ি ঘটনাস্থল থেকে উধাও হয়ে যায়, তার একটিতে ছিল সুমিত। ওই সময়ে তোলা ভিডিয়োতে তা দেখা গিয়েছে। তবে স্থানীয় ওই বিজেপি নেতা কৃষকদের বিরুদ্ধে পাল্টা এফআইআর দায়ের করে তার ড্রাইভার, এক বন্ধু ও বিজেপির দু’জন কর্মীকে খুনের অভিযোগ এনে। লখিমপুর খেরির সে দিনের ঘটনা নিয়ে সুমিতকে জিজ্ঞাসাবাদ করার জন্য ডেকে পাঠিয়েছিল পুলিশ। তবে হাজির না হয়ে উধাও হয়ে গিয়েছিল সে।
লখিমপুর খেরির ঘটনা নিয়ে গোটা দেশে প্রতিক্রিয়ার পর খুনের অভিযোগে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী অজয় মিশ্রের ছেলে আশিস-সহ কয়েক জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। আজ আরও চার জনকেগ্রেপ্তারের পর ধৃতের সংখ্যা দাঁড়াল দশ। ধৃত চার জন হল, সুমিত জয়সওয়াল, শশী পাল, সত্যপ্রকাশ ত্রিপাঠী ও নন্দন সিংহ বিস্ট।
এ দিকে, কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের প্রতিমন্ত্রী অজয় মিশ্র লখিমপুর খেরির হিংসার ঘটনার দায় স্থানীয় পুলিশের উপর চাপিয়ে দিয়েছেন। যোগী আদিত্যনাথ সরকারের পুলিশের দিকে আঙুল তুলে মিশ্রের দাবি, বিজেপির এক কর্মী শ্যামসুন্দর নিষাদকে আহত অবস্থায় অ্যাম্বুল্যান্সে তোলা হয়েছিল। তবে তাঁকে টেনে নামানো হয়। পুলিশ আধিকারিকদের উপস্থিতিতেই তাঁকে হত্যা করা হয়েছে।
কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর দাবি, লখিমপুর খেরিতে গোলমাল হতে পারে বলে গোয়েন্দারা রিপোর্ট দিয়েছিলেন। তা সত্ত্বেও এলাকা ঠিক ভাবে পর্যবেক্ষণ করেনি পুলিশ। রাস্তায় ব্যারিকেডও দেওয়া হয়নি। গত কাল সিংহ কুর্দ গ্রামে নিহত বিজেপি কর্মীদের জন্য আয়োজিত প্রার্থনা সভায় যোগ দিয়ে এই অভিযোগ এনেছেন অজয় মিশ্র।
শীর্ষ আদালতের তিরস্কারের পর যোগী আদিত্যনাথের পুলিশ গ্রেপ্তার করেছে অজয় মিশ্রের ছেলে আশিসকে। এ দিকে, পুলিশ সূত্রের খবর, লখিমপুর খেরির ঘটনা নিয়ে ১৪৭টি ভিডিয়ো তদন্তকারীদের কাছে পৌঁছেছে। প্রত্যক্ষদর্শীরা মোবাইলে এই সব ভিডিয়ো তুলেছেন। তদন্তের প্রয়োজনে ভিডিয়োগুলি খতিয়ে দেখা হচ্ছে।