টি-টোয়েন্টিতে মুখোমুখি ভারত-পাকিস্তান, জেনে নিন কে এগিয়ে
ভারত-পাকিস্তান। দুই দেশের মধ্যে মাঠের বাইরে হামেশাই লড়াইয়ের পরিবেশ তৈরি হয়। সে যুদ্ধ অবশ্য চান না আমআদমি। তাঁরা কেবল উপভোগ করতে চান দুই চিরপ্রতিদ্বন্দ্বীর মাঠের লড়াই টুকুই। যেখানে ম্যাচের শুরু ও শেষে দুই দলের নেতা একে অপরের দিকে হাত বাড়িয়ে শান্তির বার্তা দেন। বুঝিয়ে দেন, এ লড়াই শুধুই ২২ গজের। দীর্ঘ দু’বছরের প্রতীক্ষার অবসান ঘটিয়ে সেই মহারণ (T20 World Cup) ফিরছে মরুদেশে। বিরাট কোহলি (Virat Kohli) বনাম বাবর আজমের মধ্যে শেষ হাসি কে হাসেন, সেই মাহেন্দ্রক্ষণের অপেক্ষায় ক্রিকেটপ্রেমীরা।
বিশ্বকাপে ভারতের বিরুদ্ধে এখনও দাঁত ফোটাতে পারেনি পাকিস্তান (Pakistan)। ১২ বারের সাক্ষাতে ১২বারই জয়ী ভারত। আর সেই একডজন জয়ের অভিজ্ঞতা নিয়েই আজ, সুপার সানডে-তে দুবাইয়ের বাইশ গজে নামবে টিম ইন্ডিয়া। প্রতিবারের মতো এবারও তাই ভারতই ফেভারিট। তবে সাম্প্রতিক অতীতে কুড়ি-বিশের ফরম্যাটে পাকিস্তানের পারফরম্যান্সও নজর কেড়েছে। ফর্মে রয়েছেন বাবর-সহ একাধিক ব্যাটসম্যান। তাই সবমিলিয়ে যে ব্লকবাস্টার ম্য়াচের সাক্ষী হতে চলেছে বিশ্ব, তা বলাই যায়। তবে অতীত পরিসংখ্যান ঘাঁটলে দেখা যাবে, টি-টোয়েন্টি সাক্ষাতে অনেকটাই এগিয়ে টিম ইন্ডিয়া (Team India)।
এখনও পর্যন্ত টি-টোয়েন্টিতে মোট ৮বার মুখোমুখি হয়েছে ভারত-পাকিস্তান। যার মধ্যে সাতবারই জয়ী ভারত। ২০০৭ সালে মিসবা-উল-হকের পাকিস্তানকে হারিয়ে প্রথমবার বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল ধোনির দল। তারপর থেকে ছোট ফরম্যাটের বিশ্বকাপে শুধুই জয়ের ইতিহাস রচনা করেছে এ দেশ। ব্যতিক্রম কেবল চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির ফাইনাল।
টি-টোয়েন্টিতে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে সর্বোচ্চ রান রয়েছে বিরাট কোহলির ঝুলিতে। ছ’ম্যাচে তাঁর নামের পাশে লেখা ২৫৪ রান। গড় ৮৪.৬৬। এরপরই দ্বিতীয় স্থানে রয়েছেন পাক তারকা শোয়েব মালিক। তাঁর সংগ্রহ ১৬৪। ১৫৬ রান নিয়ে তিন নম্বরে রয়েছেন আরেক পাক ব্যাটসম্যান মহম্মদ হাফিজ। ১৫৫ রান করে এখনও চারে যুবরাজ সিং।
ব্যাটিং বিভাগের রেকর্ড ভারতের ঝুলিতে থাকলেও বল হাতে এগিয়ে পাকিস্তানই। প্রাক্তন পাক পেসার উমর গুল টি-টোয়েন্টিতে সর্বোচ্চ ১১টি উইকেট পেয়েছিলেন ভারতের বিরুদ্ধে। তাঁর পরে রয়েছেন ভারতীয় পেসার ইরফান পাঠান (৬), পাকিস্তানের মহম্মদ আসিফ (৫) এবং ভারতের ভুবনেশ্বর কুমার (৫)।