শ্রাবন্তীর বিজেপি ত্যাগ নিয়ে সুকান্তর অপ্রীতিকর মন্তব্য, তীব্র বিরোধিতা নুসরতের
বৃহস্পতিবার বিজেপি ছাড়লেন অভিনেত্রী শ্রাবন্তী চট্টোপাধ্যায় (Srabanti Chatterjee)। ট্যুইটে তাঁর দল ছাড়ার কারণও স্পষ্ট করে দিয়েছেন শ্রাবন্তী। বৃহস্পতিবার দল ছাড়ার কথা ঘোষণা করে শ্রাবন্তী ট্যুইটারে লেখেন, ‘যে দলের হয়ে আমি গত বিধানসভা ভোটে লড়েছি সেই বিজেপির সঙ্গে আমার সমস্ত সম্পর্ক ছিন্ন করছি। কারণ, বাংলার উন্নয়নের জন্য বিজেপি একেবারেই আন্তরিক নয়। বাংলার জন্য কাজ করার মনোভাবে অভাব রয়েছে বিজেপি-র।” আর শ্রাবন্তীর দল ছাড়ার ঘোষণার পরই বিড়ম্বনায় পড়েন রাজ্য বিজেপি নেতৃত্ব। BJP-র রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদারের দাবি, ‘বিজেপি করলে কাজ পাওয়া যাচ্ছে না, তাই দলত্যাগ’। কিন্তু সুকান্ত মজুমদারের সেই মন্তব্যের তীব্র বিরোধিতা করলেন টলিউডের অপর অভিনেত্রী তথা তৃণমূল সাংসদ নুসরত জাহান (Nusrat Jahan)।
এদিন শ্রাবন্তী দল ছাড়ার কথা ঘোষণা করার পরই সুকান্ত মজুমদার বলেন, ”বিজেপি করলে কাজ পাওয়া যাচ্ছে না টলিউডে। তাই শিল্পী ও অভিনেতা অভিনেত্রীরা বিজেপি ছাড়ছেন।” এ প্রসঙ্গে তিনি তুলে আনেন অভিনেতা রুদ্রনীল ঘোষের প্রসঙ্গ। সুকান্তর দাবি, অত্যন্ত গুণী শিল্পী হওয়া সত্ত্বেও শুধুমাত্র বিজেপি করার কারণেই গত এক বছর ধরে কোনও কাজ পাচ্ছেন না রুদ্রনীল।
আর বিজেপি রাজ্য সভাপতির সেই অভিযোগেরই তীব্র বিরোধিতা করেন তৃণমূল সাংসদ, অভিনেত্রী নুসরত জাহান। তাঁর পাল্টা জবাব, ”এই সমস্যাটা টলিউডে বোধহয় কেউ ফেস করেন না। শুধু বিজেপির পলিটিক্যাল মুখরাই এমন কথা বলে থাকেন। এখানে প্রচুর মানুষ আছেন, যারা অন্য দল করেন, কিন্তু দিব্যি কাজ করছেন।” নুসরতের আরও দাবি, ”রাজনীতি আর সিনেমার মধ্যে কোনও যোগাযোগ নেই। আমি নিজেও সাংসদ, আবার সিনেমাও করি। দুটির মধ্যে কোনও যোগাযোগ দেখতে পাবেন না। এখানে সবাই যোগ্যতা অনুযায়ী কাজ পান। তাই পেয়ে এসেছেন।”
অন্যদিকে শমীক ভট্টাচার্যের কথায়, “শ্রাবন্তী স্বেচ্ছায় বিজেপি-তে এসেছিলেন, এখন চলে যাচ্ছেন। তবে শ্রাবন্তী বিজেপি ছাড়লেও দলের কোনও ক্ষতি হবে না। তিনি বা তাঁর মতো আরও যাঁরা দল ছেড়ে গিয়েছেন, তাঁরা যদি আবার ফিরে আসতে চান, তাহলে আসতেই পারেন।” যদিও অভিনেত্রী শ্রাবন্তী চট্টোপাধ্যায়ের বিজেপি ছাড়ার ক্ষেত্রে কড়া প্রতিক্রিয়া দিয়েছেন বিজেপি-র প্রবীণ নেতা তথাগত রায় তিনি বলেন, “দল ছেড়েছে, হাফ ছেড়ে বেঁচেছি।” আরও একধাপ এগিয়ে তিনি এদিন বলেন, “এই সবই কৈলাশ বিজয়বর্গীয়দের কীর্তি।”