দেশ বিভাগে ফিরে যান

আইজিএসটির বণ্টন নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ ক্যাগের, কাঠগোড়ায় মোদী সরকার

December 1, 2021 | < 1 min read

ইন্টিগ্রেটেড গুড অ্যান্ড সার্ভিস ট্যাক্সের (আইজিএসটি) মাধ্যমে আদায়কৃত অর্থের বণ্টন সংক্রান্ত কেন্দ্র সরকারের দৃষ্টিভঙ্গি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করল কন্ট্রোলার অ্যান্ড অডিটার জেনারেল অফ ইন্ডিয়া (ক্যাগ)। ভারত সরকারের তরফে রাজ্যগুলির মধ্যে আইজিএসটি বণ্টনের যে পদ্ধতি রয়েছে তা ত্রুটিপূর্ণ। যা সেস ও সংরক্ষিত তহবিলের উপর সারাসরি প্রভাব ফেলেছে। ফলত ২০১৭-১৮ এবং ২০১৮-১৯ অর্থবছরে ঘাটতির সৃষ্টি হয়েছে। আইজিএসটি সরাসরি আন্ত:রাজ্য পণ্য ও পরিষেবার করের উপর নির্ভর করে, যা রাজ্য ও কেন্দ্রের মধ্যে পঞ্চাশ শতাংশ অনুপাতে বণ্টন করা হয়।

সংসদে পেশ করা সরকারের রিপোর্টের ভিত্তিতে ক্যাগের পর্যবেক্ষণ অনুযায়ী, ২০১৮-১৯-এর সংশোধিত আইজিএসটি আইনে পদ্ধতি উল্ল্যেখ থাকা সত্ত্বে, আদায়কৃত ১৩,৯৪৪ কোটি টাকা অব্যবহৃত অবস্থায় ভারতের কনসোলিয়েটেড (সিএফআই) ফান্ডে গচ্ছিত রয়েছে।২০১৭-১৮ এবং ২০১৮-১৯ অর্থবর্ষে অডিটের ফলে রাজ্যের মধ্যে আইজিএসটির বণ্টন নিয়ে নানা পদ্ধতিগত ত্রুটি নজরে এসেছে। যার পরিণতি বিভিন্ন খাতের ঘাটতি। সোমবার লোকসভায় পেশ করা বাজেট রিপোর্টের চেয়েও বাস্তবে ঘাটতি অনেক বেশি হতে পারে। সরকার এই দুই অর্থবছরে বাজেট বহির্ভূত ক্ষেত্রে খরচ করেছে।

বলাইবাহুল্য বাজেট বহির্ভূত খরচ সব সময়ই হিসেবের অন্তর্ভুক্ত হয় না। এই বাজেট বহির্ভূত খরচ ঘাটতির অন্যতম কারণ। ঘাটতি নির্ণায়ক ফ্যাক্টর গুলি সরাসরি এর উপর নির্ভর করে। ওই দুই অর্থবছরে, বাজেট ও বার্ষিক আর্থিক স্টেটমেন্টের মধ্যে ঘাটতির পরিমাণে পার্থক্য পরিলক্ষিত হয়েছে, যা এই রিপোর্টে দেখা গিয়েছে। সরকারের ফাইনান্স অ্যাকাউন্ট ও লায়বেলিটি বাজেটেও তফাৎ পাওয়া গিয়েছে। এনএসএসএফ খাতের খরচও নির্দিষ্ট করে জানানো হয়নি রিপোর্টে। ২০১৭-১৮ এবং ২০১৮-১৯ অর্থবর্ষে সুদ সমেত কর আদায় হয়েছে যথাক্রমে ১,৬৮,৭০২ এবং ১,৮১,৬০৩ কোটি টাকা।

TwitterFacebookWhatsAppEmailShare

#CAG, #IGST

আরো দেখুন